কিভাবে পেটে চর্বি কমানো যায়। চর্বি কমানোর ১০টি উপায়
কিভাবে পেটে চর্বি কমানো যায় আপনি কি জানতে চাচ্ছেন। ইটের চর্বি সহজেই কমবে এমন দশটি টিপস নিয়ে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে।
আজ আমি আপনাকে কিভাবে পেটে চর্বি কমানো যায়, পেটে চর্বি কমানোর ১০টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। চলুন তাহলে জানা যায়।
পোস্ট সূচিপত্রঃ পেটে চর্বি কমানোর ১০ টি উপায়
- কিভাবে পেটে চর্বি কমানো যায়
- দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন
- দৈনিক তিন বেলায় খাবার খেয়ে নিন
- খাবারের জন্য ছোট প্লেট বেছে নিন
- অনুষ্ঠানে গিয়ে বেশি খাবেন না
- খাবারে পূর্ণ মনোযোগী হন
- অস্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস বদলে ফেলুন
- মানুসিক চাপ মোকাবেলা করুন
- খাবারের রুটিন থেকে সাদা চাল, সাদা আটার বিকল্প বেচে নিন
- ফ্যাট-ফ্রি খাবার খাওয়ার আগে মোড়ক যাচাই করে নিন
- কাজের প্রতি একটিভ হোন
- কিভাবে পেটে চর্বি কমানো যায় এ সম্পর্কে লেখক এর শেষ বক্তব্য
কিভাবে পেটে চর্বি কমানো যায়
কিভাবে পেটে চর্বি কমানো যায়, এটাই আজকের আলোচনার বিষয়। পেটের চর্বি জমানো বা
অতিরিক্ত মেদ অনেকের জন্যই একটি অস্বস্তিকর বিষয়। অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র
অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের কারণে আমাদের পেটে চর্বি জমে। শুধু পেট ছাড়াও অন্যান্য
জায়গায় চর্বি জমানোর কারণগুলো হলো এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো। তো কিভাবে পেটের
চর্বি কমানো যায়। চর্বি কমানোর ১০ টি উপায় বার টিপস নিয়ে আমারে আর্টিকেলে
আলোচনা করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ওজন বাড়াতে বাদামের ব্যবহার
আপনাদের যদি কারো পেটে চর্বি জমানো থাকে। আর আপনি যদি পেটে চর্বি কমাতে চান তাহলে
আপনাকে অবশ্যই এই ছোট ছোট অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলোকে এড়িয়ে চলতে হবে যদি আপনি
এই অভ্যাসগুলো পালন করতে পারেন তবে শুধুমাত্র পেটের চর্বি নয়, কোমরে চর্বি,
মুখে চর্বি, উরুতে চর্ব্ নিতম্বরে চর্বি কমানো সম্ভব।
পেটের চর্বি কমাতে করনীয় কিঃ আপনার প্লেটের খাবারগুলো খুব দ্রুত না
খেয়ে ধীরে ধীরে খাবার খাওয়া উচিত আপনাকে খাবারের সময় পূর্ণ মনোযোগী হওয়া
দরকার। এই প্রক্রিয়াকে মাইন্ডফুল ইটিং বা মনোযোগ সহকারে পাওয়া বলা হয়। যদি কোন
কারণে অতি দ্রুত খেতে হয় তখন নির্দিষ্ট পরিমাণে খাবার প্লেটে নিয়ে সেই
খাবারটুকুই খেয়ে নিন। এতে আপনার অতিরিক্ত খাবার সম্ভাবনা থাকবে না।
দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন
আপনি যদি পেটে চর্বি কমাতে চান তাহলে আপনাকে দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। আপনারা যখন খাবার খাওয়া শুরু করেন এই খাদ্যগুলো যখন পেটে যায় তখন পাকস্থলী থেকে মস্তিষ্কে সংকেত পৌঁছায়। সহজ ভাষায় পেট ভরছে কি ভরে নাই এই নিয়ে পেটের সাথে ব্রেনের কথাবাত্রা হয়। আর ব্রেনের তা বুঝতে ২০ মিনিট সময় লাগে।
আর আপনি যদি দ্রুত খাবার খান তাহলে অতিরিক্ত খাবার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ পেট ভরে
যাবার খবরটি পাকস্থলী থেকে হয়তো এত দ্রুত ব্রেনে নাও পৌঁছাতে পারে। যা পেটে
চর্বি জমানোর একটি হাতিয়ার বলা চলে। তাই আমাদের পেটে চর্বি কমানোর জন্য দ্রুত
খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
পেটের চর্বি কমাতে করনীয় কিঃ খাবারের সময় আপনাকে খাবারের প্রতি পূর্ণ
মনোযোগ দিতে হবে এবং অতিরিক্ত না খেয়ে ফেলার জন্য ধীরে ধীরে খাবার খেতে হবে। এ
প্রক্রিয়াকে মাইন্ড ফুল ইটিং বা মনোযোগ সহকারে খাবার বলা হয়। এভাবে অতিরিক্ত
ক্যালরিকে এড়িয়ে ফেলা সম্ভব। কোন কারনে যদি দ্রুত খাবার খেতে হয় তবে অতটুকু
পরিমাণে নিয়ে খাবার খাওয়া শেষ করুন। এতে করে বাড়তি খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা
থাকে না।
দৈনিক তিন বেলায় খাবার খেয়ে নিন
যাদের পেটে চর্বি জমানো আছে তারা চর্বি কমানোর জন্য এভাবে পরিকল্পনা করেন যে
সকালের নাস্তা বাদ দিয়ে একবারে দুপুরে খাবার খেলে হয়তো পেটের চর্বি কম হবে।
কিন্তু না একবালার খাবার বাদ দিয়ে অন্য বেলায় খাবার খাওয়া অস্বাস্থ্যকর
প্রবণতায় আপনার পেটের চর্বি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরো পড়ুনঃ কলা খাওয়ার ১৪টি পুস্টিগুন
পেটে চর্বি কমাতে করণীয় কিঃ আপনি যদি পরিকল্পনা করেন কিভাবে পেটে চর্বি
কমানো যায়, তাহলে আপনাকে তিন বেলায় খাবার অভ্যাসটি চালু করতে হবে। কোন বেলায়
খাবার বাদ দিবেন না। যদি এই অভ্যাসটি করতে পারেন তাহলে আপনার মেদ কমতে থাকবে। যদি
কোন কারণ বশত একবেলার খাবার বাদ পড়ে যায়। তবে আপনি অন্য বেলায় যেন অতিরিক্ত
খাবার না খান সেদিকে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে।
খাবারের জন্য ছোট প্লেট বেছে নিন
আপনার মেদ যদি মোটা হয়ে থাকে, আপনার পেটে যদি চর্বি জমানো থাকে। আর আপনি যদি পরিকল্পনা করেন কিভাবে পেটে চর্বি কমানো যায়। তাহলে আপনাকে খাবারের সময় বড় প্লেট বাদ দিয়ে ছোট প্লেটের খাবার বেছে নিন। কারণ খাবারের প্লেটটি যদি বড় হয়ে থাকে সেটাতে খাবার বেশি থাকে।
এবং প্লেটে যে খাবারটুকু থাকে সবটুকু শেষ করার প্রবণতা সবার মাঝে থাকে। যদিও
প্লেটে কিছু খাবার বাকি আছে, অথচ আমাদের পেট ভরে গেছে, তারপরেও আমরা বাকি
খাবারটুকু রেখে উঠি না। এভাবেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাই ফলে পেটে চর্বি
জমে।
পেটে চর্বি কমাতে করণীয় কিঃ কিভাবে পেটে চর্বি কমানো যায়, আপনি যদি এ
কথা চিন্তা করেন। তাহলে আপনাকে বড় প্লেটের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। খাবারের সময়
ছোট প্লেট বেছে নিতে হবে। প্লেটে খাবার নেওয়ার সময় পরিমাণের দিক খেয়াল করতে
হবে। এতে করে খাবার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও কমবে এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়ার
সম্ভাবনাও থাকবে না।
অনুষ্ঠানে গিয়ে বেশি খাবেন না
আমরা যদি কোন দাওয়াত অনুষ্ঠানে যায় সেখানে আমরা সৌজন্যবোধ থেকে বেশি খেয়ে
ফেলি। প্লেটে কেউ খাবার দিলে এটাকে শেষ করা কর্তব্য মনে করি। আবার যখন কোন
বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা হয়। পেটভরা থাকা সত্ত্বেও খাবারের অর্ডার দেওয়া
হয়।মূলত এই অভ্যাস গুলি আমাদের পেটে চর্বি জমানোর দিকে ভূমিকা রাখে।
আরো পড়ুনঃ কাগজে মোড়ানো খাবার মৃত্যুঝুকি
দাওয়াত অনুষ্ঠানে আরেকটি প্রচলন আছে সেটি হলো সবশেষে মিষ্টি জাতীয় খাবার
খাওয়া। এটাকে বলা হয় ওভারেটিং বা অতিভজন। করলে একদিকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়
অন্যদিকে শরীরে চর্বি জমানোর ঝুঁকি বাড়ে।
পেটে চর্বি কমাতে করণীয় কিঃ আপনি যদি পেটে চর্বি কমাতে চান তাহলে আপনাকে অভারতের বা অতিরিক্ত ভোজন এ অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অতিরিক্ত খাবার যেগুলো শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলে সেগুলোকে এড়িয়ে চলুন।
আপনি যদি মিষ্টি খাবার খেতে
ইচ্ছে করেন তাহলে অন্যান্য খাবারগুলো কমিয়ে নিন। বৃষ্টি জাতীয় খাবার যেমন
স্বাস্থ্যকর নয় তাই যতটুকু দরকার ঠিক ততটুকুই খেয়ে নিন।
খাবারে পূর্ণ মনোযোগী হন
পেটের চর্বি কমানোর জন্য আপনাকে খাবারের সময় পূর্ন মনোযোগ সহকারে খেতে হবে। আনমনা খাওয়া পরিহার করতে হবে। আপনি যদি খাবারের সময় অন্য কোন কাজে ব্যস্ত থাকেন, টিভিতে কোন অনুষ্ঠান দেখেন ফোনে কথা বলেন। তখন আপনি কতটুকু খাবার খাচ্ছেন সেদিকে খেয়াল রাখা সম্ভব হয় না।
টিভির নাটক, সিনেমা দেখে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, তখন আনমনা হয়ে প্রয়োজনের তুলনায়
খাওয়া বেশি হতে পারে। তাহলে পেটে চর্বি জমানো সম্ভাবনা বেশি থাকে। আবার অনেক
সময় পেটে ক্ষুধা না থাকার সাথেও টিভি দেখতে দেখতে আমরা চানাচুর, বাদাম অন্যান্য
খাবার গুলো খেয়ে থাকি। এই খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর না।
পেটের চর্বি কমাতে করণীয় কিঃ আপনি কি জানেন অতিরিক্ত খাবার থেকে আসে
অতিরিক্ত ক্যালোরি। যা শরীরের চর্বি জমানোর একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়। তার পেটে
চর্বি কমানোর কোন কোনসময় আপনি আনমনা খাবার খান সেটা খুঁজে বের করতে হবে আর
খাবারের দিকে আপনাকে মনোযোগী হতে হবে যেটাকে মাইন্ডফুল ইটিং বলা হয়।
অস্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস বদলে ফেলুন
আপনার কি অতিরিক্ত ঘুমানোর অভাব আছে। যদি থেকে থাকে তাহলে অতিরিক্ত রাত জাগার অভ্যাসটি আজই বদলে ফেলুন। কারণ অতিরিক্ত রাত জাগানোর সাথে ওজন বাড়ানোর সম্পর্ক আছে। রাত জাগলে কিছুটা খাবার খেতে ইচ্ছা করে। এভাবে অতিরিক্ত খাবারের ফলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হয়।
আড়ো পড়ুনঃ ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল
ঘুমিয়ে থাকলে আর এসব খাওয়া হতো না। তখন শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হতো না। ফলে পেটে চর্বি জমানোর সম্ভাবনা কমে যেত। আর রাত জেগে খাবারগুলো সাধারণত চিনিযুক্ত হয়ে থাকেন। আর চিনি যুক্ত খাবার গুলো স্বাস্থ্যকর কি না তা ভেবে দেখা হয় না। আপনি যদি নিয়মিত ঘুমাতে না পারেন এবং পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হয় তখন এটা মানসিক চাপ তৈরি করে। এই ঘুমের অভাব ও মেদ বাড়ানো কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
পেটে চর্বি কমাতে করনীয় কিঃ আপনার যদি ঘুমের অভাব হয় এবং পরিমাণ মতো ঘুম
না হয়। তাহলে আপনাকে পর্যাপ্ত ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কেননা মেদ কমানোর
জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ও ঘুমানোর অভ্যাস করা অত্যন্ত জরুরী।
মানুসিক চাপ মোকাবেলা করুন
আপনার যদি মানুসিক চাপ থেকে থাকে তাহলে এ মানুষিক চাপ আপনার শরীরে চর্বি জমানোর
কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমরা যদি দিনের পর মানসিক চাপে ভোগী তবে আমাদের শরীরে
কটিসল নামক এক প্রকার হরমোন নিরসন হয়। এই হরমোন বৃদ্ধির ফলে আমাদের চিনি এবং
চর্বি জাতীয় খাবারের প্রবল আকাঙ্ক্ষা জাগে। যা পেটে চর্বি জমাতে সাহায্য করে। এ
হরমোনের কারণে সহজে পেট ভরে না, বারবার ক্ষুধা লাগে এবং বেশি খেয়ে ফেলার কারণে
পেটে চর্বি জমা হয়।
পেটে চর্বি কমানো উপায়ঃ এমনও তো অবস্থায় আপনি যদি পেটের চর্বি কমাতে চান
তাহলে আপনাকে অবশ্যই মানসিক চাপকে সময়মতো সঠিকভাবে মোকাবেলা করা খুবই জরুরী।
এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করা, পর্যাপ্ত ঘুমানো, পছন্দের কাজ করা এবং প্রয়োজনে
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে মানসিক চাপ কে মোকাবেলা করতে
হবে।
খাবারের রুটিন থেকে সাদা চাল, সাদা আটার বিকল্প বেচে নিন
আপনার যদি পেটে চর্বি জমানো থাকে আর আপনি যদি কেউ কম মানতে চান তাহলে খাবারের
রুটিন থেকে সাদা চাল ও সাদা আটার বিকল্প বেছে নিন। কারণ সাদা আটা, সাদা চাল তৈরি
করার সময় ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ফেলে দেয়া হয়। আর ফাইবার এমনই এক
পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের খাদ্য হজমে বিশেষ সহায়ক এবং রক্তের ব্লাড সুগারের
মাত্রা দ্রুত বেড়ে দেয়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে সাদা আটা, সাদা চালের মত প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে
পেটে চর্বি জমানোর সম্পর্ক থাকে। অন্যদিকে লালচাল, লালা আটার মত শস্য দানা বেশি
খাওয়ার সাথে পেটের চর্বি কমানোর সম্পর্ক থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পেটের চর্বি কমাতে করনীয় কিঃ আপনি যদি পেটের চর্বি কমাতে চান তাহলে আপনার খাবারের রুটিন থেকে সাদা চাল ও সাদা আটা বাদ দিতে হবে। এর বিকল্প হিসেবে লালচাল ও লাল আটা ব্যবহার করার অভ্যাস করতে হবে। অনেকেই লাল চাল বা লাল আটা খাবারের সাথে অভ্যস্ত নয়। তাই এটা খাবারের জন্য ভালো স্বাদের নাও হতে পারে।
কিন্তু এটা পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে এবং স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হবে। তাই ধীরে ধীরে হলেও এসব খাবারের অভ্যাস করতে হবে। শুরুর দিকে আপনি সাদা চালের সাথে কিছু লাল চাল মিশিয়ে নিতে পারেন এবং সাদা আটার সাথে কিছুটা লাল আটা মিশে নিতে পারেন। এভাবে অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
ফ্যাট-ফ্রি খাবার খাওয়ার আগে মোরগ যাচাই করে নিন
ফ্যাট ফেরি খাবার কারণে আপনার পেটে চর্বি জমতে পারে অবাক হচ্ছেন। অবাক হবার কিছুই
নেই। কারন ফ্যাট ফ ্যাট ফ্রি খাবার গুলোকে স্বাস্থ্যকর মনে হলেও অনেক সময়
এগুলো স্বাস্থ্যকর হয় না। লো ভাত হিসেবে খাবার কে তৈরি করার সময় সেখান থেকে
ফ্যাট সরিয়ে নিলে খাবার সুস্বাদু হয় না তাই খাবার সুস্বাদু করতে এবং বিক্রি
বাড়াতে প্রস্তুতকারীরা সাধারণত এসব খাবারের সাথে অতিরিক্ত চিনি যোগ করে। যা খেলে
পেটে চর্বি জমতে পারে।
চর্বি কমানোর উপায় কিঃ চিনিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি আছে যা খাবারের সাথে যুক্ত করলে খাবারটি কে অস্বাস্থ্যকর করে তোলে এবং সেইসাথে আমাদের ওজন বাড়ায়। তাই কোন খাবার কেনার আগে প্যাকেটে চিনিমুক্ত কিনা সেটা যাচাই করে নিতে হবে এবং মোড়কে লেখা দেখে নিতে হবে।
কাজের প্রতি একটিভ হোন
শুয়ে বসে থাকলে পেটে চর্বি জমে এটা সবারই জানা আছে। এর সহজ সমাধান হলো আপনাকে
প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে দ্রুত হাঁটতে হবে। প্রতিদিন হাটা আপনার শরীরের জন্য অনেক
উপকার হবে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পেয়ে এবং শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে যাবে।
কখনো রাতারাতি শরীরে চর্বি কমানোর আশা করবেন না। এতে আপনার হস্ত ঝুকি হতে
পারে।
আপনি প্রতিদিন হাঁটা চালিয়ে যাবেন সাথে কিছু ভারি জিনিস উপরে নিচে ওঠানামা করবেন। অন্য কোন ব্যায়াম আপনার জন্য দরকার হলে আপনি সেই ব্যায়াম করতে পারেন। অনেকদিন ধরে কাজ করেন নাই, এমন ব্যক্তিরা শূন্য থেকে ৫কিলোমিটার পর্যন্ত অনুসরণ করে দৌড়াতে পারেন।জিমে না গিয়ে ঘরে বসেও আপনি কোন উপকরণের সাহায্যে ব্যায়াম করতে পারেন।
কিভাবে পেটে চর্বি কমানো যায় এ সম্পর্কে লেখক এর শেষ বক্তব্য
প্রিয় পাঠক, আমি আশা করব আমার লেখা আর্টিকেলে মাধ্যমে আপনি কিভাবে পেটে চর্বি
কমানো যায় এবং চর্বি কমানোর উপায় গুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এই
পরামর্শ গুলো আপনার শুধু পেটেরই চর্বি কমাবে না, পেটের চর্বি কমানোর পাশাপাশি
কোমরের চর্বি কমাবে, উরুর চর্বি কমাবে, নিতম্বরের চর্বি কমাবে ও মুখের চর্বি
কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আমার লেখা আর্টিকেল পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইট
ভিজিট করুন। আর নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে লাইক ও কমেন্টের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত
করবেন। আমার লিখায় আপনি যদি কোন কষ্ট পেয়ে থাকেন। তাহলে আমাকে ক্ষমা সুন্দর
দৃষ্টিতে দেখবেন। এতক্ষণ আমার সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url