দাতের রুট ক্যানেলের খরচ কত। রুট ক্যানেলের উপকারিতা ও ৫টি অপকারিতা

দাঁতের রুট ক্যানেলের খরচ কত, এ কথা ভাবছেন। ভাবনার কোন কারণ নাই। আজ আমি আপনাকে বলে দিব দাতের রুট ক্যানেলের খরচ কত। রুট ক্যানেল কেন করবেন, দাঁতের সমস্যায় রুট ক্যানেল করা কেন এত জরুরি। 

রুট ক্যানেল করা যদিও ব্যায় বহুল তবে অনেক সুবিধা আছে। চলুন তাহলে রুট ক্যানেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ দাঁতের চিকিৎসায় কেন রুট ক্যানেল করব

দাঁতের রুট ক্যানেলের খরচ কত

দাঁতের রুট ক্যানেলের খরচ কত এটা নির্ভর করে আপনার দাঁতের প্রকারের উপর। আপনার দাঁত যদি সামনের হয় তবে রুট ক্যানেলে খরচ হবে সর্বনিম্নে ২০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত। আর আপনার দাঁত যদি প্রিমোলার দাঁত হয়, তাহলে রুট ক্যানেল করতে সর্বনিম্ন খরচ হবে ২০০০-৩০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫০,০০০ হাজার টাকা। 

আবার আপনার যদি মোলার দাঁত হয় তাহলে দাঁতের রুট ক্যানেলের সর্বনিম্ন খরচ হবে ২০০০-৪০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ  ১৫০,০০০ হাজার টাকা। তবে দাঁতের রুট ক্যানেলের চিকিৎসার খরচ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তনও হতে পারে। বাংলাদেশ বেসরকারি চেম্বারগুলোতে সাধারণত রুট ক্যানেল করতে খরচ হয় ৪০০০ টাকা।

বাংলাদেশের একমাত্র ডেন্টাল কলেজ হচ্ছে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ এন্ড হাসপাতাল। এ হাসপাতালটি ঢাকা মিরপুরে অবস্থিত এখানে দাঁতের বিভিন্ন সমস্যার চিকিৎসা করা হয়। এখানকার চিকিৎসা খরচ তুলনামূলক ভাবে কম হয়। আপনাদের সুবিধার জন্য দাঁতের রুট ক্যানেলের খরচ কত এ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ক্রমিক নং চিকিৎসার নাম টাকার পরিমান
রুট ক্যানেল ৫০০-১০০০ টাকা
ফিলিং ১০-১০০ টাকা
স্কেলিং ১০০-৫০০ টাকা
দাত তোলা ১০০-৫০০ টাকা
মুখের ক্যানসার ১০০০০-১০০০০০ টাকা
ডেনচার ৫০০০-১০০০০ টাকা
মুখের টিউমার ১০০০০-১০০০০০ টাকা
এক্সরে ৫০-৫০০ টাকা
বায়োপস ৫০০-৫০০০ টাকা

দাঁতের রুট ক্যানেল কি

দাঁতের রুট কেনেন কি। কেন রুট ক্যানেল করতে হয়। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হক। বিভিন্ন কারণে অনেক সময় আমাদের দাঁতের মাঝে গর্ত বা ক্ষয় হতে দেখা যায়। আর সেই গর্ত দাঁতের অনেক গভীরে বিস্তৃত হয়ে এনামেল ডেন্টিনকে ভেদ করে দাঁতের মজ্জাকে আক্রান্ত করে। ফলে ঠান্ডা বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে দাঁতে প্রচন্ড শির শির করে এবং অসহনীয় ব্যাথা অনুভূত হয়।
 
এই ব্যথা কখনো মাথায়, চোখে, কানেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। রোগের ধরন এমন অবস্থায় পৌঁছিলে রোগীকে যে চিকিৎসা প্রদান করা হয় সেটিকে রুট ক্যানেল বলে। রুট ক্যানেল চিকিৎসা প্রক্রিয়া হচ্ছে-দাঁতের ভিতরের আক্রান্ত মজা কে অপসারণ করা যার ফলে দাঁতের ব্যথা সম্পূর্ণভাবে চলে যায়। রুট ক্যানেল হচ্ছে ব্যথা মুক্ত চিকিৎসা।


ডাক্তার যদি আপনাকে রুট ক্যানেলকরার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তাহলে ভয়ের কোন কারণ নেই। রুট ক্যানেলের মাধ্যমে দাঁতের আক্রান্ত মজ্জাকে অপসারণ করে দাঁতের ফাঁকা অংশ কে কৃত্রিম ভাবে ভরাট বা ফিলিং করে দেওয়া হয়। এ রুট ক্যানেলকে স্থায়িত্ব করার জন্য দাঁতের উপরে কৃত্রিম ভাবে কেপ পরিয়ে দেওয়া হয়। যা দাঁতের ক্যাপ হিসেবে পরিচিত।

রুট ক্যানেল করার ধাপসমূহ

প্রথম ধাপঃ এটি সাধারণত দন্ত চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত হয় প্রথমে আক্রান্ত দাঁতের মাড়িতে অসার করার ঔষধ ব্যবহার করেন। তারপর তিনি দাতের মাড়িতে একটি চেতনা নাশক ইন্ধন ইনজেকশন ইঞ্জেকশন দেন। এই ইঞ্জেকশনটি টিমটি দেওয়ার মতো সংবেদন সৃস্টি করতে পারে। এ ব্যথা চলে যেতে বেশি সময় লাগে না।

দ্বিতীয় ধাপঃ দ্বিতীয় ধাপে ডেন্টিস্ট বা দাঁতের চিকিৎসক দাঁতের শীর্ষে একটি অসাড় বা খোলার সৃষ্টি করেন। আক্রান্ত স্থানে বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত মজ্জাকে অপসারণ করেন। এই অপসারণ কে ফাইল বলা হয়। দন্ত চিকিৎসকগণ আক্রান্ত দাঁত টিকে পরিষ্কার করার জন্য অতিরিক্ত সর্তকতা অবলম্বন করেন।

তৃতীয় ধাপঃ রুট ক্যানেল করার তৃতীয় ধাপ হচ্ছে-দাঁতের অপসারণ করা হলে সংক্রমন চলে গেছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ডাক্তার একটি ট্রপিক্যাল এন্টিবায়োটিক দিয়ে জায়গাটি আবরণ করে দেন। দাঁতের গর্ত গুলো পরিষ্কার করার পাশাপাশি জীবাণুমুক্ত করেন। একটি সিলার পেস্ট বা রাবারের মতন একটা উপাদান দিয়ে দাঁতটি সিল করে দেন, এই সিল করাকে গুটা- পারচা বলা হয়।

চতুর্থ ধাপঃ চতুর্থধাপে ডাক্তার আপনার দাঁতের উরের অংশে একটি অস্থায়ী উপাদান দিয়ে ভরাট করার পরে কাজটি শেষ করবে, এটি আপনার লালা কে দাঁতের গর্তের ক্ষতি হতে বাধা দিবে।

রুট ক্যানেল করবার পর আপনার দাঁতে মাড়ি ফুলে যেতে পারে এবং ব্যথা করতে পারে। আর ব্যথা যদি তীব্র হয়ে যায়। তখন অনেক চিকিৎসকগণ সাধারণত এসিটামিনোফেন বা আইবুপ্রোফেনের মতো অভার -দ্যা-কাউন্টার ঔষধগুলো ব্যবহার করতে বলেন। এরপর আপনার ব্যথা যদি চরম আকার ধারণ করে তবে আপনাকে আপনার দাঁতের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

রুট ক্যানেল কতদিন স্থায়ী হয়

আপনার দাঁত যদি রুট ক্যানেল করা হয়, এদাতের এই দাঁতের সঠিক যত্ন নিলে এটা কয়েক দশক পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে এমন কে সারা জীবনও স্থায়ী হতে পারে। তবে রুট ক্যানেল চিকিৎসা করা দাঁত সুস্থ দাঁতের চেয়ে দুর্বল হয়ে থাকে। কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে দাঁতের রুট ক্যানেল করা স্থায়ী কি? আমি উত্তরে বলব হ্যাঁ রুট ক্যানেল চিকিৎসা সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে সর্বদাই স্থায়ী নয়।


আপনি যদি দাঁতের সঠিক যত্ন নিতে পারেন, তাহলে রুট ক্যানেল চিকিৎসা আজীবন স্থায়ী হতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুনরায় সংক্রমিত হলে, চিকিৎসা কিংবা রুট ক্যানেল করার প্রয়োজন হতে পারে। রুট ক্যানেলকে স্থায়ী করার জন্য ডাক্তার দাঁতের উপরে একটি ক্যাপ লাগানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। দাঁতে এই ক্যাপ পরানো হলে দাঁত স্থায়ী হয়ে যায়।

দাতের রুট ক্যানেল সম্পর্কে আরো কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো-
  • আপনি যদি আজকে রুট ক্যানেল করেন, তাহলে আপনার দাঁত স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হবে।
  • রুট ক্যানেল করার পর আপনার দাঁতকে নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপ করা উচিত।
  • রুট ক্যানেল চিকিৎসার পর আপনার দাঁতের উপরে ক্যাপ লাগানো জরুরী। এতে করে আপনার দাঁত  সারা জীবন স্থায়ী হতে পারেএবং দাঁতকে ভবিষ্যতে জীবাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
  • দাঁতে রুট ক্যানেল করার ফলে আপনার দাঁতে ভবিষ্যতে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
  • রুট ক্যানেল করার ফলে আপনার দাঁতের ব্যথা স্থায়ীভাবে চলে যায়। দাতের রুট ক্যানেলের খরচ কত তা উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

দাঁতের রুট ক্যানেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

আপনার দাঁতে যদি রুট ক্যানেল করা হয়ে থাকে, এই দাতে যদি পুনরায় সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাহলে পরবর্তীকালে দাঁত তুলতে গেলে খুবই কষ্ট হয়। তাই দাঁতের সমস্যা এড়াতে আগে বিভিন্ন ভাবে ব্যবস্থা নিন। এজন্য নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে ভুলবেন না। দাঁতের ভিতরে কোন অংশ যদি সংক্রমিত হয় এবং সংক্রমিত স্থানে যদি গর্তের সৃষ্টি হয় কিংবা দাতের মাড়ি ফুলে যায়। ডাক্তার রুট ক্যানেল করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
দাঁতের গোড়ায় থাকার রক্তনালী সংক্রমণের জেরে স্ফীত হয়ে যায়।এ দাত কে বাঁচাতে তখন রুট ক্যানেল করা অপরিহার্য হয়ে যায়। দাঁতকে তুলে না ফেলে দাঁত বাঁচাতেই এই পন্থা অবলম্বন করতে হয়। রুট ক্যানেল করবার পরেও যদি আপনার ব্যথা দুইদিন স্থায়ী হয় কিংবা অন্য কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় যেমন দাঁতের মাড়ে ফুলে যায় এমনত অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বা চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ রাখা উচিত।

দাঁতের রুট ক্যানেল করার পর যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে সেগুলো হলো-
  • রুট ক্যানেলের পর আপনাকে কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা পর ব্রাশ করতে হবে।
  • রুট ক্যানেল এর পরে আপনাকে জেলি কিংবা আঠার মত কোন খাবার খাওয়া যাবেনা।
  • রুট ক্যানেল এর পরে অল্প চিবিয়ে জিনিস খেতে হবে শক্ত কোন খাবার খাওয়া যাবে না।
  • আপনার দাঁতে রুট ক্যানেল করার পর আপনি অবশ্যই নরম খাবার খাবেন।
  • রুট ক্যানেলের পর কোন গরম খাবার খাওয়া যাবেনা। এসব বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই দৃষ্টি রাখতে হবে।
দাঁতে রুট ক্যানেল করার উদ্দেশ্য হলো দাঁতের ভিতরে জমানো সংক্রমণ দূর করে দতকে জীবাণুমুক্ত করা এবং ভবিষ্যতে জীবাণুর আক্রমণ থেকে দাঁত কে রক্ষা করা।

রুট ক্যানেল এর সঙ্গে চোখের কোন সম্পর্ক আছে কিনা

রুট ক্যানেল করার পর আপনি যদি মনে করেন আপনার চোখে কোন সমস্যা হচ্ছে যেমন আপনি চোখে কম দেখেন কিংবা ঝাপসা দেখেন। আপনার শরীরে ভিটামিন এ এর অভাব হলে দৃষ্টি শক্তি কমে যাবে। এরকম হলে আপনি দুই সপ্তাহ ধরে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাবেন। ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন কে এর অভাবেও দৃষ্টি শক্তি কম হতে পারে।

 
এসব ভিটামিন ক্যাপসুল খাবারের পরও যদি আপনার উপকার না আসে এবং ভালো ফলাফল না পান । তাহলে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দাতের চিকিৎসা নিয়ে অযথা ভয় পাবার কারণ নেই। দাঁতের রুট ক্যানেলের সাথে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। একথা আপনি নিশ্চিত হতে পারেন। ডাক্তার যদি আপনাকে রুট ক্যানেল এর পরামর্শ দিয়ে থাকে। তাহলে আপনি অযথা চিন্তা না করে রুট ক্যানেল করবেন।

রুট ক্যানেল কতটা নিরাপদ

আমাদের মাঝে এ আছেন যারা দাঁতের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। সব তো কিছু চেয়ে বারে শুরু হয় ব্যথা হারে কামড় দিলে অনেক সময় দাঁত ভেঙে যায়। টানা মাংস খাবার পর মাংসের কিছু উচ্ছিষ্ট অংশ দাঁতের ফাঁকে জমে থাকে এবং দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হয়। আবার কারো কারো দাঁতে গর্ত হতে দেখা যায় সঠিক সময় যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে এ জটিলতা আরো বেশি গুণে বাড়তে থাকে।

দাঁতের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্য দাঁতের ফিলিং করতে হয়। আবার রুট ক্যানেল করলেও এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দাঁতের চিকিৎসকগণ বলেন-দাতে গর্ত বড় ধরনের হলে ফিলিং এবং রুট ক্যানেল শেষে ক্যাপ করা জরুরি। ক্যাপ করা না হলে গঠনগত দুর্বল দাঁত, নকল দাঁত, শক্ত হাড় কামড়াতে গেলে ভেঙ্গে যেতে পারে। 

নানা রকমের সমস্যা তৈরি হয়। আপনার দাঁতের মাঝে যদি গর্তটি বড় হয়ে থাকে, তাহলে এই দাতকে আপনাকে ফিলিং অথবা রুট ক্যানেল করে নিতে হবে। মাড়ির দাঁতে রুট ক্যানেল শেষে ক্যাপ বা কৃতিম মুকুট লাগে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আপনার দাঁতে যদি বড় ধরনের ফিলিং করা থাকে, সে দাঁত দিয়ে হাড় না খাওয়াই ভালো।

রুট ক্যানেল প্রতিরোধের উপায়

কথায় আছে আরগ্যের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো। আপনার দাঁতে কোন রোগে আক্রান্ত হবার পূর্বে আপনাকে কিছু টিপস গ্রহণ করতে হবে। রুট ক্যানেল প্রতিরোধের উপায় গুলো আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে করা হলো-
  • আপনাকে নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে বিশেষ করে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করতে হবে।
  • আপনার দাঁত নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করতে হবে।
  • দাঁত ভালো রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার অনুসরণ করতে হবে।
  • সব তো কোন খাবার বেশি করে খাওয়াবে না। অতিরিক্ত শক্ত খাবার এবং চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় পরিহার করুন।
  • ফলক তৈরি নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত ফ্লস করুন।
  • দাঁতকে সুস্থ রাখার জন্য আপনি অবশ্যই ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন।
রুট ক্যানেল করলে আপনি কখনো ভয় পাবেন না। একজন ভালো ডেন্টিস সব সময় আপনার আরাম কে অগ্রাধিকার দিবেন। সঠিকভাবে রুট ক্যানেল করা হলে আপনার দাঁতে কোন ব্যাথা থাকবে না। আপনি অনেক অনুভব করবেন। আপনার দাঁতের সমস্যা কে স্থায়ীভাবে দূর করতে হবে। এ কারণে একজন সঠিক ডাক্তার বাছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন।
 
রুট ক্যানেল করার জন্য আপনাকে আপনার শহরের কাছাকাছি শীর্ষ অর্থ ডেন্টিস্টের খোঁজ করতে হবে। এবং আপনার পছন্দমত একটি ইন ক্লিনিকে এপার্টমেন্ট বেছে নিতে হবে। যাতে করে আপনি দাঁতের চিকিৎসা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারেন।

রুট ক্যানেলের প্রয়োজনীয় লক্ষণ

আপনার কেন রুট ক্যানেল করা প্রয়োজন সে সম্পর্কে আলোচনা করব। এমন অনেক লক্ষণ আছে যার কারণে আপনাকে রুট ক্যানেল এর প্রয়োজন হতে পারে। আপনার দাঁতে যদি ব্যথা স্পষ্ট এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। আপনি যদি কোন কিছু কামড়াতে বা চিবানোর সময় ব্যথা অনুভব করেন। তাহলে বুঝতে হবে আপনার দাঁতে সম্ভবত রুট ক্যানেলে ইনফেকশন হয়েছে।


তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। আপনার দাঁতে চিকিৎসা করার জন্য কোন কার্পণ্য করবেন না। এ বিষয়ে আপনি যত দেরি করবেন আপনার জটিলতা তত বাড়বে। এখানে আরো অনেক লক্ষণ আছে যা আপনাকে একজন দন্ত চিকিৎসকের কাছে যাবার পরামর্শ দেয়। আপনার দাঁতের মাড়িতে যদি ফুসকুড়ি হয়। 

তখন আপনি রুট ক্যানেল করার প্রয়োজন হতে পারে, কারণ এটি একটি সংক্রমক। রুট ক্যানেল হলো দাঁতের ভেতরের একটি সজ্জাস্থান। যখন এটি রক্তনালি স্নায়ু এবং দাঁত সজ্জায় সংক্রামিত হয়, তখন এটি ব্যথা এবং ফোলা হতে পারে। সংক্রামিত সজ্জা অপসারণ করে দাঁতকে সংরক্ষণ করার জন্য রুট ক্যানেল করা প্রয়োজন।

রুট ক্যানেলের সুবিধা

দাঁতে রুট ক্যানেল করার অনেক সুবিধা রয়েছে। রুট ক্যানেল পদ্ধতি আপনার দাঁতকে স্থায়ী ভাবে সংরক্ষণ করতে পারে। যাতে আপনার দাঁত খারাপ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং সংক্রমিত না হয়, রুট ক্যানেল দাতের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুকে অপসারণ করে আপনার দাঁত কে নিরাময় ও আরাম দায়ক করে দেয়।

রুট ক্যানেল করার আরেকটি সুবিধা হল এটি ব্যথাকে স্থায়ীভাবে চলে যেতে সাহায্য করে। যদি আপনার দাঁতে ব্যথা হয়ে থাকে রুট ক্যানেলের আপনার ব্যথার উৎসকে সরিয়ে দিতে পারে এবং আপনাকে আরামদায়ক করতে সাহায্য করে।

আরো অনেক ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে যদি আপনি সঠিকভাবে দাঁতের চিকিৎসা না করেন। তাহলে আপনার ক্ষতি অনেকাংশে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং সমস্যা আরো গুরু্তর হতে পারে। একমাত্র রুট ক্যানেলই পারে আপনাকে এসব সমস্যা এবং ক্ষতি থেকে এড়াতে এবং আপনার দাঁত কে সুস্থ রাখতে।

দাঁতের রুট ক্যানেলের খরচ কত কে নিয়ে শেষ কথা

দাঁতের রুট ক্যানেলের খরচ কত এ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে রুট ক্যানেলের সুবিধা অসুবিধা এবং রুট ক্যানেল এর স্থায়িত্ব, রুট ক্যানেল করায় চোখের কোন ক্ষতি হয় কি না, এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি আমার এই আর্টিকেল পড়ে রুট ক্যানেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আমার এই আর্টিকেল পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল পেতে আমার ওয়েবসাইট ফলো করুন। লাইক কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাকে আর্টিকেল লিখতে উৎসাহিত করুন। আর আমার লেখায় যদি আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকি তবে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url