বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবার সহজ উপায়

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবার উপায় খুঁজছেন। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। ভারতে যাওয়ার সহজ উপায় কোনটি। ভারতে ভিসা খরচ কত লাগে, ভারতের টাকার মান কত। আপনি কি এ সম্পর্কে জানতে চান। 

বাংলাদেশ-থেকে-ভারতে-যাবার-সহজ-উপায়

আজ আমি আপনাকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবার সঠিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। আপনি যদি সঠিক উপায়ে ভারতে যেতে চান তাহলে আমার লেখা আর্টিকেলে সঙ্গে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ টুরিস্ট ভিসায় ভারত গমন

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবার সহজ উপায়

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবার সহজ উপায় আছে। আপনি ইচ্ছা করলেই সল্প খরচে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে পারেন। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। কেউ যেতে চায় ভ্রমণের ইচ্ছায়। কেউ যেতে চায় চিকিৎসার জন্য আবার কেউ বা যেতে চাই বিজনেসের জন্য। আমরা চিকিৎসার জন্যই সর্বপ্রথম ভারতকে বেছে নেই। কারণ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের থেকে ভারতে মেডিকেল ভিসা এবং টুরিস্ট বা ভ্রমণ ভিসা পাওয়া সহজ। 

আরো পড়ুনঃ সুপার ভিপিএন সেরা 

নতুন যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে চান তাদের ভারতে যেতে কত টাকা লাগে তা জানা দরকার। আজ আমি আপনাদের বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে কত টাকা লাগবে তা নির্ভর করবে আপনি কোন পথে যাবেন তার ওপর। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবার ট্রেনটি পথ আছে। সড়ক পথ রেলপথ ও আকাশ পথ।

সড়ক পথঃ বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবার সহজ উপায় হচ্ছে সড়ক পথ। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ভারতে সড়কপথে যেতে চান তবে আপনার সর্বনিম্ন দুই থেকে তিন হাজার টাকা খরচ হবে অর্থাৎ আপনি যদি বাসে ভারতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা খরচ হবে এগুলো মূলত যাতায়াত খাওয়া-দাওয়া ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খরচ থাকবে।

রেলপথঃ রেলপথ বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবার সহজ উপায়। আপনি যদি ভারতে রেলপথে যেতে চান তাহলে আপনার ভারতে যেতে খরচ হবে পাঁচ শত থেকে ২০০০ টাকা আবার এর থেকে বেশি ও লাগতে পারে। তবে খাওয়া দাওয়া যা তার অন্যান্য সংশ্লিষ্ট খরচ এর উপর নির্ভর করবে।

আকাশ পথঃ আকাশপথে আপনি ভারতে যেতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবার সহজ উপায় হচ্ছে এয়ার লাইন্স। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ভারতে আকাশ পথে যেতে চান তবে বিমান ভাড়া বাবদ আপনার সর্বোচ্চ খরচ হবে ২০,০০০ থেকে২৫,০০০ হাজার টাকা। এই খরচ গুলো মূলত যাতায়াত, খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য খরচের মধ্যে সংশ্লিষ্ট থাকবে।

আরো পড়ুনঃ ভিপিএন নিজেদের তথ্য গোপন করতে সাহায্য করে

এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে খরচের উপর নির্ভর ভিসা ক্যাটাগরির উপর। আপনি যদি চিকিৎসার জন্য যেতে চান তাহলে আপনাকে মেডিকেল ভিসা করতে হবে। মেডিকেল ভিসা বাবদ খরচ কম হয়। আর আপনি যদি ভ্রমণের ইচ্ছায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে চান তবে আপনাকে টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে হবে টুরিস্ট ভিসার খরচ মেডিকেল ভিসা থেকে একটু বেশি।

তবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে সর্বচ্চ ২৫০০০  টাকা খরচ হবে। এই খরচ গুলো গাড়ি ভাড়া বা যাতায়াত, খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য যাবতীয় সংশ্লিষ্ট খরচের মধ্যে পড়ে। ভারতের ভিসায় বেশি খরচ হয় না। ভিসার আবেদন করতে ৮০০ টাকা লাগে।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে কি কি কাগজ দরকার

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে চান তাহলে আপনাকে কিছু কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে। ভিসার আবেদন করতে গেলে এ কাগজগুলো প্রয়োজন। যে কাগজগুলো লাগবে তার নিচে আলোচনা করা হলো।

  • ৬ মাস মিয়াদি বৈধ পাসপোর্ট
  • জাতীয় পরিচয় পত্র। যদি জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে তবে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন।
  • ২ ইঞ্চি বাই 2 ইঞ্চি সাদা ব্যাকগ্রা ব্যাকগ্রাউন্ড এর রঙ্গিন ছবি
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • মেডিকেল ভিসার জন্য ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ও ভারতের ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট
  • করোনা ভ্যাকসিনের টিকা সনদ।
  • ঠিকানা প্রমাণ পত্রের জন্য বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানি বিলের ফটোকপি।
  • উল্লেখিত পত্র গুলো হলে ভারতের ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। এ সম্পর্কে যদি আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে ভিসা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতায়াত-খরচ কত লাগে

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদন ফি ৮০০ টাকা লাগে। এখানে যাতায়াত খরচ ও অন্যান্য খরচ এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট থাকবে। আর আপনি যদি বিজনেস ভিসার আবেদন করতে চান, তাহলে আপনার খরচ হবে ১২০০থেকে ১৫০০ টাকা। আপনি যদি মেডিকেল ভিসার আবেদন করতে চান তাহলে ভিসার আবেদন ফি বাবদ ১০০০ টাকা লাগে। বর্তমানে ভারতের ভিসা সেন্টারে কিছু অসাধু কর্মকর্তা ৫০০০ থেকে ৭০০০ টাকা পর্যন্ত চেয়ে থাকে। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও আইন বিরুদ্ধ হয়।

ভারতের ভিসা করতে কি কি লাগে

আপনি যদি ভারতে যেতে ইচ্ছা করেন তাহলে আপনাকে ভিসা করার জন্য একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে ভোটার আইডি কার্ড যদি না থাকে তো অনলাইন জন্ম নিবন্ধন লাগবে যার ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হতে হবে বিদ্যুৎ//গ্যাস/পানি বিলের ফটোকপি লাগবে।

ভারতের ভিসার মেয়াদ কতদিন

ভারতের মেডিকেল ভিসার মেয়াদ ৬ মাস এবং টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ এক বছর।

বাংলাদেশিরা কিভাবে ভারতের নাগরিকত্ব পাবে

ভারতের নাগরিকত্ব ১৯৫৫ এর ৫(১) (g) এর বিধান অনুসারে একজন ব্যক্তি কে পাঁচ বছরের জন্য OCI হিসেবে নিবন্ধিত হতে হবে এবং পাঁচ বছরের মধ্যে এক বছরের ভারতে বসবাস করতে হবে যিনি এক বছর ভারতে বসবাস করেছেন তিনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে।

OIC ওআইসি হোল্ডারকে ভারতে ব্যবসা করতে পারে

ওআইসি হোল্ডার ভারতের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পেতে পারে। তাদের এনআরআইদের মত অর্থনৈতিক এবং শিক্ষাগত অধিকার রয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক একাউন্ট খোলার অধিকার ব্যাংকের কাজ পরিচালনা করার ক্ষমতা ও ভারতীয় সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করার অধিকার রয়েছে।

কারা ভারতের নাগরিক হতে পারবে

ভারতে জন্মসূত্রে নাগরিত শুধুমাত্র তখনই দেওয়া হয়। যখন পিতা-মাতা উভয়েই ভারতের নাগরিক হন।পিতা-মাতার মধ্যে যদি একজন ভারতের জন্মসূত্রে নাগরিক হন, তবে অন্যজনকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে গণ্য করা হয় না। 

কারা-ভারতের-নাগরিক-হতে-পারবে

পিতা-মাতা দুজনে ভারতের জন্মসূত্রে নাগরিক কিন্তু সন্তান প্রবাসে জন্ম হওয়ার কারণে বংশানুক্রমে সে ভারতে নাগরিকত্ব পাবে। বিদেশি জন্মগ্রহণকারী শিশুরা বংশানুক্রমে ভারতীয় নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। যদি তাদের বাবা-মার দুজনের যে কোন একজনকে ভারতের জন্মসূত্রে নাগরিক হন।

কিভাবে ভারতে নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হয়

  • ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।
  • আপনার কাছে বৈধ বিদেশী পাসপোর্ট এর অনুলিপি থাকতে হবে।
  • বৈধ আবাসিক পারমিটের অনুলিপি থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীর পিতা-মাতা যে কোন একজন ভারতের নাগরিক ছিলেন। তাদের একটি পাসপোর্ট বা জন্ম সনদপত্রের অনুলিপি থাকতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় কি

ভারতের নাগরিকত্ব ১৯৫৫ এর ৫(১) (g) এর বিধান অনুসারে একজন ব্যক্তি কে পাঁচ বছরের জন্য OCI হিসেবে নিবন্ধিত হতে হবে এবং পাঁচ বছরের মধ্যে এক বছরের ভারতে বসবাস করতে হবে। যিনি এক বছর ভারতে বসবাস করেছেন, তিনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে।

বাংলাদেশীরা কি ভারতে চাকরি করতে পারবে

যদি একজন বাংলাদেশী ভারতীয় দূতাবাস বা কনস্যুলেটের মাধ্যমে একটি বৈধ কাজের ভিসা পান বা নিয়োগ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে কাজের সন্ধান পান। কাঙ্খিত চাকরির জন্য তাদের প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দক্ষতা রয়েছে যদি নিশ্চিত করা যায়। তবে বাংলাদেশী নাগরিকরা ভারতে চাকরি পেতে পারেন।

ঢাকা থেকে ভারতে যাবার বাস ভাড়া কত

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ভারতে সড়ক পথে যান তবে আপনাকে বাসে যেতে হবে। প্রতি রবিবার ছাড়া প্রতিদিনই ঢাকা থেকে কলকাতা সরাসরি বাস আছে। এখন কথা হল ঢাকা থেকে ভারতে যাবার বাস ভাড়া কত লাগে। আপনি যদি নন এসি স্লিপারগুলোতে যান, তবে আপনার ভাড়া লাগবে ৭৫০ থেকে ৭৯০ রুপি। 

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ইনকাম করুন ঘরে বসে

যা বাংলা টাকায় কনভার্ট করলে দাড়ায় ৯৯০ থেকে ১০৪২.৮ টাকা। ভারতীয় এক রুপি=১.৩২টাকা। অর্থাৎ ভারতীয় একশত রুপি সমান বাংলাদেশি ১৩২ টাকা। ঢাকা থেকে বাসে কলকাতা পর্যন্ত প্রতি জনের ভাড়া পড়বে ১১০০ থেকে ২০৬০ টাকা।

ঢাকার কমলাপুরে বিআরটিসি বাস টার্মিনাল থেকে প্রতি মঙ্গলবার বুধবার ও শুক্রবার কলকাতার উদ্দেশ্যে বার ছাড়ে। আর এই বিআরটিসি বাস পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করায় যাতয়াতের সময় অনেক কম লাগে। বাংলাদেশ ঢাকা থেকে কলকাতার বাস ভাড়া নেওয়া হয় ১৪০০ টাকা অন্যদিকে ঢাকা থেকে আগরতলার ভাড়া নেওয়া হয় ১৮০০ টাকা। ঢাকা থেকে কলকাতা ও আগরতলা যেতে সময় লাগে ১২ ঘন্টা।

ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে যেভাবে টিকিট কাটবেন

আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তারা অবশ্যই যাতয়াতের ব্যবস্থা কথা ভুলবেন না। যাতয়াতের জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা হচ্ছে ট্রেনের ব্যবস্থা। বাংলাদেশ থেকে কলকাতা যাওয়ার ভালো উপায় মৈত্রী এক্সপ্রেস। আন্তর্জাতিক রেন ঢাকা থেকে কলকাতা মধ্যে নিয়মিত যাতায়াত করে। মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হয় ২০০৮ সালে ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন।

মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে কলকাতা যায় সপ্তাহে চার দিন। বুধবার শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ে সকাল ৮ঃ১৫ মিনিটে এবং কলকাতায় পৌঁছে বিকেল ৪ঃ০০টায়। একইভাবে কলকাতা থেকে এ ট্রেন বাংলাদেশ টাকা ঢাকায় আসে সপ্তাহে চার দিন, সোমবার, মঙ্গলবার, শুক্রবার ও শনিবার।

মৈত্রী এক্সপ্রেস এর টিকেট মূল্য কত

আপনি যদি নিজ দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করতে ইচ্ছা করেন তাহলে আপনাকে সেই দেশের ইমিগ্রেশন বাবদ একটা ভ্রমণ ফ্রি দিতে হবে আর মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেটের সঙ্গে ইমিগ্রেশন মূল্য সংযুক্ত থাকে এ ট্রেনে দুই ধরনের আসন ব্যবস্থা আছে এসি কেবিন ও এসি চেয়ার। এসি কেবিনেট এর মূল্য ২৯৩৫ টাকা। আর এসেছে আর এর টিকেটের মূল্য ১৯৫৫ টাকা। তাছাড়াও ট্যাক্স বাবদ আরো ৫০০ টাকা দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক মার্কেটিং করে ঘরে বসে আয় করুন

আবার কলকাতা থেকে বাংলাদেশে আসার এসি কেবিনে টিকেটের মূল্য ২০১৫ টাকা এবং এসিসি ইয়ারের টিকেট এর মূল্য ১৩৪৫ টাকা ভারতীয় মুদ্রা। এ ছাড়া ট্যাক্স বাবদ আরো কিছু টাকা সংযুক্ত হবে।

কিন্তু ট্রেনের যাত্রী যদি শিশু হয় এবং তার বয়স এক থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে হয় সেক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা আছে কিন্তু পাঁচ বছরের অধিক হলে পুরো ভাড়া দিতে হবে। টিকিটের সঠিক মূল্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে যাচাই করে নেওয়ায় উচিত।

কিভাবে ট্রেনের টিকিট কাটবেন

ঢাকা থেকে কলকাতার দূরত্ব ৩৭৫ কিলোমিটার। যাতায়াত সুবিধা হওয়ায় ভ্রম পিপাসুদের কাছে ট্রেন ভ্রমণ অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। টিকেট যাত্রা উনত্রিশ দিন আগে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হয়। আপনি কলকাতা যাবার টিকিট কিনতে পারবেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে। 

কলকাতা পুলিশ স্টেশন থেকে ঢাকায় আসার জন্য মৈত্রী এক্সপ্রেসের টিকেট কাটতে পারবেন। টিকেট কাটতে গেলে আপনার বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা বাধ্যতামুলক। অনলাইনে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট কাটার ব্যবস্থা আছে। আপনি যদি অনলাইনে টিকিট পেতে চান তাহলে আপনাকে স্টেশনে পাসপোর্ট নিয়ে যেতে হবে।

ঢাকা থেকে ভারতের ফ্লাইটের সময়সূচী

ইউএস- বাংলা এয়ারলাইন্সঃ ঢাকা থেকে কলকাতা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ও নভোএয়ারের মোট চারটি ফ্লাইট চালু আছে। ঢাকা থেকে কলকাতায় প্রতিদিন একটি ফ্লাইট চলাচল করে। এই ফ্লাইট টি প্রতিদিন সকাল ১০ টায় কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয় এবং কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে ১১ঃ৩০ মিনিটে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সঃ আপনি যদি বিমান বাহিনীর এয়ারলাইন্সে ভারতে যেতে চান তবে প্রতিদিন ঢাকা টু কলকাতা রুটে একটি এবং বুধবার দুইটি ফ্লাইট পরিচালনা করে। ঢাকা থেকে ফ্লাইটটি প্রতিদিন সকাল ১০ঃ১৫ মিনিটে রওনা হয় এবং কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় সকাল ১১ঃ৫০ মিনিটে।

আবার বুধবারে বিমানের দুইটি ফ্লাইট চলাচল করে। একটি সকাল ১০ঃ১৫ মিনিট এবং দ্বিতীয় ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৭ঃ১০ মিনিটে ঢাকা ছাড়ে। কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে সকাল ১১:৫০ মিনিটে এবং রাত ৮ঃ৩৫মিনিটে।

নভো এয়ারঃ নভোএয়ার বর্তমানে ঢাকা টু কলকাতা রুটে প্রতিদিন ১টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয় বিকেল ৫ঃ৩০ মিনিটে বিকেল এবং কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সন্ধ্যা ৬ঃ ৫০ মিনিটে।

ঢাকা থেকে কলকাতার বিমান ভাড়া কত

  • বিমান ভাড়া কম হওয়ার কারণে ঢাকা রুটে বিমান ভ্রমণ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে ঢাকা থেকে কলকাতার বিমান ভাড়া সর্বদাই পরিবর্তনশীল। ভ্রমণের তারিখ অনুযায়ী বিমানের ভাড়া পরিবর্তন হতে পারে।
ঢাকা-থেকে-কলকাতার-বিমান-ভাড়া-কত
  • ঢাকা থেকে কলকাতা ইউএস বাংলায় এয়ারলাইন্সের সর্বনিম্ন ভাড়া ৭০০০ থেকে ৩৮৮ টাকা এবং কলকাতা থেকে ঢাকায় রিটার্ন ভাড়া সর্বনিম্ন ১৩ হাজার থেকে ৮৪১ টাকা।
  • ঢাকা থেকে কলকাতা বিমান বাংলাদেশ এর ভাড়া ৬ হাজার ৮২২ টাকা এবং রিটেন ভাড়া ১৩,৭৪৬ টাকা।
  • ঢাকা থেকে নভোএয়ারের সর্বনিম্ন ভাড়া হচ্ছে ৬,৮৮৪ টাকা এবং কলকাতা থেকে ঢাকায় রিটার্ন ভাড়া ১২,৯৯৯ টাকা।

কিভাবে ঢাকা থেকে কলকাতার বিমানের টিকেট কাটবেন

আপনি যদি ঢাকা থেকে কলকাতা আকাশ পথে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে আপনার অবশ্যই পাসপোর্টে ভিসা থাকতে হবে। তাহলে আপনি আপনার পছন্দের এয়ারলাইন্স অফিসে বিমানে টিকেট কাটতে পারেন। অথবা কোন অনুমোদিত এজেন্ট থেকেও ঢাকা থেকে কলকাতা যাবার বিমানের টিকেট কাটতে পারেন। তাছাড়া ও ওয়েবসাইট গুলো থেকেও বিমানের টিকেট কাটতে পারেন।

বিমানে কত কেজি জিনিসপত্র নেওয়া যায়

আপনারা যারা ইকনোমিক যাত্রি প্রত্যেকেই ২০ কেজি পরিমাণে মালামাল বহন করতে পারবেন। এছাড়াও সঙ্গে কেবিন লাগেজ হিসেবে ৭ কেজি মালামাল নেয়া যাবে বিজনেস ক্লাসের যাত্রীরা ৩০ কেজি মালামাল সহ ৭ কেজি কেবিন লাগে্জ নিতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি মালামাল নিতে চাইলে অতিরিক্ত ফি দিতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে কত টাকা রাখা যায়

আপনি যদি বৈধ ভিসায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে চান তাহলে আপনার সাথে সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা রাখতে পারেন। ভারতের ১ রুপি= বাংলাদেশী ৩২ টাকা। ভারতীয় ১০০ রুপি সমান বাংলাদেশি ১৩২ টাকার সমান।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবার সহজ উপায় নিয়ে লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজ আমি আপনাকে তাদের থেকে ভারতে যাবার সহজ উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কিভাবে আপনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবেন, আমারে আর্টিকেলে তা সুন্দরভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে। আপনি যদি আমাকে আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন, তাহলে ভারত থেকে বাংলাদেশে যাবার সহজ উপায় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

আমার লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে এ সম্পর্কে নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। যদি আমার লেখায় ভুল হয়ে থাকে আর আপনি যদি কোন কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url