সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়।

সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়। আপনি কি এ ব্যাপারে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আপনি যদি মোটা হতে চান। মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানা দরকার। আজ আমি আপনাকে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানাবো।

সকালে-খালি-পেটে-কি-খেলে-মোটা-হওয়া-যায়

সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়, অতিরিক্ত মোটা হলে কি ক্ষতি হয়, সুস্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু মোটা হওয়া দরকার। আজ আমি আপনাকে সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়, এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। চলুন তাহলে আলোচনা করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মোটা হওয়ার আশ্চর্যজনক টিপস

সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়।

সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়। এটাই আজকের আলোচনার বিষয়। অতিরিক্ত মোটা হওয় যেমনি স্বাস্থ্য ঝুঁকি, তেমনি স্বাভাবিকের চেয়েও ওজন কম হলে সেটিও শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমাদের প্রত্যেকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা জরুরি। আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে আপনাকে সুষম জাতীয় খাবার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সেইসাথে নিয়মিত ব্যায়াম করা ওজন বাড়ানোর জন্য আবশ্যক।

মোটা হওয়ার জন্য সকালের নাস্তায় দুধ, কলা, ডিম ও খেজুর যোগ করতে পারেন।দুধে প্রায় সব ধরনের পুষ্টি উপাদান আছে যা আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণ করতে সাহায্য করবে। দুধে আছে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি। যা আমাদের শরীরকে মোটা করতে সাহায্য করবে। মোটা হওয়ার জন্য আমাদের প্রতিদিনের খাতায় দুধ রাখা আবশ্যক।


মোটা হওয়ার জন্য ময়দা জাতীয় খাবারগুলো যেমন-রুটি, পাউরুটি, কেক, নান ইত্যাদি খাবারগুলো খাওয়া জরুরী। ময়দা জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। যা আমাদের ওজন বৃদ্ধি করে। শরীরের উচ্চতা ভেদে যাদের ওজন কম তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম হয়। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যেমন পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন।

তেমনি কিছু খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যোগ করলে আপনাকে মোটা হতে সাহায্য করবে। মোটা হওয়ার জন্য অনেক উপায় আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মোটা হওয়ার জন্য সহজ উপায়  কি? মোটা হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। অনেকে মোটা হওয়ার জন্য ঔষধ খেয়ে থাকেন।
 
আমি বলব এই অভ্যাসটি একটি বাজে অভ্যাস। ঔষধ খেয়ে ওজন বাড়ানো একদম উচিত না। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশায় বেশি থাকে। স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস এবং ব্যায়াম ই হল মোটা হওয়ার সঠিক উপায়। আপনি যদি নিয়মিত এই দুই কাজ করেন তাহলে আপনার মোটা হওয়া থেকে কেউই ঠেকাতে পারবেনা।

দ্রত কি খেলে মোটা হওয়া যায়

আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা সকালে পেট ভরে খাওয়া পছন্দ করি না। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সকালে পেট ভরে খাবার খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। এমন কিছু খাবার আছে যা সকালে খালি পেটে খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সকালে খালি পেটে ময়দা জাতীয় খাবার, চিনি, দুধ, ডিম, চেরি, বাদাম, কিসমিস, আখরোট ইত্যাদি খাবারগুলো খেলে মোটা হওয়া যায়। নিচে এ খাবারগুলোর গুণগতমান সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো।


  • দুধঃ আপনি যদি চিকন হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায় খোঁজেন তাহলে সকালের নাস্তায় এক গ্লাস দুধ আপনার জন্য জরুরী। কেননা দুধে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম। যা আপনাকে দ্রুত মোটা করতে সাহায্য করবে।
  • ডিমঃ মোটা হওয়ার জন্য আপনার খাদ্য তালিকায় ডিম রাখা জরুরী। ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন। যা আপনার শরীরের মাংসপেশী গঠন করতে সাহায্য করে। ওজোন বৃদ্ধি এবং মোটা হওয়ার জন্য ডিমের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই প্রতিদিন সকালের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই একটা ডিম রাখবেন।
  • ময়দা জাতীয় খাবারঃ ময়দা জাতীয় খাবার গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট থাকে যা আমাদের ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ময়দা জাতীয় খাবারগুলো যেমন রুটি, পাউরুটি, কেক, নান ইত্যাদি। এ জাতীয় খাবার গুলো আমাদের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালের খাবারের তালিকায় অবশ্যই এই খাদ্যগুলো রাখবেন।
  • চিনিঃ চিনিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট যা আমাদের শরীরকে মোটা করতে সাহায্য করে। তাই সকালের খাবারের সাথে তিমি মেশানো খাবার খেতে ভুলবেন না। ওজন বাড়ানোর জন্য চিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • চেরিঃ প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি ও শরকরাযুক্ত ফল হল চেরি। আপনি যদি সকালের খাবারে চেরি যোগ করেন তাহলে অতি দ্রুত আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।স্যালাড এর সাথে চেরি যোগ করলে আপনি বেশি উপকার পাবেন।
  • মেয়োনিজ ড্রেসিং স্যালাডঃ মেয়োনিজ হচ্ছে ইমালশন তেল, ডিমের কুসুম, ভিনেগার, এবং কিছু মসলা দিয়ে তৈরি একটি সুস্বাদু খাবার।স্যালাড এর সাথে মেয়োনিজ ড্রেসিং মাখিয়ে সকালের খাবার খান তাহলে আপনি অতি দ্রুত মোটা হবেন। কেননা মিয়োনিজ ড্রেসিং স্যালাডে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে।
  • বাদামঃ আপনি যদি আপনার ওজন দ্রুত বাড়াতে চান, তাহলে রাতে কাঁচা বাদাম ভিজে রেখে সকালে উঠে খালি পেটে খেতে পারেন। কারণ বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর, ভিটামিন, প্রোটিন ও ফ্যাট। যা আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক।
  • কিসমিসঃ ওজন বাড়ানোর জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হচ্ছে কিসমিস। কিসমিসে আছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ও ক্যালরি, যা আমাদের দৈহিক ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। আমরা যদি প্রতিদিন রাতে বাদামের সঙ্গে কিসমিস ভিজে রেখে সকালবেলা খেতে পারি তাহলে আমাদের ওজন বাড়বে।
  • আখরোটঃ ওজন বাড়ানোর জন্য আপলোড একটি অন্যতম উপাদান। আছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ও ক্যালরি। আপনি ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম ওই কিসমিসের সঙ্গে আখরোট ভিজিয়ে খেতে পারেন। যা আপনাকে দ্বিগুণ ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।

কি খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে

সবাই চায় সুন্দর স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে। যারা দেখতে চিকন তারা সবসময় চায় একটু মোটা হতে। এজন্য তারা সব সময় কিছু না কিছু খেতে থাকেন। স্বাস্থ্য উন্নতি না হয় তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় কি খেলে দ্রুত মোটা হবে বা ওজন বাড়বে? এটা ওটা না খেয়ে দ্রুত ওজন বাড়বে কি খেলে তা খাদ্য তালিকায় যোগ করলে বেশি উপকৃত হওয়া যায়। ওজন খাদ্য তালিকায় যে খাবারগুলো যোগ করবেন-
  • দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম কিসমিস ও আখরোট এর গুরুত্ব অপরিসীম। রাতে আধা কাপ বাদাম ও কিসমিস ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাবে।
  • আপনি যদি সকালে পান্তা খান আর যতক্ষণ ইচ্ছা ঘুমান। তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ওজন বাড়াতে শুরু করবে।
  • ফাস্টফুড জাতীয় খাবার গুলো যেমন রোল পাকোড়া, বার্গার, চপ, পিৎজা এই খাবারগুলো দ্রুত ওজন বাড়াতে সক্ষম।
  • শ্রেণি জাতীয় খাবার গুলো যেমন স্বাদে অতুলনীয় তেমনি ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে।
  • লাল মাংস আপনার দ্রুত ওজন বাড়াতে সক্ষম। আপনি যদি সপ্তাহে একদিন এই লাল মাংস খেয়ে থাকেন তাহলে খুব দ্রুত আপনার ওজন বাড়বে।

মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা

মোটা হওয়ার জন্য আপনি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কি কি রাখবেন তা অবশ্যই জেনে রাখা দরকার। মোটা হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই উচ্চ কেনারে যুক্ত ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ক্যালরিযুক্ত ও প্রোটন সমৃদ্ধ হলো খেলে তাড়াতাড়ি মোটা হওয়া যায়।

মোটা-হওয়ার-জন্য-প্রতিদিনের-খাদ্য-তালিকা
  • ভাতঃ আমরা বাঙালি তাই আমাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে ভাত। ভাত আছে বিপুল পরিমাণে ক্যালরি ও শর্করা, যা আমাদের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। মোটা হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই তিনবেলা ভাত খেতে হবে। ভাতের মধ্যে পান্তা ভাত খেলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। প্রতিদিন সকালে পাতা ভাত খেলে দ্রত ওজন বাড়বে।
  • তৈলাক্ত মাছঃ দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য দৈনিক খাবারের তালিকায় তৈলাক্ত মাছ রাখা প্রয়োজন। কেননা মাছের তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর চর্বি প্রোটিন, ওমেগা-৩, ফেটি অ্যাসিড, ভিটামিন ও বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান। যা আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। ওজন বাড়ানোর জন্য আপনাকে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাছ রাখা অত্যন্ত উপকারী।
  • লাল মাংসঃ লাল মাংস রয়েছে আইরন ও লোহাযুক্ত প্রোটিন। তাছাড়াও লাল মাংসের প্রচুর পরিমাণে চর্বি,  কোলেস্টেরল ও ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে যা আমাদের ওজন বাড়াতে এবং মোটা হতে সাহায্য করে। তাই ওজন বাড়ানোর জন্য আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে একদিন লাল মাংস রাখা উচিত।
  • ফাস্ট ফুডঃ ফাস্ট ফুড খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলেও মোটা হতে চাইলে এর গুরুত্ব অপরিহার্য। আপনি যদি মোটা হতে চান কি আপনার শরীরের ওজন বাড়াতে চান তাহলে রোজ টিফিনে বা সন্ধ্যায় হাত ফুট জাতীয় খাবার যেমন রোল, বার্গার, পিৎজা, চাউমিন এসব খেতে পারেন।

কোন ধরনের সবজি খেলে ওজন বাড়ে

আপনি যদি চিকন থেকে মোটা হতে চান কিংবা আপনার শরীরে ওজন বাড়াতে চান কিম্বা ওজন কমাতে চান সকল ক্ষেত্রে সবজি আপনাকে সাহায্য করবে। কোন সবজি খেলে আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। ওজন বাড়াতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যেসব সবজি যোগ করবেন তা হল-সাদা আলু, মিষ্টি আলু, বিট, ইত্যাদি

  • সাদা আলুঃ সাদা আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট তাই আলু খেলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে আলুর এমন একটি খাবার যা সারা বছরই কিনতে পাওয়া যায় এবং সব ধরনের সবজিতেই আলো যোগ করা হয়। তাই ওজন বাড়ানোর ইচ্ছা থাকলে আপনি আলোকে নিত্যদিনের খাদ্য তালিকা রাখতে পারেন।
  • মিষ্টি আলুঃ তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট। যা খেলে আমাদের ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় মিষ্টি আলু যোগ করতে পারেন।
  • বিটঃ মোটা হওয়ার আরেকটি খাদ্য উপাদান হচ্ছে বিট। বিট এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ও কার্বোহাইড্রেট। বিট খাবারের ফলে আপনার শরীরে শর্করা ও চিনি পরিমানে বেড়ে যায় যা আপনাকে ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

মাটির নিচে জন্মে এমন কিছু সবজি যেমন-মূলা, গাজর, ওল, মান কচু ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি আছে, আমাদের শরীরের ওজন বাড়াতে বা শরীরকে মোটা করতে সাহায্য করে। মিষ্টি কুমড়া খেলেও আমাদের শরীরে ওজন বাড়বে। 

মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম করা দরকার

মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়ামের পাশাপাশি উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া দরকার। যেমন কাঠবাদাম, চীনা বাদাম, কিসমিস, আলু বোখারা, মিষ্টি আলু, চকলেট, কলা, অ্যাভোকাডো, পিনার বাটার, দই, পনির, খেজুর, পেস্তা ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। তাছাড়া সকালের রাস্তায় দুধ, কলা, ডিম, ও খেজুর যোগ করতে পারেন।


দুধে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি-১২, যা আমাদের দৈহিক ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। ব্যায়াম আমাদের কাঁধ, কোমর, পেট, পা সহ দেহের সমস্ত পেশীগুলোকে মজবুত করে তাই মোটা হওয়ার জন্য খাবারের পাশাপাশি ব্যায়াম খুবই কার্যকরী। আপনারা যারা ওজন বাড়াতে চান তারা এই পাঁচ ধরনের ব্যায়াম করবেন।
  • স্কোয়াটস
  • ডেডলিফট
  • বেঞ্চ প্রেস
  • ওভারহেড প্রেস
  • পুল আপস
স্কোয়াটসঃ ওজন বাড়ানোর জন্য আপনি স্কোয়াটস ব্যায়াম করতে পারেন।স্কোয়াটস শরীরের নিচের পেশিগুলোকে শক্ত করে, আকার বাড়ায় এবং শক্তি বিকাশ করে। তাছাড়াও হাঁটুর নিচে পায়ের পিছনে দিকের বেশি মজবুত করতে স্কোয়াটস এর বিকল্প নাই।
ডেড লিফটঃ ওজন বাড়ানোর আরেকটি ব্যায়াম হলো ডেডলিফট। ব্যায়াম করবার ফলে পেশির ভর বৃদ্ধি হয় ফলে ওজন বাড়তে পারে। ওজন বাড়াতে ডেট লিফট করার সময় প্রথমে খুব বেশি ওজন তোলা উচিত নয়। ডেডলিট স্কোয়াড বেঞ্চ প্রেসের মতো ব্যায়ামের মধ্যে একটি। ডেড লিফট বাম লোড করা মারবে মাটি থেকে নিতম্বের স্তরে তোলা হয়, এবং মেঝেতে লম্বা করে রাখা হয় তারপর মাটিতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
বেঞ্চ প্রেসঃ বানানোর জন্য আরও একটি উত্তম ব্যায়াম হলো বেঞ্চ প্রেস। বেঞ্চ প্রেস করার ফলে আপনার বুক কাঁধ এবং পেশীগুলোকে শক্তিশালী করে। শুরুতে হালকা কিছু দিয়ে শুরু করেন। ধীরে ধীরে ওজন বাড়াতে থাকেন। প্রতিটি ব্যমে তিনটি করে সেট করুন।
ওভার হেডঃ বেঞ্চ প্রেস এর মত ওভার হেড একটি উত্তম ব্যায়াম। ওভারহেড আপনার কাধ এবং ট্রাইসেপসের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করে।
পুল আপসঃ ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে পুল আপস ব্যায়াম খুবই  জরুরী। আপনি যদি পুরো শরীরে ঝুলিয়ে রেখে পুলাপ অভ্যাস করতে না পারেন, তাহলে পায়ের তলায় একটি স্টুল রাখতে পারেন। প্রথমে ওই স্কুলের সাহায্যেই রোড গোটা শরীর ঝুলে রাখার চেষ্টা করবেন।
মনে রাখবেন ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। ওজন বাড়াতে সময় লাগে নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার আপনাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।
রাতে কি খেলে ওজন বাড়ে
এমন কিছু খাবার আছে যা রাতে খেলে ওজন বাড়ে। রাতে যে খাবারগুলো খেলে ওজন বাড়ে তা হল-চিপ চিপস, পিৎজা, বার্গার সহ আরো অন্যান্য উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার। যা আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আছে চকলেট, চকলেটে আছে ক্যাফিনের পাশাপাশি অধিক পরিমাণে চিনি। যা খাবারের ফলে আপনার ওজন বেড়ে যাবে। 

এসবের পাশাপাশি আপনাকে প্রোটিন ওজন খেতে হবে কেননা প্রোটিন এবং চর্বিযুক্ত খাবার আপনার মাংস পেশীর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। ওজন বাড়াতে চাইলে আপনার খাদ্য তালিকায় উচ্চমাত্রায় ক্যালোরী যোগ করতে হবে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবার যেমন-ডিম, কলা, পনির, সামুদ্রিক মাছ, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, চিনাবাদাম, পেস্তা বাদাম, আখরোট ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে খেজুর, কিসমিস, আলুবোখারা, ফুল ক্রিম দই, ক্রিম ও মুরগির মাংস।

কোন সিরাপ খেলে ওজন বাড়ে

আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে সাইপন সিরাপ। যদি আপনি গুরুতর অসুস্থতার কারণে ক্ষুধামন্দা হয়ে থাকেন। তাহলে সাইপন সিরাপ খেলে ক্ষুধামন্দা দূর হবে, আপনার মুখে রুচি আসবে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। তাছাড়া পিউটন সিরাপ, রুচিবেট, সিনকারা সিরাপ এগুলো খাবারের চাহিদা বাড়ায় হলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।


এগুলো খেলে আপনি অল্প সময়ে মোটা হয়ে যাবেন। সিরাপ খেয়ে মোটা হলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আমি বলব মোটা হওয়ার জন্য ছিরাপ না খেয়ে ধৈর্য ধরে প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে ধীরে ধীরে মোটা হওয়ায় ভালো। যার ফলে আপনি অধিক সময় সুস্থ থাকবেন এবং মোটা হওয়া দীর্ঘস্থায়ী হবে। মোটা হওয়ার জন্য আপনার খাদ্য তালিকা নিযুক্ত খাবার বাড়াতে হবে। 

উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার গুলো যেমন-দুধ, কলা, ডিম, খেজুর ইত্যাদি সকালের নাস্তায় এলে আপনি অতি দ্রুত মোটা হয়ে যাবেন। এছাড়াও নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, বাদাম, ঘি, মাখন খাবারের সাথে যোগ করতে পারেন। এগুলোতে উচ্চমাত্রার ক্যালোরি আছে। যা আপনাকে খুবই দ্রুত মোটা করতে সাহায্য করবে।

খিচুড়ি খেলে মোটা হওয়া যায়

আপনি যদি মোটা হতে চান, তাহলে নিয়মিত খিচুড়ি খান। কেননা খিচুড়িতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন।যা আপনাকে মোটা হতে সাহায্য করবে। খিচুড়ির অন্যতম উপাদান হলো ডাল। ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, ফসফরাস, প্টাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগ্নেসিয়াম, ফাইবার ও এমাইনো এসিড।

খিচুড়ি-খেলে-মোটা-হওয়া-যায়
 
যা আপনার শরীরের গ্রোথ বাড়াতে করে। তবে খিচুড়িতে ডালের পাশাপাশি যদি সবুজ শাকসবজি যোগ করা হয় তবে খাবারটি আরো সুষমা হয়। আর এই খিচুড়ি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হীন একটি মোটা হওয়ার অন্যতম খাবার।

সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়? এই নিয়ে শেষ কথা

সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় এই নিয়ে আমার লেখা এ আর্টিকেল। এখানে মোটা হওয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে। আশা করি আপনি আমার এই আর্টিকেল পড়ে মোটা হওয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনি আরো জানতে পেরেছেন সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়।

আমার লেখা আর্টিকেল পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তবে আমার ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করবেন এবং লাইক কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করবেন। আর আমি যদি আমার লিখার মাধ্যমে আপনাদের কোন কষ্ট দিয়ে থাকি। তবে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url