মহান স্বাধীনতা দিবস
মহান স্বাধীনতা দিবস কি? এ সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন। আজ আমি আপনাকে
মহান স্বাধীনতা দিবস কি? এই দিনটি কেন প্রতিবছর পালিত হয়।
স্বাধীনতা যুদ্ধে কারা অংশগ্রহণ করেছিল। আজ আমি আপনাকে মহান স্বাধীনতা দিবস
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। চলুন তাহলে জানা যাক মহান স্বাধীনতা দিবস কি?
পোস্ট সূচীপত্রঃমহান স্বাধিনতা দিবস
কিভাবে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে
২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ।লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছে এ
স্বাধীনতা । পাকিস্থানের সামরিক বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ মধ্য রাতে
নিরস্ত্র,ঘুমন্ত বাঙ্গালীর উপর যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল ,তা ইতিহাসে বিরল।
মুক্তি যুদ্ধের শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা, শেখ মুজিবর রহমান এর স্বাধীনতা অজর্ন।
পশ্চিম পাকিস্থানিদের অবসান এ যেন বাংলার আকাশে এক নতুন স্বাধীনতার সূযের
উদিত হয়। স্বাধীনতা দিবস কে আমরা প্রতিবসর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।মহান
স্বাধীনতা দিবস বাঙ্গালী জাতির জন্য বড় গৌরব ও অহংকার। বাঙ্গালা জাতীর
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার কথা পৃথিবীর ইতিহাসে চীর স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
২৬শে মার্চ শুধু স্বাধীনতা দিবসই নয়, এটা জাতীয় দিবস, পতাকা উত্তলোন দিবস,
প্যারেড,পুরুস্কার অনুস্থান,দেশাত্নবোধক গান, রাস্ট্রপতির ভাষণ প্রধান মন্ত্রির
বক্তৃতা ও বিনোদন দিবস হিসেবে আখ্যায়ীত করা হয়েছে ।
স্বাধীনতা দিবস কী
১৯৭০ সালের পাকিস্থানের সাধারণ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে,তথকালিন পাকিস্থানের
প্রধান মন্ত্রী ইয়াহিয়া খানের অধীনে ,শেখ মজিবুর রাহমানের নেতৃত্বে জাতীয়
নির্বাচনের পাশাপাশি প্রাদেশিক নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করে ।এটা
বাঙ্গালি জাতির এক গউরবজ্জল ইতিহাস .২৬শে মার্চ দিনটি ভুলার মত নই।আজ আমরা
মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ ১৯৭১ সাল সম্পর্কে জানব
কে এই স্বাধীনতার ঘোষক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্থানি হানাদার
বাহিনির হাতে গ্রেপ্তার হন .২৫শে মার্চ এর শেষ প্রহর এবং ২৬শে মার্চ এর প্রথম
প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সাধিনতার ঘোষণা পত্রে সাক্ষর করেন। এম এ
হান্নান মাইকিং করে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি প্রচার করেন।
আরো পড়ুনঃ
বাংলায় আর্টিকেল লিখার নিয়ম
২৭শে মার্চ পাকিস্থানির সেনা বাহিনীর বাঙ্গালী অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান
চট্রগ্রাম কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।এই ঘোষণার পরেই
বাংলার মাটিতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সূচনা হয়,যা সুদীর্ঘ নয় মাস ধরে চলতে থাকে
।পাকিথানিদের ইচ্ছা ছিল, এখানকার বড় বড় শহর ও নগরায়ণ দখল করা।
কিন্ত তাদের এ আশা চীরতরে নসসাথ করে দেয় বাঙ্গালী সাহসী সৈনিকেরা, শুধু তাই
নয়-গ্রামের খেটে খাওয়া কৃষক ,জেলে দিনমজুর যুবক,কিশোর সবাই এ যুদ্ধে অংশগ্রহন করে
।বাঙ্গালীদের একতার বলে পাকিস্থানিদের পরাজীত করে বাংলার বিজয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব
হয়।
কিভাবে স্বাধীনতা উজ্জাপিত হয়
বাংলাদেশের এই স্বাধীনতা দিবস উথযাপন করে প্রতিবছর ।লাখ শহীদদের পরম শ্রদ্ধাভরে
স্মরণ করা হয় জাতীয় সিরিতিসউধে পুস্প স্তবক অপর্ন করা হয়। দিবসের শুভ সূচনা করা
হয় ৩১ বার তোপ ধ্বনির মাধ্যমে। চলুন আজ আমরা মহান স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে আরো
বিস্তারিত জানাবো। মহান স্বাধীনতা দিবসে সরকারি আধাসরকারী ,স্বায়ত্তশাসিত
সকল প্রতিষ্ঠানে।
সূযদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ ছাড়া ব্যাক্তি মালিকানাধিন
ভোবনগুলোতে পতাকা উত্তোলন কস্থানে।.২৬শে মার্চ তথা মহান স্বাধীনতা দিবস উথযাপনে
শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলোতে বিভিন্ন রকমের পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয় ।তা ছাড়া
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ,শরিরচর্চা করতে
দেখতে পাওয়া যায় ।
জাতীয় দিবস কোনটি
ত্রিশ লাখ শহিদ কয়েক লাখ মা- বোন আত্নহুতি দিয়েছে, তাদের ভবিষ্যৎ রচনার
জন্য । সুদিঘ নয় মাস ব্যাপি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাঙ্গালিরা এনেছে এই মহান
স্বাধীনতা । ১৯৭২ সালের পর থেকে শুরু করে প্রতিবছর পালিত হয় এ
সাধিনতা দিবস । ২৬শে মার্চ বাঙ্গালীদের জাতিয় দিবস হিসেবে পালিত হয় ।
২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। পাকিস্থানের সামরিক বাহিনী ১৯৭১ সালের
২৫ শে মার্চ মধ্য রাতে নিরস্ত্র, মন্ত বাঙ্গালীর উপর যেভাবে
হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তা ইতিহাসে বিরল। অনেকে আছে যে মহান স্বাধীনতা দিবস কি তা
জানে না। চলুন আজ আমরা মহান স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।১৯৭১
সালের পূর্বে বাংলাদেশ পাকিস্থানের অধীনে ছিল । সেই সময় পাকিস্থানিরা
বাঙ্গালিদের উপর নানা অত্যাচার নিপিড়ন করত । এ অত্যাচারে এক সময় চরমে পৌঁছে ,
ফলে বাঙ্গালি জাতী অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে ফলে তারা স্বাধীনতার ডাক দেন । বাঙ্গালিদের
স্বাধীনতার কথা, পাকিস্থানিদের কানে গেলে তারা যুদ্ধের প্রস্ততি গ্রহন করে
এবংবাঙ্গালিদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এ যুদ্ধে বাঙ্গালিরা জয় লাভ করে
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url