অনলাইনে ইনকাম করুন। ঘরে বসে আয় করবেন যেভাবে

অনলাইনে ইনকাম করতে চাচ্ছেন। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল। ইন্টারনেট ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যায়। এই ইন্টারনেটকে বিভিন্ন দক্ষতার মাধ্যমে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে ইনকাম করা সম্ভব। 

অনলাইনে-ইনকাম-করুন

এজন্য আপনাকে দূরে কোথাও যেতে হবে না। আসুন ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোন কোন বিষয়ে আপনার দক্ষতাকে লাগিয়ে ইনকাম করা যায়। চলুন আজ সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।

পেইজ সূচিপত্রঃ অনলাইনে ইনকাম করুন। ঘরে বসে আয় করবেন যেভাবে

অনলাইনে ইনকাম করুন বাংলায় আর্টিকেল লিখে

বাংলায় আর্টিকেল লিখে অনলাইনে ইনকাম করুন। আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা জব করছি, কিংবা জবের পাশাপাশি অনলাইন ইনকাম করার চিন্তাভাবনা করছি। আবার কেউ আছেন যে স্টুডেন্ট, তাদের জীবনযাত্রার মান একটু সচ্চছ করার জন্য  চেস্টা করছি আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং করতে। পারছিনা কোন জব করতে, এবং বাসা বাড়িতে গিয়ে টিউশনি করতে। 

কিন্তু আমার কাছে আছে একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কিম্বা এন্ড্রয়েড ফোন। সাথে আছে ইন্টারনেট কানেকশন। ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকা সত্ত্বেও ফ্রিল্যান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং করে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ইনকাম বা বাড়তি ইনকাম করতে পারছিনা। তার কারণ হচ্ছে অনলাইনে যে কাজগুলো দেয় এগুলো হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন, লোগো ডিজাইন গ্রাফিক্স, ফাইবার আপ ওয়ার্ক, কোডিং এসব কাজ আমরা অনেকেই দক্ষ নই। 

আরো পড়ুনঃ ফলের গায়ে লাগানো স্টিকার স্বাস্থ্য ঝুকির কারণ

এ কারণেই আমরা এ কম্পিটিশনের যুগে পিছনে পড়ে আছি। পেছনে পড়ে আছি কিন্তু গ্রাফিক ডিজাইন লোগো ডিজাইন ওয়েব ডিজাইন কিংবা কোডিং এর কাজ ছাড়াও আমরা বাংলা আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারি। আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে হলে আপনার অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। 

এই ওয়েবসাইটে একটি কিওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে ১৫ শত এর অধিক শব্দ দিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে। আর্টিকেলটি অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি হতে হবে। এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেলটি নিজস্ব ওয়েবসাইটে পাবলিস করতে হবে। এ আর্টিকেলটি গুগল কর্তৃক রেংকিং করতে হবে। অবশ্যই এটি ভিউ এবং ক্লিকের মাধ্যমে রেংক করা সম্ভব। 

যত ভিউজ বাড়বে ক্লিক বাড়বে তত আপনার ইনকাম বাড়বে। এভাবে একটি আর্টিকেল লিখে অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব। তো বন্ধুরা একটি আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করে গুগল করলেও ইনকাম করা সম্ভব নয় এজন্য আপনাকে নিয়মিত আর্টিকেল লিখতে হবে।

ফেসবুক মার্কেটিং করে আয়

ফেসবুক মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম করুন ঘরে বসে। বর্তমান বিশ্বে ফেসবুক হচ্ছে সবচেয়ে বড় সামাজিক ও যোগাযোগ মাধ্যম। যেখানে ঘরে বসে আয় করা সম্ভব। ছোট বড় সবাই এই ফেসবুকের সাথে পরিচিত। দেশে কিংবা বাইরে মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া যায় এই ফেসবুকের মাধ্যমে। জানা-অজানা সম্পর্কে কিছু জানতে পারা যায় এবং কোন কিছু দেখতে পাওয়া যায় এই ফেসবুকের মাধ্যমে।
 
ফেসবুক-মার্কেটিং-করে-আয়

ফেসবুক একটি যোগাযোগের মাধ্যম হলেও সময়ের পরিবর্তনের সাথে এটি সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেসে রূপ নিয়েছে। ফেসবুক মার্কেটিং করে অল্প সময়ে যেমনি ইনকাম করা যায় ঠিক তেমনি সঠিক উপায়ে মার্কেটিং করে নিজেদের পণ্য অল্প সময়ের মধ্যে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে সঠিক দক্ষতা অর্জন করেন ।

তাহলে আপনার ফেসবুক থেকে ইনকাম করা সহজ। মার্কেটের কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন, ছবি বা কোন কিছুর ভিডিও ফেসবুকের মাধ্যমে আপলোড করে জনগণের কাছে পৌঁছানো হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিং।

ইউটিউব থেকে আয়

ইউটিউব মার্কেটিং করে আপনি সহজে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করুন। যা বর্তমান বিশ্বে সম্ভব ও সহজ উপায়। এমন কিছু বিষয়ে ভিডিও বানাতে হবে যাতে করে মানুষের আগ্রহ থাকে। মানুষ এখান থেকে উপকার পেতে পারে এমন বিষয়গুলো নিয়ে এটাকটিভ ভিডিও বানাতে হবে। আর  এটাকটিভ ভিডিও না হলে তো মানুষের দেখার আগ্রহ থাকবে না, এমন ভিডিও মানুষ দেখবে না। 

এতে করে ভিউজও বাড়বে না আপনার ইনকাম হবে না। অনলাইনে ইনকাম করতে হলে আপনার স্কিলকে ডেভেলপ করতে হবে। আপনার মেথডকে কাজে লাগাতে হবে। ইউটিউবে এমন কিছু ভিডিও আছে যেখানে বলা হয়, গান শুনে ইনকাম করুন, কিউআর কোড স্ক্যান করে ইনকাম করুন, গেম খেলে ইনকাম করুন আরো কত কি। 

আসলে এসব কিছু করে অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব নয়। অনলাইনে ইনকাম করতে হলে আপনাকে হতে হবে পরিশ্রমী।পরিশ্রম ছাড়াই ইনকাম করা মোটেই সম্ভব নয়। আপনার স্কিল ডেভেলপ করতে গেলে আপনার ব্রেন কে কাজে লাগাতে হবে। একটা ভিডিওর পিছনে অনেক পরিশ্রম করতে হবে অনেক সময় দিতে হবে। 


তাহলে আপনার স্কিল ডেভলপ হবে। এমন কোন ইউটিউবার নাই যে পরিশ্রম ছাড়াই তারা রাতারাতি সফল হয়ে গেছে। সফল ব্যক্তিদের পিছনে অনেক পরিশ্রম রয়েছে। তাই আপনি যদি অনলাইনে ইনকাম করতে চান ইউটিউবের ভিডিও দেখে ইনকাম করতে চান। তাহলে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করে ভিডিও বানাতে হবে। 

ভিডিওটিকে সুন্দর করতে গেলে বিভিন্ন টুলস এর প্রয়োজন হবে। এই টুলস গুলোর ব্যবহার ও আপনাকে জানতে হবে। এই টুলস গুলো ব্যবহার করে যদি আপনি ভিডিওটিকে এটাকটিভ করতে পারেন, তবেই এই ভিডিও দিয়ে ইনকাম করা সম্ভব হবে। বিভিন্ন বিজ্ঞাপন, এ্যাড এমনি এমনি দেখানো সম্ভব নয় বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন ও অ্যাড দেখা সম্ভব। যদি ভিডিওগুলোকে সুন্দর করা যায় অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে তাহলে অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব ১০০%।

ব্লগ লিখে অনলাইনে ইনকাম করুন

ব্লগ লিখে অনলাইনে ইনকাম করুন, তাহলে আপনাকে একজন ব্লগার হতে হবে। ব্লগার হতে হলে আপনার নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থাকতে হবে। আপনার ওয়েব সাইটে ডোমেন হোস্টিং থাকতে হবে। তবে আপনি ব্লগে লিখতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হল আপনি কিসের উপর ব্লগ লিখবেন। ব্লগ লিখতে গেলে আপনাকে অবশ্য একটা নিশ নির্বাচন করতে হবে। 

নিস কে কেন্দ্র করে কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। এই কিওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে ১৫০০ থেকে ২০০০ ওয়ার্ডের একটি আর্টিকেল লিখতে হবে। এই আর্টিকেলকে অবশ্য এসইও ফ্রেন্ডলি হতে হবে। এই আর্টিকেলগুলোকে গুগলে পাবলিস্ট করতে হবে। এই পাবলিশ করা আর্টিকেলগুলো যদি google রেংক করে, তবে আর্টিকেলগুলোর ডানে বামে উপরে নিচে এ্যাড দেখানো শুরু হবে।

এই অ্যাড দেখার মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। অলরেডি আপনার ইনকাম হয়ে যাবে। আর্টিকেলটি এসিও ফ্রেন্ডলি না হলে গুগলে রেঙ্ক করানো সম্ভব নয়। আর বুঝতে তো পারছেন রেঙ্ক না করলে ইনকাম করা ও সম্ভব নয়। ব্লগ লিখার আগে অবশ্যই আমাদের এ বিষয়গুলো ভালোভাবে মাথায় রাখতে হবে। তবে ব্লগ লিখে ইনকাম করা সম্ভব।

ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন

ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে ইনকাম করুন ঘরে বসে। ফ্রিল্যান্সিং শিখে আয় করতে হলে আপনারা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট লাগবে। যদি ওয়েবসাইট না থাকে তবে একজন ওয়েব ডেভলপার হলেও চলবে যে আপনাকে ওয়েবসাইট বানিয়ে দিতে সাহায্য করবে। ফ্রিল্যান্সিং যে কেউ যেকোনো বয়সে করতে পারেন। আপনি যদি ওয়েবসাইট বানাতে পারেন আপনি যদি ডিজাইন করতে পারেন, আপনি যদি মার্কেটিং করতে পারেন, আপনি যদি ভিডিও এডিট করতে পারেন। তো ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য।

যেকোনো সময় বা যে কোন বয়সে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন কোন সমস্যা নাই। যদি আপনার স্কেল থেকে থাকে তবে কাজটি শুরু করতে পারেন আর যদি স্কিল না থাকে তাহলে এ বিষয়টা শিখতে হবে। প্রশ্ন হল আপনি কোন বিষয়ে আপনি স্কিল। এমন বিষয়ে ইস্কেল শিখবেন যেগুলো চাহিদা ভালো।

প্রোগ্রামিংঃ যদি আপনি প্রোগ্রামিং করতে পারেন, আপনি যদি নিজেকে দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। তাহলে আপনাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আর প্রগ্রামাদের বেতন উচ্চ লেভেলের হয়ে থাকে। প্রোগ্রামিং এ এক্সপার্ট হতে গেলে আপনার দুই তিন বছর সময় লাগতে পারে।

ওয়েবসাইট ক্রিয়েট এন্ড কাস্টমাইজেশনঃ প্রতিদিন ৩৩ হাজার ডোমেইন নাম রেজিস্টার করা উচিত। এই এই ডোমেইনের জন্য ওয়েবসাইট রেডি করতে হবে। আর ওয়েবসাইট রেডি করার জন্য আপনাকে কাস্টমাইজেশন এডিটিং আপগ্রেড বিভিন্ন ধরনের কাজগুলো আপনাকে করতে হবে। আপনি যদি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট ওয অ্যান্ড কাস্টমাইজেশন করতে চান, আপনি এটা ওয়ার্ডপ্রেস এর মধ্যেও করতে পারেন এবং কোডিং করেও করতে পারেন।
এসিওঃ এ সি ও এর পুরো রূপ হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো আপনি যখন কোন সার্স ইঞ্জিন তথা google কিম্বা bing গিয়ে কোন কিছু সার্চ করেন, তখন প্রথম যে রেজাল্টটা আসে প্রথমে, দ্বিতীয় রেজাল্টটা আসে দ্বিতীয়তে এবং ১০ নাম্বার রেজাল্টা আসে ১০ নাম্বারে এই ধারাবাহিকভাবে আসাটাই হচ্ছে এসিও।
কন্টেন্ট রাইটিংঃ কনটেন্ট যদি ভাল হয় তবে আপনি পুরো ব্লক পড়বেন, কন্টেন্ট যদি ভালো হয় তবে একটি পুরো youtube ভিডিও দেখবেন, কনটেন্ট যদি ভালো হয় তবে একটা বিজনেসের সেল বাড়ে। একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার বড় বড়  অর্ডার পেয়ে থাকে।
গ্রাফিক ডিজাইনঃ বিভিন্ন কোম্পানি, বিভিন্ন ওয়েবসাইট বিভিন্ন বিজনেসের জন্য বিভিন্ন ডিজাইন প্রয়োজন হতে পারে। এটা লোগো ডিজাইনও হতে পারে কিংবা বিজনেস কার্ড ডিজাইন ও ইনফগ্রাফিক ডিজাইন হতে পারে। এগুলো বিভিন্ন কোম্পানি বা বিজনেসারদের দরকার হতে পারে আপনি চাইলেও এমন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম করুন ঘরে বসে। ধরুন এ চার্জারটা অনেক ভালো। আপনারা এই চার্জারটি কিনতে চাইলে ডেসক্রিপশন দেওয়া বক্সটি তে লিংক দেওয়া আছে এই লিংকে ক্লিক করে অমুক স্টোর থেকে নিতে পারেন। ইউটিউবে ভিডিও দেখার সময় এমন কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি।
 
প্রমোট করা এ লিংকে ক্লিক করে আপনি যদি এই প্রোডাক্টে কিনে থাকেন, তাহলে ইউটুবার কোম্পানি থেকে একটি নির্দিষ্ট কমিশন পেয়ে থাকে। প্রোডাক্টে নির্দিষ্ট মূল্যে কেনার পরেও ইউটুবার একটি কমিশন পায় এটায় মূলত এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এই এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে অনেকেই ভালো ইনকাম করে থাকেন।

কিভাবে ইনকাম করবঃ ধরুন আপনার কাছে কিছু প্রডাক্ট আছে কেউ এসে বলল আমি আপনার এই প্রডাক্ট গুলো সেল করতে হেল্প করব যাদের এই প্রোডাক্টগুলো দরকার আমি তাদেরকে আপনার কাছে  নিয়ে আসবো আপনি তাদের কাছে প্রোডাক্ট গুলো সেল করবেন। আপনি স্বাভাবিকভাবে তার এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাবেন কারণ সবাই তার প্রোডাক্ট গুলো সেল হোক।
 
এখন যে লোকটি বলল আমি আপনার প্রোডাক্ট গুলো ফেল করে দিব তার পারিশ্রমিক হিসেবে আপনার সামনে দুইটা মডেল প্রস্তাব  করল আপনার যেটা ভালো লাগে সেই মডেলে তাকে পেমেন্ট করতে পারেন।
এক নাম্বার প্রস্তাবঃ প্রতিমাসে দশটা ছেলে আসুক কিংবা একটা ছেলেও না আসুক আপনি তাকে মাসিক ১০ হাজার টাকা পেমেন্ট করবেন
দুই নাম্বার প্রস্তাবঃ আপনাকে মাসিক কোন প্রেমেন্ট করতে হবে না। তার মাধ্যমে যদি প্রোডাক্ট সেল হয় তখনই তাকে ঐ প্রোডাক্টের দামের ৫% হিসেবে কমিশন দিতে হবে। ধরুন প্রোডাক্টের মূল্য ১০ হাজার টাকা পাঁচ পার্সেন্ট হিসেবে তাকে ৫০০ টাকা দিতে হবে। যদি সে প্রোডাক্ট সেল আনতে না পারে তবে তাকে কোন টাকা দিতে হবে না।
এখন আপনি ভেবে দেখেন আপনি কোন মডেলটি গ্রহণ করবেন। যদি আমাকে প্রশ্ন করেন তাহলে আমি দুই নাম্বার মডেলটি গ্রহণ করব। কেননা এখানে দুই জনই লাভবান হবে। প্রোডাক্ট সেল করতে পারলে কমিশন দিতে হবে আর সেল করতে পারলে কমিশন দিতে হবে না।

ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে ইনকাম

ড্রপ সপিং করে অনলাইনে ইনকাম করুন ঘরে বসে।আপনার যদি নিজের কোন দোকান না থাকে অন্যের দোকান থেকে প্রোডাক্ট করেও আপনি ইনকাম করতে পারেন। ধরুন দোকানদারের কাছ থেকে একটা হেডফোনের সেম ছবি নিয়ে আপনার ফেইজবুক পেজে কিম্বা অয়েব সাইটে দিয়ে দিলেন। প্রডাক্ট কিন্তু দোকানদারের আপনি পাইকারি দামে নিয়ে এটি অন্যের কাছে বিক্রি করে দিলেন।


ধরুন আপনি প্রোডাক্টটি দোকানদারের কাছ থেকে ৬০০ টাকা মে কিনে এটি ৯০০ টাকা বিক্রি করলেন আপনার লাভ থাকলেও তিনশত টাকা। কেউ যদি আপনার কাছে অর্ডারটি কনফার্ম করে, আপনি শুধু টাকার কালেক্ট করতেছেন প্রডাক্টে দোকানদারের কাছ থেকে নিয়ে তাকে দিতেছেন। 

এতে করে আপনার কোন ইনভেস্ট করা লাগবে না, প্রোডাক্ট স্টক করা লাগবে না, আপনার ম্যানপাওয়ার লাগবেনা। সবকিছু করতেছে পাইকারি দোকানদার। আপনি শুধু প্রমোট করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারতেছেন।

অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে ইনকাম

অনলাইনে করছি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সফলতার একটি উপায়। এটি শিক্ষক জ্ঞানী দক্ষতা ও বিশেষজ্ঞদের একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে দক্ষ ব্যক্তিরা তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করতে পারে। এটি অ্যাসাইনমেন্ট, লেকচার, টেক্সট, ভিডিও ও অন্যান্য শিক্ষামূলক উপকরণ নিয়ে গঠিত। একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিত্তি করে অনলাইন কোর্স তৈরি করে তা বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।
  • অনলাইনে কোর্স বিক্রি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই মানসম্পন্ন বিষয়বস্তু তৈরি করতে হবে। যা শিক্ষার্থীদের জন্য মূল্যবান ও দক্ষতা অর্জনে সহায়ক হয়। 
  • শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। 
  • বিভিন্ন শিক্ষামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করুন যা শিক্ষাথীদের অভিজ্ঞতা উন্নয়ন করবে। 
  • শিক্ষার্থীদের মতামত নিন এবং তাদের কোর্স পরামর্শে অনুযায়ী আপনার কোর্স উন্নত করুন। 
  • আপনার কোর্সগুলোকে একটি ব্যান্ডিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তরিত করুন। 
  • আপনার কোর্সের কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করুন সেই অনুযায়ী আপনার কোর্স আপডেট করুন।
অনলাইন কোর্স বিক্রি করার ধাপসমূহ অনলাইন কোর্স বিক্রি করার ধাপসমূহ আলোচনা করা হলো-
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটঃ আপনি আপনার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে অনলাইন কোর্স প্রচার করতে পারেন এতে করে আপনার বিশ্বস্ততা বৃদ্ধি করবে।
ওয়েবসাইট তৈরিঃ আপনি আপনার একটি পেশাদার ওয়েবসাইট তৈরি করুন।
কোর্স পেজঃ আপনি আপনার একটি কোর্স পেজ তৈরি করুন যেখানে আপনার কোর্সের সকল তথ্য থাকবে।
ব্লগঃ আপনি আপনার পেজে নিয়মিত ব্লগ লিখুন এবং আপনার কোর্সকে প্রমোট করুন।
ইমেইল সাবক্রিপশনঃ মার্কেটিং করুন ইমেইল মার্কেটিং করুন এবং ইমেইল সাবস্ক্রিপশন ফ্রম যোগ করুন।

টিউটরের মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম

বর্তমানে যে যে বিষয়ে পারদর্শী সে সে বিষয়ে অনলাইন ভিত্তিক ইনকাম করতে পারে। বর্তমান বিশ্বে অনলাইন একটি বিশাল প্লাটফর্ম। এখানে কোন কাজের অভাব নেই। চাই আপনার দক্ষতা। আপনার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনলাইন ভিত্তিক টিউশনি করার ব্যবস্থা করা আছে। এখানে নিজের সুবিধা মত টিউশনি করা সম্ভব। 

টিউটরের-মাধ্যমে-অনলাইন-ইনকাম
এতে করে আপনার দক্ষতা অর্জন হবে, আয় বাড়বে। ঘরে বসে আয় করার এটি একটি সর্বোত্তম উপায়। প্রযুক্তির যুগে অনলাইন প্লাটফর্মে তুলনা করা হার এ প্লাটফর্মকে সকল প্রকার কাজে স্বাগত জানিয়েছে। অনলাইনে মার্কেটপ্লেসের কাজের অভাব নেই। এখানে দরকার আপনার দক্ষতা। এর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি অল্প সময়ে অধিক টাকায় ইনকাম করতে পারেন।

ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে

ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করুন। অনলাইনে ইনকাম করার একটি ভাল প্ল্যাটফর্ম ডাটা এন্ট্রি। দশটি উপায় জানা থাকলে আপনি ডাটা এন্ট্র এর কাজ করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন।
টাইপিংয়ে দক্ষতাঃ ডাটা এন্ট্রির কাজে প্রথম শর্ত হলো তাকে দক্ষতা হওয়া আপনাকে অবশ্যই টাইপিং স্কিল বৃদ্ধি করার জন্য কিবোর্ড না দেখে দ্রুত টাইপ করতে পারতে হবে। অবশ্যই নির্ভুল হতে হবে।
কম্পিউটারে বেসিক জ্ঞান রাখাঃ আপনাকে কম্পিউটারের বেসিক জ্ঞান রাখতে হবে। আপনি হয়তো কম্পিউটারে টাইপিং জানেন কিন্তু কিভাবে ভাইয়ের সেভ করতে হয় তা জানেন না কিভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয় কিভাবে কম্পিউটারে প্রিন্টার রাউটার ইউএসপি কাজ করে কোন সমস্যা হলে কিভাবে এটা সমাধান করবেন ইত্যাদি বিষয়গুলো জানতে হবে।
যোগাযোগের দক্ষতাঃ ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য আপনাকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে কারণ বেশিরভাগ ডাটা এন্ট্রির কাজ ইংরেজি ভাষায় হবে। ইংরেজি ভাষায় আপনাকে দক্ষ হতে হবে ইংরেজি ভাষা না জানলে আমি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিতে পারবেন না, আবার তাকে কাজ বুঝিয়ে দিতে আপনাকে সমস্যায় পড়তে হবে।

অনলাইন ইনকাম নিয়ে লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আজ আমি আপনাকে অনলাইনে ইনকাম করুন ঘরে বসে এই পদ্ধতি আমার এই ছোট্ট লিখনের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করতে সক্ষম হয়েছি। আমি আশা করি আমার এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি অনলাইনে ইনকাম করার সকল পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্বারিত বুঝতে পেরেছেন।

আমার এই আর্টিকেল যদি আপনার উপকারে আসে তবে আমাকে নতুন নতুন আর্টিকেল লেখার জন্য নিয়মিত আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করে উৎসাহিত করবেন। আর আমার লেখায় যদি আপনি কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url