কাগজে মোড়ানো খাবার মৃত্যুর ঝুঁকি, আমরা কী সচেতন
কাগজে মোড়ানো খাবার মৃত্যুর ঝুঁকি, আমরা কতটুকু সচেতন? পুরনো পত্রিকা কিংবা
ছাপা কাগজের ঠোঙ্গায় মোড়ানো খাবারে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকি রয়েছে।
আপনি আপনি কি জানতে চাচ্ছেন কাগজে মোড়ানো খাবারগুলো কেন স্বাস্থ্য
ঝুকি,কেনবা কঠিন রোগের কারন।
চলুন আজ আমি আপনাদের পত্রিকা কিংবা ছাপা কাগজের ঠোঙ্গায় মোড়ানো খাবার মারাত্মক
স্বাস্থ্য ঝুকি এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পেইজ সূচীপত্রঃ কাগজে মোড়ানো খাবার মৃত্যুর কারন
- কাগজে মোড়ানো খাবার মৃত্যুর ঝুঁকি, এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
- কেন আমরা কাগজে মোড়ানো খাবার পরিহার করব
- লেখা কাগজের বিকল্প উপায় কি
- ফলের গায়ে লাগানো স্টিকার স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ
- খবরের কাগজে মোড়ানো খাবার ক্যান্সারের কারণ
- ভুলেও খাবেন না কাগজে মোড়ানো খাবার
- কাগজের প্রতি শিশুদের বেশি আকর্ষণ
- কাগজে মোড়ানো খাবার শারীরিক ক্ষতি
- কোন ধরনের কাগজে স্বাস্থ্য ঝুকি থাকে না
- কাগজে মোড়ানো খাবার নিয়ে লেখকের মন্তব্য
কাগজে মোড়ানো খাবার মৃত্যর ঝুঁকি,এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
কাগজে মোড়ানো খাবার মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করছি।আমাদের চারপাশে গ্রামে-গঞ্জে শহর কিংবা নগরে এদিকে তাকালে দেখা যায়,
ফুটপাতের দোকান গুলোতে কেনাবেচার আনাগোনা। দোকানদার বাবু হারহামেশাই , তাদের
দোকানের খাবারগুলো ক্রেতার হাতে তুলে দিচ্ছে। প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি
জানেন এসব খাবার আমাদের জন্য মোটেই নিরাপদ নয়।
এগুলো খাবার খেলে আমাদের বিপদ ডেকে আনতে পারে। খবরের কাগজের উপরে লেখায়
যে কালি ব্যবহার করা হয়, তাতে ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে। যা খেলে আমরা মৃত্যু
মুখে ঢলে যেতে পারি। কিন্তু আমরা কতটুকু জানি। সম্প্রীতি এক চিকিৎসা বিজ্ঞানী
জানিয়েছেন, পুরাতন কাগজে মোড়ানো খাবার খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনিবার্য।
আরো পড়ুনঃ ডালিম খাওয়ার অপকারিতা
এতে আশঙ্কা করা হয়েছে হৃদরোগ, কিডনি সহ ক্যান্সার রোগের। এ বিষয়ে সাধারণ
মানুষই উদাসীন নয়, উদাসীন কর্তৃপক্ষও বটে।প্রিয় বন্ধুরা কাগজের ঠ্যাঙ্গায়
মোড়ানো খোলা খাবার গুলো যে কেনাবেচা হয় তা আমাদের সবার কাছেই পরিচিত। আপনি
কি জানেন এই ঠোঙ্গা বা মোড়ক কি দিয়ে তৈরি হয়। এগুলো তৈরি হয় পুরাতন
পত্রিকা কিম্বা পুরনো বই খাতা দিয়ে।
একজন স্বাস্থ্যবিজ্ঞানে বলেছেন, এসব কাগজ তৈরি করা হয় কোলোরাইট হাইড্রোফোসিস
অ্যাসিড যা ক্যালসিয়াম, অক্সাইড সহ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল থাকে। আর ছাপার
জন্য যে কালি ব্যবহার করা হয় তাতে কপার, জিংক ও প্রিজারভেটিভ থাকে।
এসব আমাদের দেহে অত্যন্ত ক্ষতিকর। শুধু তাই নয়, এসব খাবার মৃত্যুর কারণ
হয়ে দাড়িয়েছে।
এ ধরনের কাগজে মোড়ানো খাবার থেকে মানুষের শরীরে বিষক্রিয়া দেখা দিতে
পারে, হরমোনের জটিলতা ও পেটের সমস্যা হৃদরো্ কিডনির জটিলতা সহ সহ
ক্যান্সারেরও ঝুঁকি রয়েছে। নিরাপদ খাদ্য আইন অধিদপ্তর ২০১৩ এর ৩৩ ধারা
অনুযায়ী সর্বনিম্ন এক বছর ও সর্বোচ্চ তিন বছর সহ ন্যূনতম ৩ লাখ টাকা অর্থ
কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান থাকলেও প্রয়োগের কোনো দৃষ্টান্ত নেই।
এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থার নামে মাত্র ভূমিকা পালন করে।
পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা তাদের দায়িত্ব শেষ করে। মনিটরিং না
থাকলে সচেতনতা বাড়ানো দরকার। পত্রিকা হাঁপানো কাগজ কাগজে মোরগ
দিয়ে খাবার বিক্রি বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে হবে কেউ অভিযান প্রতিনিয়ত চালু
করতে হবে অবহেলা করলে চলবে না।
কেন আমরা কাগজে মোড়ানো খাবার পরিহার করব
খবরের কাগজ বা লিখিত কাগজে যে কালি ব্যবহার করা হয় তা ক্ষতিকর রং। এ রঙে
পিগমেট ও প্রিজারভেটিভ থাকে, যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পুরনো
কাগজে থাকে রোগ সৃষ্টিকারি জীবানু।। বিভিন্ন অণুজীব খবরের কাগজ, ছাপা কাগজ ও
লিখিত কোন কাগজে দিয়ে ঠোঙ্গায় নিয়মিত খাবার খেলে মানবদেহে ক্যান্সার,
কিডনি, জটিলতা ও হৃদরোগ সৃষ্টি হতে পারে।
কোন কোন বিশেষ্যজ্ঞ্ররা বলেছেন, ঠোঙ্গাই আনা কাঁচা সবজি যদি স্বাস্থ্যবিধি
মেনে রান্না করা হয়, তারপরও ঝুঁকি কমে না। শুধু তাই নয়, ঠোঙ্গায় বিপদের
মাত্রা বলতে বুঝাচ্ছে, খবরের কাগজ রাসায়নিকভাবে রিসাইকেল করে তা দিয়ে কাগজ
তৈরি ও কার্ডবোর্ডের উপাদানেও বিপদের ঝুঁকি থেকে যায়।
শুধু কি কাগজের ঠোঙ্গা আমাদের খাবারগুলোকে বিষাক্ত করছে? না অনেক সময়
দোকানপাট থেকে অতি নিম্নমানের রঙ্গিন কাপড়ের থলেতে খাবার নিয়ে আসা হচ্ছে
থলের কাপড়ের রং সহজে খাবারে মিশে যাচ্ছে এভাবে সম্ভবত খাবারের সঙ্গে রং
পেটের মধ্যে যাচ্ছে, ফলে আমরা স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়ে যাচ্ছি। সুতরাং আমাদের
খবরের কাগজ, ছাপা কাগজ কিম্বা লিখিত কাগজে খাবার পরিহার করা উচিত।
লেখা কাগজের বিকল্প উপায় কি
কাগজে মোড়ানো খাবার মৃত্যুর ঝুঁকি। তাই লেখা কাগজের বিকল্প উপায় বের করা
উচিত। বইয়ের কাগজ, ছাপা কাগজ ও লিখিত কাগজে করে ফুচকা, ঝালমুড়ি, রোল,
পিয়াজু, জিলাপি, পরোটা, সিঙ্গা্রা, ইত্যাদি খাবার স্বাস্থ্যের
জন্য ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এই ধরনের
কাগজে খাবার পরিবেশন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিজ্ঞাপন জারি করা
হয়েছে। ব্যবসায়িক হোটেল কিংবা রেস্তোরাঁ কতক খাবার ব্যবসায়ীরা
সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিরাপদ ও পরিষ্কার পাত্র ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছন।
আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার উপকারিতা
এমনিতে আমাদের দেশে খাবারের বিশুদ্ধতা রক্ষা করা খুবই কঠিন। তাছাড়া খবরের কাগজ কিংবা লেখার কাগজের বিকল্প হিসেবে কলাপাতা, কাঁঠালপাতা ও সালপাতা প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করার উপায় বের করতে হবে। সবাই যদি আগ্রহের সাথে এই উদ্যোগ নেই, তাহলেই এসব ক্ষতিকর কাগজ ব্যবহার করা থেকে সরে আসা সম্ভব হবে।
তবে আমাদের কোন স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকবে না।শুধু কি কাগজের ঠোঙ্গা আমাদের খাবারগুলোকে বিষাক্ত করছে না অনেক সময় দোকানপাট থেকে অতি নিম্নমানের রঙ্গিন কাপড়ের থলেতে খাবার নিয়ে আসা হচ্ছে। থলের কাপড়ের রং সহজে খাবারে মিশে যাচ্ছে এভাবে সম্ভবত খাবারের সঙ্গে রং আমাদের দেহের মধ্যে প্রবেশ করছে।ফলে আমরা অসুস্থ্য হয়ে যাচ্ছি।
ফলের গায়ে লাগানো স্টিকার স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ
খবরের কাগজ, পুরনো বইয়ের কাগজ কিংবা লেখার কাগজেই শুধু স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে
ফেলে না। ফলের গায়ে লাগানো স্টিকার ও স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম কারণ। ফলের
গায়ে লাগানো স্টিকার দিয়ে আমাদের বিভ্রান্তি করা হচ্ছে। ভীনদেশী আপেল,
কমলা, মালটা ইত্যাদি ফলের গায়ে ছোট ছোট স্টিকার লাগানো হয়। কিন্তু স্টিকার
লাগানো ফলগুলো খাওয়াই স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বন্ধুরা এই ধরনের স্টিকার লাগানো মূল উদ্দেশ্য হলো ফলটির সামগ্রিক উৎপাদন
প্রক্রিয়া সম্পর্কে গ্রাহকদের পূর্ব ধারনা দেওয়া ।যাতে করে বোঝা যায় এটির
গুণগত মান কেমন, রাসায়নিক না জৈবিক সার ব্যবহার করা হয়েছে ইত্যাদি। স্টিকার
লাগানোর জন্য যেসব আঠা ব্যবহার করা হয় তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের
স্টিকার লাগানো ফল নিয়মিত খেলে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দিন
দিন বেড়ে যাচ্ছে।
তারপরেও এ বিষয়টিকে কোন ক্ষেত্রে নজর দেয়া হচ্ছে না। ভেজালযুক্ত ও অনিরাপদ
খাবার আমাদের মত দেশগুলিতে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ফলমূল শাক সবজি,
মিষ্টান্ন দ্রব্, মাছ-মাংস বেকারির খাদ্য সামগ্রী সহ এমন কোন খাদ্য নেই, যে
ভেজাল মেশানো হয় না। ভেজালের কারণে আমাদের পছন্দ খাবারগুলোকে আমাদের কাছ
থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। আর খাদ্য তালিকাকে ছোট বা সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ফলের সাথে ভেজাল যুক্ত থাকার কারণে ফল খাওয়া
ছেড়ে দিয়েছেন। যদিও ফল অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার ছিল। তারা বলেন যে, টাকা
দিয়ে বিষ কেনার মানে হয় না। এমন তো অবস্থায় সরকারকে ভেজালমুক্ত খাদ্যের
বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাওয়া দরকার। দুষ্টু চক্রকে আইনের আওতায়
এনে শাস্তি দেওয়া উচিত। তাই বিষয়টিকে জরুরি ভিত্তিতে বিবেচনায় নেওয়া এখন
আমাদের সময়ের দাবি।
খবরের কাগজে মোড়ানো খাবার ক্যান্সারের কারণ
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা প্রতিদিন খবরের কাগজে মোড়ানো ভাজাপোড়া, পুরি,
সিঙ্গারা. চপসহ আরো অনেক কিছু খেয়ে থাকি। এসব খাবার থেকে তেল বের হয়ে
কাগজের সঙ্গে মিশে যায়। আমরা যখন এসব খাবার খাই, তখন আমাদের শরীরে গিয়ে
মারাত্মক বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে। খবরের কাগজে মোড়ানো খাবার স্বাস্থ্যের জন্য
অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ফুসফুসের ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার সহ নানা রোগের সৃষ্টি হতে পারে এই কাগজে
মোড়ানো খাবার খেলে। তাই আমাদের কাগজে মোড়ানো খাবার খাওয়া উচিত নয়। খবরের
কাগজে যে কালি থাকে, তাতে লাইন নেপোথাইলামাইন, অ্যারোমেটিক হাইড্রোজেন ও কার্বন
যৌগের মতো বায়ু একটিভ পদার্থ ব্যবহার করা হয়।
খবরের কাগজে মোড়ানো এসব খাবারে এই উপাদান গুলো সহজেই মিশে যায়। দীর্ঘদিন ধরে
এই যৌগ পদার্থ গুলি শরীরে ঢুকলে দেখা দিতে পারে মরণ ব্যাধি । বন্ধুরা আমরা যখন
কোন খাবার খবরের কাগজে মোড়ানো ভাবে খেয়ে থাকি, তখন খবরের কাগজে লেখা যে কালি
ব্যবহার করা হয় তা খাবারের সাথে মিশে যায়। এই কালি মুত্রনালীর মতো
ক্যান্সারের প্রধান কারণ বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
এই কালি শরীরে ঢুকলে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হতে পারে। যাতে করে পেটের হজমের
সমস্যা হবে, হার্ড দূর্বল, কিডনি, লিভার ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমে যাব, হার্ট
দুর্বল হবে এভাবে একাধিক রোগের কারণ হতে পারে। খবরের কাগজের কালিতে যে
ক্ষতিকারক পদার্থবিদ্যমান যা নারীর মা হওয়ার সম্ভাব্য থাকে না। এমন কি তারা
বন্ধাতে পরিণত হয়। তাই সুস্থ থাকতে আমাদের খবরের কাগজে মোড়ানো খাবার এড়িয়ে
চলা উচিত।
ভুলেও খাবেন না কাগজে মোড়ানো খাবার
খবরের কাগজে মোড়ানো খাবার ভুলেও খাবেন না। কাগজে ব্যবহৃত কালিতে কিছু
রাসায়নিক পদার্থ থাকে। যা বিভিন্ন ভাবে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে
পারে। খবরের কাগজে মোড়ানো খাবার খাওয়া এবং বিক্রি করা দুটোই নিষেধ করেছেন
সরকার। কোন এক গবেষণায় জানা গেছে খবরের কাগজ প্রিন্টিং এর কালিতে যে বাই একটিভ
উপাদান থাকে।
আরো পুড়ুনঃ দাতের রুট ক্যানালের খরচ কত
যা আমাদের খাদ্যকে দূষিত করে আর এ খাবার খেলে স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে এই কালিতে ভারী ধাতুর মত শিশা ও রাসায়নিক পদার্থ
থাকতে পারে। যা মানব দেহে প্রবেশ করে বিশাল ক্ষতি করতে পারে। আমাদের এই খবরের
কাগজগুলো পড়ার পর বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকে। যার ফলে এই কাগজে
বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস রোগ জীবাণু দ্বারা দূষিত হয়।
ফলে খাদ্যের সাথে সহজে এ জীবাণুগুলো মিশে যায়। আর এসব খাবার খেলে মানবদেহে অতি
সহজে ক্ষতিকারক জীবাণুগুলো ঢুকে পড়ে। পড়ে বিষক্রিয়াতে পরিণত হয়। তখন
মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হয়, এমনকি মানুষ মৃত্যু মুখেও ঢলে পড়তে পারে। তাই
বলতেই হয়, কাগজে মোড়ানো খাবার মৃত্যুর ঝুকি।
কাগজের প্রতি শিশুদের বেশি আকর্ষণ
কাগজে মোড়ানো খাবার মৃত্যুর ঝুঁকি। একথা জানা সত্ত্বেও আমরা কতটুকু সচেতন হতে
পারছি সচেতন না হতে পারলে মৃত্যুই অনিবার্য। চলুন তাহলে জানা যাক, কাগজে লেখা
তৈরির মূল উপাদান হচ্ছে কালি, যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কেননা কাগজ
তৈরি কাজে কলোরাইট হাইড্রোফোসিস অ্যাসিড ক্যালসিয়াম, অক্সাইড সহ বিভিন্ন ধরনের
কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি হয়।
ছাপার জন্য যে কালি ব্যবহার করা হয়, তাতে থাকে কপার, জিঙ্ক, প্রিজারভেটিভ। তা
মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুকি, এমন কি মৃত্যুর কারন ও হতে পারে। তাই
অভ্যাসটিকে এড়িয়ে চলা উচিত। ছোটবেলায় অনেক শিশুর অনেক কিছুর প্রতি আকর্ষণ
থাকে। হোক সেটা খাবার, প্লাস্টিক, কাগজ আর আপনি যেটাই বলেন, দেখলেই তাড়াতাড়ি
মুখে তুলে দেয় এবং চিবাতে থাকে।
কাগজের চিবানোর জন্য দায়ী পাইকাহ। শিশু বড় হবার সময়কালে কোন কিছু
জীবাণোর চেষ্টা করে দাঁত বড় হওয়ার সময়ে এটা দেখা যায়। ১৮ থেকে ২৪ মাসে শুরু
হয় এটা ৬ বছর পর্যন্ত চলতে থাকে এজন্য দাঁত ওঠার সময় শিশুদেরকে আনহেলদি কোন
কিছু খাবার দেওয়া উচিত নয়।তো হেলদি জাতীয় খাবার যেমন শাকসবজি ফল চিবাতে দিলে
মন্দ হয় না। তো বন্ধুরা, আমাদের মনে প্রানে বিশ্বাস করা উচিত যে কাগজে
মোড়ানো খাবার মৃত্যুর ঝুঁকি। এজন্য আমাদেরকে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরী।
কাগজে মোড়ানো খাবার শারীরিক ক্ষতি
কাগজে মোড়ানো খাবার খেলে ক্যান্সারের মত মারাত্মক রোগ হতে পারে। সাধারণত খবরের
কাগজ, পুরনো বইয়ের অংশ বা ছেঁড়া কাগজের অংশ দিয়ে খাবার মুড়ে দেওয়া হয়।
কাগজে মিশে থাকে অনেক ক্ষতিকারক জীবাণু। আপনারা নিশ্চয় জানেন, সব কিছু রাখার
জায়গা হলেও কাগজ রাখার জাতগা হয় না। যেখানে সেখানে পড়ে থাকার কারণে অনেক
জীবানু এসে বাসা বাঁধে।
আরও তো আছে, কালীর ভয়ংকর উপাদান নেপোথালামাইন, অ্যারোমেটিক হাইড্রোজেন ও
কার্বন যৌগের মতো কঠিন পদার্থ ।যা আমাদের জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
কাগজে লেখা কালি কিছুটা মিশে যায়, আবার কিছুটা আলগা থাকে। যখন কোন রান্না করা
খাবার এ কাগজে পরিবেশন করা হয়, তার কিছু অংশ খাবারের সাথে লেগে যায়, ফলে এই
খাবার খেলে ক্ষতিকর কালি পেটে চলে যায়।
এই কারণে আমরা ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ি। আজকাল সব ধরনের মানুষের ক্যান্সার
নামক রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়, এসবের কারণ কি বলতে পারেন বন্ধুরা। কাগজে
মোড়ানো খাবারও এই মরণব্যাধির কারণ হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ বলেছেন, কাগজে
মোড়ানো খাবার মৃত্যুর ঝুঁকি। আমাদের উচিত স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকে নজরদারি
করা, এবং কাগজে মোড়ানো খাবার না খাওয়া। তাহলে আমরা অনেকটাই স্বাস্থ্যঝুকি
থেকে রক্ষা পেতে পারি।
কোন ধরনের কাগজে স্বাস্থ্য ঝুকি থাকে না
এমন কিছু কাগজ আছে, যেগুলোতে খাবার খেলে কিম্বা খাবার পরিবেশন করলে স্বাস্থ্য
ঝুকি থাকে না। কাগজ কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, এ কাগজগুলোর গুণগত মান
কেমন, কাগজটি মজবুত কিনা।খাবারে পরিবেশনায় কাগজটিতে লেখা থাকা যাবে না।
কাগজটিকে টেকসই ও মজবুত হতে হবে।টেকসই ও মজবুত কাগজ ছাড়া ঠোঙ্গা তৈরি
করা যাবেনা।
কাগজ কেনার সময় মজবুত কাগজ দেখে কিনতে হবে। তাছাড়া কাগজের ওজন বুঝে কাগজ
কিনতে হবে। ঠঙ্গার আকার যদি বড় হয় কিংবা ঠোঙ্গা যদি বড় হয় এর
আকার অনুযায়ী কাগজ নির্বাচন করতে হবে।খবরের কাগজ ও পুরনো বইয়ের কাগজ ছাড়াও খাম বা ঠোঙ্গা তৈরি করা যায়। এতে
করে খাবার খেলে কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকে থাকে না।
আরো পড়ুনঃ ওজন বাড়ানোর উপায়
আমরা হরহামেশাই এ কাগজগুলো দিয়ে ঠোঙ্গা তৈরি করতে পারি। আসলে আমরা কি এ
কাগজগুলো চিনি। চলুন বন্ধুরা আজকে তাহলে এ কাগজগুলোর সঙ্গে পরিচিত
হই।
অপসেট কাগজঃ এই কাগজ খাম তৈরির জন্য অত্যন্ত ভালো। আমরা অফসেট কাগজে
সংজ্ঞা তৈরি ঠোঙ্গা তৈরি করতে পারি এতে করে খাবার সরবরাহ করলে কোন স্বাস্থ্য
ঝুঁকি থাকে না। এটি সস্তা ও সহজলভ্য।
ক্রাফট কাগজঃ প্রাট কাগজটি টেকসই ও মজবুত কাগজ এটি দিয়ে বড় আকারের
খাম্বার ঠোঙ্গা তৈরি করা যায়।
কার্ডবোর্ড কাগজঃ কার্ডবোর্ড কাগজ দেখতে পুরু এবং শক্ত কাগজ এটি
গুরুত্বপূর্ণ দলিল বা উপহারের জন্য ব্যবহার করা হয় এই কাগজ দিয়ে ঠোঙ্গা তৈরি
করা উপযোগী।
ঠোঙ্গা তৈরীর উপযুক্ত কাগজ কোথায় পাবোঃবিভিন্ন স্টেশনারি দোকানে বিভিন্ন ধরনের
কাগজ পাওয়া যায় এগুলো দিয়ে খাম তৈরি করা হয়। কিম্বা কাগজের পাইকারি দোকানে
আপনি বড় পরিমানে কাগজ কিনতে পারবেন। এছাড়াও রয়েছে অনলাইন সপ। অনলাইনের
মাধ্যমে আমরা বরাবর এ কাগজগুলো কিনতে পারি।
তো বন্ধুরা আমরা ইচ্ছা করলে চাপা কাগজে মোড়ানো খাবার পরিহার করতে পারি এবং
স্বাস্থ্যসম্মত কাগজ ব্যবহার করে খাবার খেতে পারি। এতে করে কোন স্বাস্থ্য
জটিলতা থাকবে না। তাই আসুন আমরা সবাই মিলে একটা স্লোগান তুলি, কাগজে মোড়ানো
খাবার খাব না, স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াবো না।
কাগজে মোড়ানো খাবার নিয়ে লেখকের মন্তব্য
খবরের কাগজ কিংবা ছাপা কাগজে মোড়ানো খাবার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই নিরাপদ নয়।
আমাদের মনে রাখতে হবে খবরের কাগজে কিংবা ফাঁপা কাগজে মোড়ানো খাবার মৃত্যুর
ঝুঁকি। ছাপা কাগজের কালিতে ক্ষতিকারক উপাদান বিদ্যমান। কাগজের ঠঙ্গায় মোড়ানো
খাবার খেলে ধীরে ধীরে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারি, এমনকি মৃত্যুমুখেও ঢলে
পড়তে পারি।
তো বন্ধুরা আসুন আমরা সবাই সচেতন হই, এবং কাগজে মোড়ানো খাবার পরিহার করি। এবং
স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমায় তো বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের কাগজে মোড়ানো
খাবার মৃত্যু ঝুঁকি এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যদি আপনাদের ভালো লেগে
থাকে তবে এ ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে উৎসাহিত করবেন এবং নিয়মিত আমার
ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। আমার লেখায় যদি কোন ভুল হয়ে থাকে এবং আপনাদের কষ্ট
দিয়ে থাকি তবে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url