বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এ সম্পর্কে আপনি কি
জানতে চাচ্ছেন। আজ আমি আপনাকে এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব। যদি আপনি এ
সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আমার এই পোস্টটি আপনার জন্য।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিম্যান্ডেবল সেক্টর কোনটি এবং কেন এর ডিমান্ড
বেশি তার ১০টি কারণ আমি আজকের এই আর্টিকেলে উল্লেখ করেছি। চলুন তাহলে জানা যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
- বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
- ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে কতগুলো সেক্টর আছে
- বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি
- ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিংএ কোন কাজের চাহিদা বেশি থাকবে
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি
- বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর কেন চাহিদা বেশি
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন
- চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটা করবেন
- ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি
- ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত
- লেখক এর শেষ কথা
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি আমরা অনেকেই তা
জানিনা। তাই আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে সঠিকভাবে কাজ করতে পারছি না। আজ
আমি আপনাদের বলে দেব ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর কোনটি।
আজ আমাদের মাঝে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক আছে যারা পড়াশোনা শেষ করে বসে আছে। আজ
তারা চাকরির পিছনে হন্যে হয়ে না ঘুরে ফ্রিল্যান্সিং নামক মুক্ত পেশাকে বেছে নিতে
পারে।
আরো পড়ুনঃ আর্টিকেল রাইটিং করে ঘরে বসে আয় করুন
এর মাধ্যমে বহু যুবক তাদের কর্মসংস্থানের খোঁজ পেয়েছে। এবং তারা তাদের
বেকার সময়কে কাজে লাগিয়ে অল্প সময়ে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে সম্ভব হয়েছে। বেকার
সময়কে কাজে লাগিয়ে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে ফ্রীলান্সিং এর বিকল্প নাই। এর জন্য
চায় সঠিক গাইড লাইনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শিখে কর্মসংস্থান বেছে
নেওয়া।
ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হল ডিজিটাল মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে আপনি আপনার মূল্যবান সময়কে কাজে লাগাতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং পেশার ভিতরে সবথেকে রিমান্ডেবল সেক্টর হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হতে চান। তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে
আপনাকে কাজ শুরু করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে কতগুলো সেক্টর আছে
ফ্রিল্যান্সিংয়ের সেক্টর গুলো অনেকের কাছে অজানা। এই সেক্টরগুলোর নাম অনেকে জানে
না। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি। আজকে জানবো এর
সেক্টর গুলো কি কি। ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে। যে
সেক্টরগুলোতে কাজ করলে আপনি প্রতি মাসে লাখ টাকা ও ইনকাম করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হল ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনেক বেকার যুবক তাদের কর্মসংস্থান খুঁজে পেয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে আরো কিছু সেক্টর রয়েছে যেমন ওয়েব ডেভলপমেন্ট,
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, আর্টিকেল রাইটিং, ইউটিউব মার্কেটিং,
গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসিও মার্কেটিং ইত্যাদি। আপনি চাইলে এই সেক্টরগুলোতে কাজ শিখে
লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন অল্প সময়ে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা থেকে বেশি এটা আমরা অনেকেই জানিনা।
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কেননা ডিজিটাল মার্কেটিং এই
কোর্সে সব ধরনের কাজ শিখানো হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স কমপ্লিট করলে অন্যান্য
সেক্টর গুলোতে কাজ করা সহজ হয়।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপ সমুহ
তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের চাহিদা মানুষের কাছে অনেক বেশি। কারণ মানুষের সব
ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতায় পড়ে। ডিজিটাল মার্কেটিং করে
কাজ করার ফলে মানুষের দৈনন্দিন কাজ কে অনেক সহজ করে তুলছে। তাই আমাদের সবচেয়ে
চাহিদা সম্পন্ন সেক্টরটি হলো ডিজিটাল মার্কেটিং।
ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিংএ কোন কাজের চাহিদা বেশি থাকবে
ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি থাকবে এটা নিয়ে আমরা অনেকেই
চিন্তা করি। কারণ কোন কাজের ভবিষ্যৎ ভালো না হলে কেউই সেটা করতে আগ্রহী হয় না।
তবে বলতে পারি ডিজিটাল মার্কেটিং এর বর্তমান চাহিদা অনেক বেশি। দিন দিন এর চাহিদা
আরো বাড়ছে। ইন্টারনেটে চাহিদা যত বেড়ে যাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ
ততো ভালো হবে।
মানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা বাড়লে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের সংখ্যাও
বাড়বে। মানুষ তার সকল কাজ অনলাইনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করবে। বর্তমানে
যে কোন পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মানুষ ডিজিটাল মার্কেটিং কে বেছে নিচ্ছে।
বর্তমানে যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যাপক পরিসরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তেমনি ভবিষ্যতে
আশা করি এর ব্যাপকতা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। তাই বলা যায় ভবিষ্যতে ডিজিটাল
মার্কেটিং এর চাহিদা খুব বেশি থাকবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এটা জানার আগ্রহ সবার থাকে। আপনি
যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ না জানেন, তাহলে মার্কেটিং এর কাজ শিখে কাজ শুরু
করতে পারেন। আপনি চাইলে নিজে কাজ শিখে অন্যকে শিখাতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এ
এমন কিছু কাজ আছে যা নিজে করে অন্য কেউ সে কাজের করে দেয়া যায়। ডিজিটাল
মার্কেটিং এর সবচেয়ে চাহিদা সম্পূর্ণ কাজটি হল এসিও মার্কেটিং।
এসিও করার মাধ্যমে আপনি আমার ওয়েবসাইট কিংবা ফেসবুক পেজকে ব্যবসায় রূপান্তরিত
করতে পা্রেন। এটাকে বলা হয় এসিও মার্কেটিং। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এ এসিও
মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক বেশি। তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে আরও কিছু
চাহিদা সম্পন্ন কাজ আছে। সেগুলো হল কনটেন্ট রাইটিং, এনালিটিক্স মার্কেটিং, ডেটা
এন্ট্রি, ইমেইল মার্কেটিং সহ আরো অন্যান্য কাজ রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং
এ।
কাল ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করে আপনি আপনার ব্যবসায়ী পণ্যগুলোকে সহজেই
কাস্টমারদের কাছে উপস্থাপন করতে পারবেন। এই ডিজিটাল সার্ভিসের মাধ্যমে আপনার
ব্যবসা জনগণের মধ্যে অল্প সময়ে পরিচিতি লাভ করবে এবং আপনার ব্যবসায়ী সার্ভিস
বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে আজ আমি আপনাদের
সামনে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রথমত বলতে পারি গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স
ডিজাইন এর কাজ বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের
কাজ শিখার আগ্রহ অনেকের মাঝে থাকলেও সঠিক গাইডলাইন না পাওয়ার কারণে শিখতে
পারেনা।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবো কিভাবে
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজনেসের জন্য লোগো, ব্যানার বানানো হয় গ্রাফিক্স ডিজাইনের
মাধ্যমে। গ্রাফিক্সের কাজ করতে হলে বিশেষ কিছু টুলস সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
যেমন ইলাস্ট্রেটর, এডোবি ফটোশপ, ক্যানভা ইত্যাদি। এইসব টুল দিয়ে গ্রাফিক্সের কাজ
সম্পূর্ণ করা যায়। তাছাড়া বাংলাদেশে আরো কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম রয়েছে।
সেগুলো হল এসইও, ডিজিটাল মার্কেটি্ং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং ও
আর্টিকেল রাইটিং। বাংলাদেশে এ সকল কাজগুলো খুবই জনপ্রিয়। এইসব কাজ করে বর্তমানে
বাংলাদেশের বাজারে খুব সহজেই মার্কেট পাওয়া সম্ভব।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কেন চাহিদা বেশি
ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বেশি বর্তমান বিশ্বে। কেননা ফ্রিল্যান্সিং জগতে
সবথেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং
এর চাহিদা অনেক বেশি। ডিজিটাল মার্কেটিং করে মানুষ তাদের ছোটখাটো ব্যবসাকে
বড় আকারে প্রসার করার চেষ্টা করছে। এভাবে অনেকেই সফল হচ্ছে। ছোট ব্যবসাকে
ডিজিটাল রূপ দিয়ে বড় করা সম্ভব। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ডিজিটাল মার্কেটিং
প্রত্যেকটি কর্মকাণ্ডকে সহজ করে দিচ্ছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে কম খরচে অনেক বড় বিজনেস করা সম্ভব। আপনি আপনার ব্যবসাকে
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে দাঁড় করাতে পারছেন। যেকোনো পণ্য কেনাবেচা হচ্ছে
অনলাইন ভিত্তিক। এটাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। বিজনেস করার ক্ষেত্রে আপনার
গ্রাহকের পূর্ণ বিশ্বাস থাকতে হবে। এ বিশ্বাসটুকু যদি আপনি অর্জন করতে পারেন।
তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং করা আপনার সার্থক হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন তা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন। বর্তমান যুগে
ইন্টারনেটের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। মানুষ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে
ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তাদের কাজকে সহজ করেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সফল
কাজ অল্প সময়ে করা সম্ভব হচ্ছে। প্রায় মানুষই তার হাতে থাকা ফোন দিয়ে তারা
তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে বের করতে পা্রছে।
আরো পড়ুনঃ ড্রপ শিপিং করে ঘরে বসে আয় করুন
এই তথ্য খোঁজার মাধ্যমে মার্কেটাররা ইনকাম করে থাকে। এজন্য বলা হয় ডিজিটাল
মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ উজ্জল। দিন যতই চলে যাবে। ডিজিটালাইজ কাজের চাহিদা ততই
বেড়েই ম চলবে চলবে। এক সময় মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যম ছাড়া তাদের
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোন কাজ করতে পারবে না। ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া তাদের কাজ অচল
হয়ে পড়বে।
সকল কাজ তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানবে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করবে। আর
ডিজিটাল মার্কেটারদের কাজ হল মানুষের প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরা। তাই বলা হয়
ডিজিটাল মার্কেটারের আগাম ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটা করবেন
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এটা
পরিষ্কারভাবে জানেন। হয়তো নিজে নির্ধারণ করছেন আজ থেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ
শুরু করি। অনেকেই কনফিউজে পড়ে যান যে তারা কোনটি করবে ফ্রিল্যান্সিং নাকি চাকরি।
অনেকেই হয়তো যাকে পছন্দ করে আবার অনেকেই পছন্দ করে ফ্রিল্যান্সিং।
আপনি আপনার পছন্দমত পেশাটাকে বেছে নিতে পারেন। আমাদের আগে জানতে হবে
ফ্রিল্যান্সিং এবং চাকরি দুটি বিষয়ের মধ্যে কোনটাতে আপনার স্কেল ভালো রয়েছে।
আপনি যে কাজটি ভাল করতে পারবেন সেটাই আপনার জন্য বেস্ট। চাকরিতে মাস শেষে একটা
নির্দিষ্ট অংকের বেতন হয়ে থাকে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ে দিন দিন আপনার বেতন
বৃদ্ধি হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ওয়েবসাইট বিক্রি করে ইনকাম
চাকরির ক্ষেত্রে আপনি সপ্তাহে দুই দিন ছুটি পেয়ে থাকেন কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ে
কোন ছুটি নেই, কারো মৃত কিংবা বিয়ের দিনে আপনার কাজ করতে হতে পারে। চাকরিতে
আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ে হাজিরা দিতে হয় কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ের আপনি আপনার
কাজের সময়টাকে ইচ্ছামত বেছে নিতে পারেন। চাকরির ক্ষেত্রে আপনার একজন বস থাকবেন
কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে আপনি আপনার বস।
ফ্রিল্যান্সিং যেহেতু মুক্ত পেশা সেহেতু আপনি আপনার কাজ নিজ দায়িত্বে
করবেন। এতে আপনার কোন মানিক বা বস থাকবে না। ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে বেশি বড়
শুনছে আপনি যে কোন জায়গায় যে কোন সময়ে কাজটি করতে পারবেন। আপনি যদি কোন
মার্কেটপ্লেস এ কাজ পেয়ে যান তাহলে সেখান থেকে আপনি প্রচুর ডলার ইনকাম করতে
পারবেন। এখন তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আপনি কোন পেশাটা কে দেবেন, চাকরি না
ফ্রিল্যান্সিং।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস রয়েছে। আপনি আপনার পছন্দমত সেক্টরে
স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন। অনেকেই জানে না মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে
অর্থ উপার্জন করা যায়। আপনাদের সুবিধার জন্য মার্কেটপ্লেস গুলোর নাম নিচে উল্লেখ
করা হলো-
- ফ্রিল্যান্সার
- ফাইবার
- আপ ওয়ার্ক
- পিপল পার আওয়ার
- গুরু
- ৯৯ ডিজাইন্স
- ড্রিবেল
- টপ টাল
- গিগ স্টার
- সফটুয়ার উন্নয়ন
- ফার্মা সিটিক্যালস
- স্বাস্থ্যসেবা
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ফ্রিল্যান্সার ডট কম
বর্তমান বাংলাদেশে অনেক তরুণ আইসিটির বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হয়ে ঘরে বসে
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বিদেশী গ্রাহকদের জন্য কাজ করছে। এই সেক্টর গুলোর মধ্যে
ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ওয়েব ডেভলপমেন্ট এ দুইটি সেক্টর ফ্রিল্যান্সারদের জন্য
সবচেয়ে ডিমান্ডেবল। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি উদ্যোগী পেশা, যেখানে আপনি নিজে
ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে অর্থ উপার্জন করতে
পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত
ফ্রিল্যান্সিংয়ে আই এর দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত এটা অনেকেই জানেনা।
ফ্রিল্যান্সিং যেহেতু মুক্ত পেশা। এই পেশায় নিয়োজিত বাংলাদেশিরা কত টাকা ইনকাম
করছেন এবং উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত। এ সম্পর্কে বিস্তারিত
জানাবো। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সার নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বের ৩০ টি দেশের
মধ্যে ২৯ তম। সি ও ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনে তথ্য মতে ফ্রিল্যান্সার ২০২৪ তালিকায়
এটি বাংলাদেশের অবস্থান।
- তাছাড়া বিশ্বের মোট ফিলান স্যার এর মধ্যে বাংলা ১৪ শতাংশ
- বাংলাদেশে প্রায় ছয় লাখ ৫০ হাজার ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে ৫০০ মিলিয়ন ইউ এস ডলার আয় করে।
- বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের ঝোক বেড়েছে, তরুণ-যুবকরা ঝাকে ঝাকে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছে।
শহর থেকে নগরে এমন কি প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুণ তরুণীরা ফ্রিল্যান্সিং করে
প্রতিমাসে কয়েক হাজার ডলার উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে মোট
ফ্রিল্যান্সারদের ১৪ শতাংশই বাংলাদেশী।
লেখক এর শেষ কথা
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এ সম্পর্কে বিশদভাবে
আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি জানতে চান বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে
ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি। তাহলে আমার লেখা এই আর্টিকেল পড়ে বিস্তারিত জানতে
পারবেন। আমি আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো তুলে ধরার
চেষ্টা করেছি।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি। যদি আমার লেখা
আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আমি আবার ছোট্ট লিখনের
মাধ্যমে আপনাদের সামনে প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরি। আপনি যদি আমার লেখা আর্টিকেল
পড়ে উপকৃত হন। তাহলে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এতক্ষণে সঙ্গে থাকার
জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url