গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়। ফর্সা হওয়ার ১০টি আশ্চার্য উপায়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়. বাচ্চা ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন তাহলে আমার লেখা আর্টিকেলটি আপনার জন্য. সকল গর্ভবতী মায়ের একটা প্রত্যাশা তাদের সন্তান যেন সুস্থ, সুন্দর ও ফর্সা হয়।

গর্ভাবস্থায়-কি-খেলে-বাচ্চা-ফর্সা-হয়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে  বাচ্চা সুস্থ, সুন্দর ও ফর্সা হয় সে সম্পর্কে জানা দরকার। আপনি যদি একটি সুস্থ, সুন্দর ও ফর্সা সন্তান জন্ম দিতে চান। তাহলে আমার আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন, আজ আমি আপনাকে বাচ্চা ফর্সা হওয়ার উপায় সহ আরও অন্যান্ন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কাঁচা ফর্সা হওয়ার উপায়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়। এটা অনেকেই জানতে চান কোন বিশেষজ্ঞরা নির্বাচন করে দিতে পারেন নাই কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়। এটা নির্ভর করে তার বাবা-মা এর কাছ থেকে যে জিন পেয়েছে তার উপর। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী গর্ব অবস্থায় খাবার গুলো খেলে বাচ্চার বর্ণ ফর্সা হতে পারে এরও খাবারের তালিকা পরিবারের বয়োবৃদ্ধরা দিয়ে থাকেন। চলুন জানা যাক সে খাবারগুলো কি।

দুধঃ আপনাদের পরিবারে যদি গর্ভবতী মহিলা থাকেন, তাদের কে দুধ পান করা অত্যাবশ্যকীয়। কেননা দুধ, মা ও শিশুর সুস্থ থাকার জন্য খুবই প্রয়োজন। বয়ো-বৃদ্ধারা বলে থাকেন দুধ খেলে ত্বকের রং ফর্সা হয়। তাই সন্তানকে ফর্সা করার জন্য গর্ভবতী মায়ের দুধ খাওয়া প্রয়োজন।

ডিমঃ বয়ো-বৃদ্ধাদের ধারণা অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় যে গর্ভবতী মা গর্ভ অবস্থায় দ্বিতীয় তিন মাসের মধ্যে ডিমের সাদা অংশ গ্রহণ করে তাহলে বাচ্চা ফর্সা হবে। মা ও শিশু সুস্থতার জন্য ডিম খাওয়া খুবই জরুরী। ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে ডিমের বিকল্প নাই। মা এবং সন্তানকে সুস্থ রাখার জন্য গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম রাখা জরুরি।


জাফরানঃ জাফরান এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য এন্টি অক্সিডেন্ট এর প্রয়োজন খুবই বেশি, যা আমাদের গর্ভকালীন সময়ে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তাই জাফরানকে খাদ্য তালিকায় রাখার উপদেশ দেন অনেক চিকিৎসকগণ। জাফরান মানুষকে উদ্বেগ কমানোর ক্ষেত্রে যেমনি প্রভাব ফেলে তেমনি-

মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তবে শিশুর গায়ের রং ফর্সা হবে এর কোন যাদুকরি বৈশিষ্ট্য নেই। এটা নিশ্চিত বলা যায় যে জাফরান খাবারের ফলে শিশুর গায়ের রং ফর্সা না হলে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে। তাছাড়া শিশুর চুল, ত্বক ও চোখের রং জেনেটিক্যাল নির্ধারিত হয়ে থাকে।

নারিকেলঃ গর্ভবতী মায়ের নারিকেল খাওয়া জরুরী। কেননা নারিকেল আছে অনেক পুষ্টিগুণ। গর্ভবতী মা যদি নারিকেলে সাদা অংশ খাওয়ার অভ্যাস করেন তাহলে বাচ্চা ফর্সা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কেননা নারকেলের সাদা শাঁস বাচ্চাকে ফর্সা করতে সাহায্য করে।

ঘিঃ গবেষণায় দেখা গেছে যে ঘি এমন একটি খাবার যা নিয়মিত খেলে প্রসূতি মায়ের প্রসব যন্ত্রণা কম হয়। অন্যদিকে ঘি ভ্রুণের বর্ণ উজ্জ্বল করে। তাই আপনি আপনার সন্তানকে ফর্সা করতে চাইলে নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় রাখেন। বলা হয় তেলের পরিবর্তে ঘি রাখেন সন্তানকে ফর্সা করেন।

বাদামঃ বাদামে রয়েছে রং ফর্সা করার উপাদান। একজন গর্ভবতী মা গর্ভাবস্থায় যদি বাদাম খান তাহলে শিশুর গায়ের রং পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে। তাই গর্ভাবস্থায় আপনি যদি শুকনো বা ভিজা বাদাম খান তাহলে আপনার শিশুর গায়ের রঙ ফর্সা হবে। তাই শিশুর গায়ের রং ফর্সা করতে চাইলর গর্ভাবস্থায় নিয়মিত বাদাম খাওয়া প্রয়োজন।

কমলালেবুঃ একটি রসালো ফল এ ফলটি একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। গর্ভবতী মায়ের শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ এর অভাবে পূরণ করতে বিশেষ সহায়ক। এই কমলালেবু গর্ভস্থ শিশুকে পরিপূরকভাবে বাড়তে সাহায্য করে। সেইসাথে ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কমলালেবু রাখা জরুরি।

মৌরিঃ মৌরি একটি মসলা খাবার। মৌরিতে আছে রং ফর্সা করা উপাদান। একজন গর্ভবতী মা যদি নিয়মিত মৌরি ভেজা পানি পান করেন তাহলে তার বমি বমি ভাব কেটে যবে। মুখে খাওয়ার রুচি আসবে এবং তার গর্ভস্থ সন্তানটি্র ত্বক উজ্জল ও ফর্সা হবে।

টমেটোঃ টমেটোতে আছে এমন একটি উপকারী উপাদান যা শরীরের ক্ষতিকর আলট্রা ভায়োলেট এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং সূর্যের আলোর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। বিশ্বাস করা হয় যে গর্ব অবস্থায় টমেটো খেলে বাচ্চার বর্ণ ফর্সা হয়।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়

গর্ভাবস্থায় কোন ধরনের খাবারে বাচ্চাকে কালো করতে পারে না। গর্ভাবস্থায় এমন কিছু পুষ্টি উপাদান আছে যা খেলে বাচ্চার মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে এবং ত্বকের বিকাশ ঘটে। শিশু ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী হতে পারে এমন কিছু খাদ্য যেমন- ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন-ই, ফলিক এসিড, ওমেগা-৩, অ্যান্টিওক্সিডেন্ট ইত্যাদি। কিছু কোলাজেন উৎপাদনকারী ফল আছে যেমন এভোকাডো গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়।

এভোকাডোতে আছে ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই যা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল ও ব্লগ করতে সাহায্য করবে। গর্ব অবস্থায় বাচ্চার ত্বক নির্ধারণ করে মেলানির নামক একটি পদার্থ। একজন গর্ভবতী মায়ের ছয় থেকে আট সপ্তাহের শুরুতে শিশুর ত্বকে মেলানিন তৈরি হতে শুরু করে মেলানিন তৈরির প্রক্রিয়া চলে জিনের নিয়ন্ত্রণে যার ফলে সাধারণত গাড়ো হয়।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়। এই আলোচনা করতে গিয়ে বাচ্চা বুদ্ধিমান হওয়ার বিষয়েও আলোচনা করা হচ্ছে। একজন গর্ভবতী মা যদি সুস্থ থাকেন এবং প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার খান তাহলে গর্ভস্থ শিশু বুদ্ধি মান হবে। গর্ভবতী মা যদি প্রোটিন জাতীয় খাবার গুলো যেমন, মাছ, ডিম, মাংস, পাঁচমিশালী সবুজ শাকসবজি খান তাহলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ভালো হবে। তাছাড়া শুকনো ফল, কলা পুদিনা পাতা শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে আইরন ও ফলিক এসিড থাকে। 

গর্ভাবস্থায়-কি-খেলে-বাচ্চা-বুদ্ধিমান-হয়

যা গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ এবং বুদ্ধি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ মায়ের গর্ভাবস্থায় থেকে শুরু হয়। তাই একজন গর্ভবতী মায়ের বাচ্চার সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবারগুলো জরুরী। তাছাড়া মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়া গাজর এবং সবুজ পাতা জাতীয় শাকসবজিতে ভিটামিন এ থাকে। ভিটামিন এ আপনার শিশুর বেড়ে ওঠা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া জরুরি

গর্ব অবস্থায় খেজুর খাওয়া জরুরি কেন। খেজুর খেলে কি বাচ্চা ফর্সা হয়। চলুন জানা যাক খেজুর খেলে কি হয়। একজন গর্ভবতী মায়ের খেজুর খাওয়া জরুরী। কেননা খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা একজন মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খেজুরে আছে ফাইবার, যা আমাদের খাদ্য হজমে সাহায্য করে। 

আরও আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,লৌহ ভিটামিন কে, ভিটামিন বি-৬ তাছাড়াও আছে কার্বোহাইড্রেট যা একজন গর্ভবতী মাকে সকল প্রকার পুষ্টির যোগান দিতে সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া জরুরী। গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়। এ আলোচনা করতে গিয়ে গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য খেজুর খাওয়া কতটা জরুরি, সে সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। খেজুর খাওয়ার উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো-

  • খেজুর খাবারের ফলে গর্ভবতী মায়ের রাতের ঘুম ভালো হয় কেননা খেজুরে থাকে মেলাটোনিন হরমোন। যা একজন মানুষকে রাতে ঘুমাতে সাহায্য করে। 
  • খেজুর একজন গর্ভবতী মায়ের রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে করে।
  • খেজুর লেগডেট টিভ যা জরায়ুর সংকোচনে সাহায্য করে এবং গর্ভবতী মাকে প্রসব শ্রমকে সহজ করে।
  • খেজুরে কার্বোহাইড্রেট বিদ্যমান থাকায় গর্ভবতী মাকে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
  • তাছাড়া খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরী। আসুন আমরা সবাই গর্ভবতি মায়ের যত্ন নেই এবং প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় খেজুর রাখি।

গর্ভবতী মায়ের মধু খাওয়া বাচ্চার জন্য নিরাপদ

গর্ভবতী মায়ের মধু খাওয়া বাঁচার জন্য কতটা নিরাপদ তা আলোচনা করব। গর্ভাবস্থায় মধু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী। কেননা মধুতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারে্ল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। একজন গর্ভবতী মা ও ক্রমবর্ধমান ভ্রম উভয়ের জন্য মধু উপকারি উপাদান। সাধারণত ঠান্ডা ও কাশিতে প্রতিকার হিসেবে মধু খাওয়া হয়ে থাকে। 

মধু ত্বকের রং ফর্সা করে না বরং ত্বককে উজ্জ্বল করে। মধুতে এ্যান্টিওক্সিডেন্ট উপাদান থাকায় গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই উপকারী। কেননা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মূলত উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মা মধু খাওয়ার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতাকে কমাতে পারেন। আপনার শরীরে যদি কোন প্রকার এলার্জি না থাকে তবে আপনি গর্ব অবস্থায় নির্ভয়ে মধু খেতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ত্বকের উজ্জলতায় ঘরোয়া উপায় 

আপনি যদি নিয়মিত মধু খান তাহলে অসংখ্য রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাবেন। মধুকে রোগমুক্তির মহা ঔষধ বলা হয়। এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত। মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং যেকোনো ধরনের ইনফেকশন হতে রক্ষা করে। মধুকে চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সব ধরনের মানুষেরাই মধু খেতে পারে। 

মধুতে আছে  ভিটামিন, খনিজ উপাদান এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট। গবেষণায় দেখা গেছে মধুতে ৪৫ প্রকারের খাদ্য উপাদান রয়েছে। গর্ভ অবস্থায় মধু খাওয়া মা ও শিশুর জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে। গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়। এই আলোচনা করতে গিয়ে গর্ভবতী মায়ের জন্য মধু কতটুকু নিরাপদ সে সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে।

গর্ভবতী মা কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়

একজন গর্ভবতী মা যদি সঠিকভাবে খাদ্য অভ্যাস গড়ে তোলেন তাহলে শিশুর সঠিক ওজন উচ্চতা ও শারীরিক গঠন বজায় থাকে। গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থায় ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার গুলো বেশি খাওয়া উচিত এবং কেননা ভিটামিন এ শিশুর বেড়ে ওঠা, হাড় মজবুত করা এবং দৃষ্টি শক্তি তৈরি করতে সাহায্য করে। 

গর্ভবতী মায়ের শেষের তিন মাসে ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে এ সময় মাকে ক্যালরিযুক্ত খাবার দেওয়া প্রয়োজন। সবকিছু অতিরিক্ত না খেয়ে সন্তানের সুস্থ মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য প্রয়োজন মত খাবার খেতে হবে। একজন গর্ভবতী মা দৈনিক খাবারের তালিকায় ডাবের পানি, পালং শাক, মটরশুটি, মসুর ডাল, সবুজ সবজি, যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে এগুলো খাওয়া দরকার।

আরো পড়ুনঃ ওজন বাড়ানোর উপায়

কেননা এগুলো আপনার গর্ভস্থ শিশুকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। গর্ভস্থ শিশুর হাড় মজবুত করতে গেলে প্রয়োজন ক্যালসিয়াম। এ জন্য মাকে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া খুবই জরুরী। ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের কারণে মা এবং শিশু উভয়েই সুস্থ থাকে এবং শিশুকে লম্বা করতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়। একথা আলোচনা করতে গিয়ে বাচ্চার ওজন বাড়ানো সম্পর্কেও আলোচনা করা হচ্ছে। গর্ভাবস্থায় সুষম খাবার খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে। গর্ভবতী মায়ের সপ্তম মাস থেকে শুরু করে প্রসবের আগ পর্যন্ত বাড়তি খাবারের প্রয়োজন। কারণ এই সময় গর্ভের বাচ্চা সবচেয়ে বেশি বাড়ে। 

গর্ভাবস্থায়-কি-খেলে-বাচ্চার-ওজন-বাড়ে

তাই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের পাশাপাশি প্রোটিন জাতীয় খাবারগুলো দেওয়া প্রয়োজন। প্রোটিন জাতীয় খাবারের উৎস হল সামুদ্রিক মাছ, সহ অন্যান্য মা্‌ছ, মাংস ডিম এছাড়াও সিমের প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। গর্ভাবস্থায় শিশুর ওজন বাড়ে এমন কতগুলো খাবারের নাম উল্লেখ করা হলো।

  • কলা, পেঁপে, ডালিম, অ্যাভোকাডো এবং কমলালেবুর মতো পুষ্টিকর ফলগুলো বাঁচার ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ব্রাউন চাল, ব্রাউন আটা, ওট্মিল। এ জাতীয় খাবার গুলো বাঁচার ওজন বাড়ায়।
  • গর্ভাবস্থায় সুষম খাবার খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে।
  • আইরন, ফলিক এসিড বাচ্চার ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার গুলো যেমন-দুধ, দই, পনির, ব্রকলি, ভেন্ডি, কাঁটাযুক্ত মাছ, সামুদ্রিক মাছ, সবুজ শাকসবজি, ডুমুর, ডিম, তিল, তিসি ইত্যাদি গর্ভস্থ শিশুর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় মা যদি নিয়মিত এসব খাবার খান তাহলে গর্ভস্থ শিশু সুন্দরভাবে বেড়ে উঠবে এবং সঠিক ওজন থাকবে।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এই নিয়ে করে শেষ কথা

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়। ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বাচ্চা ওজন  বাড়ানোর উপায়, বাচ্চা সুস্থ থাকার উপায় এবং বাচ্চা লম্বা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমার লেখা আর্টিকেল পড়ে আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকে্‌ন, এ ধরনের আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন।

আমার লেখা আর্টিকেল পড়ে যদি আপনি কষ্ট পেয়ে থাকেন এবং আমার লেখায় যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এতক্ষণে সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url