পলিব্যাগ মানুষ ও প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। পলিথিন পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ

পলিব্যাগ মানুষ ও প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর আপনি কি এ বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। পলিব্যাগ মানুষ এবং প্রাণীর জন্য অনেক ক্ষতি করে, আমরা অনেকেই তা জানিনা। তাছাড়া পলিব্যাগ পরিবেশের জন্য বড় হুমকিস্বরূপ। 

পলিব্যাগ-মানুষ-ও-প্রাণীর-জন্য-ক্ষতিকর

আমি আপনাকে বলে দিব পলিব্যাগ মানুষ ও প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর, তাছাড়া পরিবেশের জন্য বিশাল হুমকিস্বরূপ। চলুন তাহলে জানা যাক পলিব্যাগ কিভাবে মানুষ এবং প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া পরিবেশের জন্য বিশাল হুমকিস্বরূপ এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ্করব।

পোস্ট সূচিপত্রঃ পলিব্যাগ পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ

পলিব্যাগ মানুষ ও প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর

পলিব্যাগ কিভাবে মানুষ এবং প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর, আমরা অনেকেই তা জানিনা। বলে কিনে অনেক স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে। চোখ জ্বালা-পোড়া, লিভারের সমস্যা, ক্যান্সার, চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট সহ আরো অনেক মারাত্মক রোগের জন্য পলিথিন দায়ী। আমরা বাজারের সব খরচি প্রায় পলিথিনে করে নিয়ে আসি। এমন কি বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্যও পলিথিনে নিয়ে আসি। 


আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেনা পলিথিনে মোড়ানো খাবার বিষ ক্রিয়ার জন্য দায়ী। আমরা পলিথিনকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে থাকি। যেমন ফ্রিজে মাছ-মাংস বা অন্যান্য কিছু রাখলে পলিথিনে প্যাকিং করে রাখি। এইসব প্যাকিং করা দ্রব্যে ও বায়বীয় ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। তাছাড়া প্লাস্টিকের বর্জ্য মাইক্রো ও ন্যানো কণা রূপে মানব শরীরের ঢুকে পড়ে। 

এতে করে হরমোন জনিত নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া পলিথিন মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন রোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রাণু ও ডিম্বাণু উৎপাদনে ব্যাহত, ক্যান্সার সহ ত্বক বিভিন্ন রকম রোগ সৃষ্টি করছে পলিথিন। সম্প্রীতি এক গবেষণায় দেখা গেছে পৃথিবীর প্রায় ৮৫ শতাংশ কলের পানিতে মাইক্রোপ্লাস্টিক মিশে আছে। 

সেখান থেকে প্রতিমাসে ২১ গ্রাম এবং প্রতিবছরে ২২৫ গ্রাম প্লাস্টিক মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে। ফলে মানুষ গুরুতর ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। পলিথিনে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক উপাদান যেমন ফথেলেটস, বিস্ফেনোন, অর্গানোটিনস, পার ও পরি ফ্লোরোঅ্যালকাইল, বিস্ফেনল রয়েছে। যা আমাদের শরীরের স্থুলতা গর্ভধারণের ক্ষমতারাশ এবং বিভিন্ন স্নায়ু রোগ ঘটাতে পারে।

পলিথিন শুধু জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি নয় এর পরিবেশ ও জীবন বৈচিত্রের উপর মারাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করেছে। তাছাড়া রঙিন পলিথিনে থাকে সিসা ক্যাডমিয়াম, যা আমাদের শরীরে চর্ম রোগের জন্য দায়ী। অথচ আমরা এর পলিথিন ছাড়া অচল। দেখা গেছে ঢাকা শহরে প্রত্যেকটি পরিবার দিনে চারটি করে পলিথিন ব্যবহার করে। তাহলে শুধু ঢাকায় প্রতিদিন পলিথিন লাগে এক কোটি ৪০ লাখ।

পলিথিন পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ

পলিথিন পরিবেশের জন্য এক বিশাল হুমকি স্বরূপ। পলিব্যাগ মানুষও প্রাণের জন্য ক্ষতিকর। অনেকেই তা জানেনা। বিশ্ব পরিবেশ দিবস.৫ই জুন। পরিবেশ সুরক্ষায় বিশ্বব্যাপী উদ্বোধন শেষ নেই, তেমনি প্রচার-প্রচারণারও অন্ত নেই। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে পরিবেশন এর জন্য যে উপাদানকে সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয় তার মধ্যে পলিথিন অন্যতম। পরিবেশ সুরক্ষার জন্য পলিথিন এক চরম হুমকি ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 
সরকার ১লা জানুয়ারি ২০০২ সালে ঢাকা শহর এবং ১লা মার্চ ২০০২ থেকে সারাদেশে পলিথিনের উৎপাদন বিপণন ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কিছুদিন পাটও কাগজের ব্যাগের ব্যবহার লক্ষ্য করা গেলেও মানুষের অসচেতনা তার অভাবে আবার পলিথিন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমান বিশ্বে প্রতি মিনিটে ১০ লাখের বেশি এবং বছরে প্রায় পাঁচ লাখ পৃথিন ব্যবহার করা হয়।

 এর মাত্র এক শতাংশ পুনর ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা হয় আর ১০% সমুদ্রের ফেলা হয়। এসব পলিথিন একশত বছরেও পচেনা এবং মাটির সঙ্গে মিশে না। এর ক্ষতিকর প্রভাব মানুষ ছাড়া পাখি জীবন বৈচিত্র্য ও জলজ প্রাণীর উপর প্রভাব ফেলে। পলিথিন এমন একটি উপাদান দিয়ে তৈরি যা পরিবেশের জন্য মোটেই উপযোগী নয়। তাই আমাদের নিজেদের স্বার্থে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় ক্ষতিকর পলিব্যাগ নিষিদ্ধ করতে হবে। 

এই পলিথিন আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পানি এবং মাটিকে মারাত্নক ভাবে দূষিত করছে। তাছাড়া মানব শরীরে প্রবেশ করে ক্যান্সার রোগের সৃষ্টি করছে। আসুন আমরা সবাই পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের তৈরি ব্যাগ কিম্বা কাপড়ের তৈরি ব্যাগ ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ায়। এতে করে পরিবেশ দূষণ মুক্ত হবে এবং আমরাও সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করতে পারব।

পলিথিন ব্যাগের বিকল্প উপায়

পলেথিন বেগের বিকল্প হিসেবে আমরা পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করতে পারি। বর্তমান সরকারের উদাসীনতার অভাবে পলিথিনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পলিথিন আমাদের খাদ্যদ্রব্য কে বিষাক্ত করছে। তাছাড়া প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে শহরগুলোতে যে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে এগুলোর কারণ হলো পলিথিন ব্যাগ। 


পলিথিনের কারণে পানি আটকা পড়ে শুরু হয় জলাবদ্ধতা। ব্যবহারকৃত পলিথিন আবার ব্যবহারের উপযোগী করায় এর সাথে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে যার থেকে শুরু হচ্ছে ক্যান্সার, লিভার, কিডনি ড্যামেজ সহ আরো অনেক প্রাণঘাতী রোগ। আমাদের পরিবেশকে সুরক্ষা দিতে পারে একমাত্র কাগজ ও পাটের তৈরি ব্যাগ। পাটের তৈরি ব্যাগ পরিবেশবান্ধব। 

পলিথিন উৎপাদন বন্ধের জন্য সরকারের ব্যাপক নজরদারি রাখতে হবে। গণমাধ্যমগুলো যেমন রেডিও টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকায় ব্যাপকভাবে প্রচারণা দরকার। পাট ও কাগজের ্ব্যাগের ইতিবাচক দিক, সাশ্রয়ী দাম ও সহজে পাওয়া যায় এমন বিষয়গুলো বিবেচনা করে পরিবেশ সুরক্ষায় পলিথিন মুক্ত বাংলাদেশ গড়া দরকার। তাই আসুন আমরা সবাই পলিথিন মুক্ত দেশ গড়ি। সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন করি।

পলিথিন ব্যবহার করা উচিত নয় কেন

পলিথিন ব্যবহার করা উচিত নয়। পলিব্যাগ মানুষ ও প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর এবং পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। কারণ পলিথিন ব্যাগের মূল উপাদান হচ্ছে সিন্থেটিক পলিমার যা তৈরি হয় পেট্রোলিয়াম থেকে। পলিথিন ব্যাগ তৈরিতে বিশ্বজুড়ে মোট খনিজ তেলের ৪ শতাংশ ব্যবহার হয়।

পলিথিন-ব্যবহার-করা-উচিত-নয়-কেন

কোন এক গবেষণায় দেখা গেছে ১ টন পাট থেকে তৈরি বস্তা পোড়ালে দুই বিঘাযুল তাপ বাতাসের সাথে ১৫০ কিলোগ্রাম কার্বন-ডাই-অক্সাইড ছড়িয়ে পড়ে। পলিথিন ব্যবহার করা উচিত নয় তার কিছু কারণ আপনাদের সুবিধার্থে নিচে আলোচনা করা হলো-

জনসাস্থ্যের জন্য ক্ষতিঃ ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক মাইক্রোপ্লাস্টিকে পরিণত হয়ে বাতাস পানি এবং খাবারের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করে। ফলে ফুসফুস এবং কিডনিতে রোগের সৃষ্টি হয়। পলিথিন ব্যাগ তৈরিতে বিসফেনল ও ফ্যালেটেসর নামক রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এই পদার্থগুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ করে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, শ্বাসকষ্ট, প্রজনন সমস্যা ও ক্যান্সারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে।
অন্যান্য প্রাণীদের জন্য হুমকিঃ পরিত্যক্ত পলিথিন বা প্লাস্টিক উভয়ই যেকোনো উভচর প্রাণীর পরিপাকতন্ত্রকে বিনষ্ট করে দেয় ফলে অপুষ্টি অনাহার ও শেষ পর্যন্ত মৃত্যুও ঘটতে পারে। জেলি ফিস হচ্ছে সামুদ্রিকের প্রধান খাবার। সামুদ্রিক কচ্ছপগুলো ভাসমান প্লাস্টিকের ব্যাগগুলোকে জেলিফিশ ভেবে খেয়ে ফেলে তারা তাদের কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে।
সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের বিনাশঃবেশিরভাগ প্লাস্টিকের গন্তব্যস্থান সাগর। এ প্লাসটিক ব্যাগগুলো সমুদ্রের পানিতে দীর্ঘদিন ভাসমান থাকায় পানির উপর এক বিশাল আবর্জনার সৃষ্টি করে এই আবর্জনা সাগরের খাদ্যশৃঙ্খলে প্রবেশ করে ক্ষুদ্রতম প্লাঙ্কটন থেকে শুরু করে বৃহাদাকার তিমির ও মৃত্যুর কারণ হয়। তাছাড়া মাছ, সামুদ্রিক পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণী সহ গোটা সামুদ্রিক প্রজাতি প্লাস্টিক দূষণের ঝুঁকিতে আছে।
জলবায়ুর উপর ক্ষতিকর প্রভাবঃ পলিথিন ব্যাগ মেট্রোলিয়াম ভিত্তিক পণ্য থেকে তৈরি করা হয়। আর এই পলিথিন ওদের প্রচুর পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হয়। অপরদিকে এ পদার্থের থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও মিথেনের মতো গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গত হয়। পূর্ণ ব্যবহারের জন্য অযোগ্য পলিব্যাগ গুলো পুড়িয়ে ফেলা হয় তখন ধোঁয়ার মাধ্যমে ক্ষতিকর গ্যাস বের হয় এবং পরিবেশকে বিষাক্ত করে ফেলে।

পলিথিনের কয়েকটি উৎকৃষ্ট ও বিকল্প উপায়

মানুষ ও প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর পলিথিন এর বিকল্প উপায় হিসেবে উৎকৃষ্ট মানের সোনালি ব্যাগ সহ অন্যান্য পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করা যায়। 
  • পাটের ব্যাগঃ পাটের তৈরি ব্যাগ পলিথিন বেগের বিকল্প উপায়। এই ব্যাগগুলো টেকসই ও জল প্রতিরোধক। প্লাস্টিকের ব্যাগের তুলনায় এগুলো বেশি ভারী বোঝা বহন করতে সক্ষম। এই ব্যাগগুলো ফেলে দেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই এর উপাদান গুলো সম্পূর্ণভাবে নস্ট হয়ে যায়।
  • তুলার ব্যাগঃ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের জন্য আরও একটি বিকল্প উপায় হচ্ছে তুলার ব্যাগ এই ব্যাগগুলো হালকা ওজনের হয়ে থাকে এগুলো ধোঁয়া যায় এবং সহজে ভাঁজ করে রাখা যায়।
  • কাগজের ব্যাগঃ কাগজের ব্যাগ হলো পলিথিনের আরেকটি বিকল্প উপায়। পুন ব্যবহারযোগ্য এবং দ্রুত নিঃশ্বাসযোগ্য তুলার মত শক্তিশালী না হলেও হালকা জিনিস বহন করার ক্ষেত্রে এটি একটি নির্ভরযোগ্য বিকল্প।
  • কাপড়ের তৈরি ব্যাগঃ কাপড়ের তৈরি ব্যাগ হলো পলিথিন এর আর একটি বিকল্প ও সেরা উপায়। তৈরি ব্যাগগুলো দীর্ঘদিন টেকসই হয়ে থাকে। এগুলো পানিতে ধুয়ে অসংখ্যবার ব্যবহার করা যায়। কাপড়ের ব্যাগ গুলো নষ্ট হবার ফলে সহজেই প্রকৃতিতে মিশে যায়। ফলে পরিবেশের উপর কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলার আশঙ্কা থাকে না।
  • উলের ব্যাগঃ উলের তৈরি ব্যাগ প্লাস্টিকের আরো একটি বিকল্প উপায়। এই ব্যাগগুল যথেষ্ট মজবুত এবং পুনর্ব ব্যবহারযোগ্য। উলের তৈরি ব্যাগগুলো সব আবহাওয়াতেই ব্যবহার করা যায়। উলের তৈরি ব্যাগ পরিবেশের উপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না। এগুলো ঘন ঘন বদলানোর প্রয়োজন পড়ে না। উলের তৈরি ব্যাগ নষ্ট হয়ে গেলে মাটিকে দূষিত করার পরিবর্তে মাটিকে সমৃদ্ধ করে।
  • বেতের ব্যাগঃ বেতের তৈরি ব্যাগ পলিথিন বেগের বিকল্প উপায়। ভারী বোঝা বহনের ক্ষেত্রে বেতের ব্যাগ সেরা। এটা অনেকদিন স্থায়ী হয়ে থাকে। তাই ঘন ঘন বর্জ্য সামলানোর কোন ঝামেলা থাকে না।
  • শণের ব্যাগঃ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে টেকসই ও মজবুত ব্যাগ হচ্ছে ছনের তৈরি ব্যাগ। এই ব্যাগ পাটের ব্যাগের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ও ভারী ওজন বহন করতে সক্ষম। এছাড়াও শণের মধ্যে দূষিত মাটি পরিষ্কার করার উপাদান রয়েছে। 
  • কচুরিপানা থেকে তৈরি ব্যাগঃ পলিব্যাগ এর বিকল্প ব্যাগ হচ্ছে শ্রীপানার ব্যাগ এই ব্যাগ তৈরির ক্ষেত্রে জলদ উদ্ভিদকে ব্যাগের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই ব্যাগ ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন জায়গায় কচুরিপানার বৃহদাকার ঘনত্ব কমে যাবে। এতে করে স্থানীয় বাস্তুতন্ত্র ব্যহত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।

পলিথিনের বিকল্প গুলোর সীমাবদ্ধতা

পলি ব্যাগ মানুষ ও প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। পলিথিন এর বিকল্প গুলোর প্রসারের সীমাবদ্ধতা থাকায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যায়। পরিবেশবান্ধব ব্যাগগুলো পলিথিনের তুলনায় বেশি দামি হয়ে থাকে। উচ্চমূল্যের কারণে ভোগ দ্বারা কিনতে নিরোৎসাহিত হয়ে পড়ে। এই ব্যাগ উৎপাদন করতে খরচ বেশি হয় তাই বিক্রয়মূলক কমানো কঠিন হয়ে যায়।


যে অঞ্চলে পাট বা তুলা চাষ হয় না সেই অঞ্চলগুলোতে বেশি পরিমাণে ব্যাগ সরবরাহ করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যায়। ভোক্তাদের প্রয়োজনে ব্যাগ সরবরাহ করতে না পারলে তারা আবার পলিব্যাগ ব্যবহারের দিকে ধাবিত হতে পারে। তাই পলিথিন বেগে বিকল্প বেগগুলোকে সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়া প্রসারতা ঘটাতে হবে।

পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ হবার পরে অন্যান্য বেগের চাহিদা বাড়বে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদনের স্বার্থে কিছু মহল অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বড় পরিসরে উৎপাদন, বহন ও নিষ্পত্তিতে প্লাস্টিকের মতোই কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা খুবই দরকার।

পলিব্যাগ নিষিদ্ধের পর করণীয়

পলিব্যাগ নিষিদ্ধের পর করণীয় কি। যেহেতু পলিব্যাগ মানুষ ও প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হলে মানুষ, বন্যপ্রাণী, আবহাওয়া ও পরিবেশ সুরক্ষিত হবে। পলিথিন নিষিদ্ধ হবার পর পাট, তুলা, উল, শণ, বেত, কাগজ ও কাপড়ের তৈরি ব্যাগগুলোর সরবরাহ অনতিবিলম্বে বাড়াতে হবে। কাগজ, কাপড় সহ অন্যান্য দ্রব্যের তৈরি ব্যাগগুলো পরিবেশবান্ধব হলেও এর পরিবর্তন রাতারাতি করা সম্ভব নয়। 

পলিব্যাগ-নিষিদ্ধের-পর-করণীয়
কেননা নতুন ব্যাগগুলো সরবরাহ করার পূর্বে শিল্পগুলো অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব গুলো বিবেচনায় আনতে হবে। এজন্য ভোক্তাদের পাশাপাশি প্রস্তুতকারক পর্যায়েও ভিজিবিলিটি স্টাডি প্রয়োজন। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে সবকিছু আমাদের হাতের লাগালে থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সত্যি আমরা খুব অসহায়। 

মানব সভ্যতা যতই উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ততই আমরা অনেক অমীমাংসিত সমস্যার মুখোমুখি হয়ে পড়েছি। তেমনি একটি সমস্যা হল পলিব্যাগ। এর পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে নিজেদের উদ্যোগী এবং সচেতনতা দুটোই প্রয়োজন। আসুন আমরা পলিথিনকে না বলি, মানুষ ও প্রাণীকুলে দূষণমুক্ত পরিবেশে গড়ি।

লেখক এর শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, পলিব্যাগ মানুষ ও প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর এবং পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। পলিব্যাগ নিষিদ্ধ করা হলে এর বিকল্প হিসেবে কি ব্যবহার করাটা পরিবেশ বান্ধব হবে, তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আমার এই লেখনীর মাধ্যমে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে উপকৃত হবেন।।

পলিব্যাগ মানুষ ও প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। আমি এ ধরনের সচেতনতামূলক আর্টিকেল লিখে থাকি। আশা করি আপনি আমার আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হয়েছেন। যদি আমার লেখা আর্টিকেল পড়ে আপনার ভালো লাগে তবে এ ধরনের আর্টিকেল পাওয়ার জন্য নিয়মিত আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। আর যদি কিছু ভুল করে থাকি তবে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url