আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা-আমলকির ২০টি আশ্চার্যজনক পুস্টিগুন

আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমলকি এমন একটি ফল যার অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। আমলকি শুধু ত্বক ও চুলের জন্যই উপকার করে না, বরং অনেক রোগের ওষুধ হিসেবেও কাজ করে। আমরা আমলকি কে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করে থাকি। 

আমলকির-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

আপনি যদি আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা এবং আমলকির আশ্চর্য পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আমার আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। আজ আমি আপনাকে আমলকি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দিব। চলুন তাহলে আমলকি সম্পর্কে জেনে নেই।

পোস্ট সূচিপত্রঃ আমলকের ২০টি আশ্চর্যজনক পুষ্টিগুণ

আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা

আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আমরা আমলকি কে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে থাকি। যেমন আমলকির রস, আমলকির গুঁড়া, আমলকির আচার ইত্যাদি। যদিও আমলকি বিভিন্নভাবে করে থাকি অথচ এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানিনা। কিন্তু আমাদের আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা ও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে ব্যবহার করা দরকার। 


আমলকি কে রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমলকি এমন একটি ফল যেটি শুষ্ক অবস্থায় জীবন দান করে। আপনার চুল ও ত্বক যখন উস্কো খুসখো হয়ে যায় তখন আমলকি ব্যবহারে চুল নতুন জীবন ফিরে পায়। আমরা যদি উস্কো খুশকি চুলে আমলকির পেস্ট ব্যবহার করি তাহলে আমাদের চুল কালো ঘন ও চকচকে দেখাবে। 

আমলকির অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন-আমলকি জ্বর কমাতে সাহায্য করে, আমলকি আয়ু বৃদ্ধি করে, কাশি নিরাময় করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, শরীরের পিত্ত, বাত ও কফের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।। তাছাড়া আমলকির পেস্ট ব্যবহারে ত্বকের ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। আমলকি হজম জমিত সমস্যা এবং জন্ডিসের জন্য বিশেষ উপকারী। এছাড়া আমলকি ব্যথা উপশমকারী হিসেবে বিশেষ ফলপদ।

চুল চকচকে ও কালো করতে আমলকি

চুল চকচকে ও কালো করতে আমলকি বিশেষভাবে সাহায্য করে। বর্তমান যুগে সব বয়সের মানুষই চুল পাকার সমস্যায় ভুগছেন। আপনি যদি লাগাতে পারেন কয়েক দিনের মধ্যেই চুল কালো হয়ে যায়। আপনি যদি দ্রুত ও স্থায়ীভাবে চুল কালো করতে চান তাহলে ৩০ গ্রাম শুকনো আমলকি,১০ গ্রাম বহেড়া, ৫০ গ্রাম আমের গুড়া এবং ১০ গ্রাম শিকাই নিন। 

এগুলোর সবকিছু একটি পরিষ্কার লোহার করায়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। অল্প বয়সে আপনার চুল সাদা হয়ে গেলে নিয়মিত এই পেস্ট টি লাগান। কিছু দিনের মধ্যে আপনি নিজেই এর পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।

চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায়

চুলপাকা থেকে মুক্তির উপায় যদি পেতে চান তাহলে আমার আর্টিকেলটি পড়ুন। আজ আমি আপনাকে চুলপাকা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। আমলকি, রিঠা, শিকাকাই, আমের কার্নেল ম্যারো একসাথে পিষে পেস্ট করি। এখন এই পেজটি চুলের গোড়া থেকে শুরু করে পুরো চুলগুলোতে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর চুলগুলো শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। 

এতে করে আপনার চুলের গোড়া শক্ত হবে চুল কালো হবে, এবং চুল, নরম ঘন ও লম্বা হবে। তাছাড়া হেভিসকাস ফুলের সাথে সিকাকাই এবং আমলকির পে স্ট মাথার চুলে লাগিয়ে নিন এবং কিছুক্ষণ পরে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।এতে করে আপনার চুল আর সাদা থাকবে না।এ এতে করেটা পরিক্ষিত।

চোখের ছানিতে আমলকির উপকারিতা

চোখের ছানি আমলকি ব্যবহারে অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপনাদের মাঝে যদি কারো চোখে ছানি পড়া সমস্যা থাকে, তাহলে ছানি পড়া সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য আপনি রসরঞ্জন, মধু ও ঘি একসাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আপনি যদি চোখে লাগাতে পারেন তাহলে আপনার চোখের হলুদ ও ছানি পরা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। 

আপনার চোখ যদি ব্যথা করে, তাহলে আমলকির রস এক থেকে দুই ফোঁটা চোখে লাগালে চোখের ব্যথা থেকে উপশম পাওয়া যায়। আমলকির বীজের পেস্ট চোখে লাগালে চোখের সমস্যা দূর হয়। সামান্য লেবু রসের সাথে অ্যাপম,গুজবেরি, ডেইজি ফুল,নিলা থোথা ও খাপঅরিয়া একসাতে পেস্ট করে নিন।এবং আপনার চোখে কাজলের মত লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে আপনার চোখের সমস্যা অনেক টায় কমে গেছে। 

তাছাড়া বার্লির সাথে ৭ গ্রাম গুজবেরির গুঁড়ো করে ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।২-৩ ঘন্টা পর আমলকির রস পানির সাথে মিশিয়ে নিন। দুই তিন বার এভাবে ছেঁকে নিয়ে পানিটি চোখে লাগালে আপনার চোখের ফোলা ভাব দূর হবে। তাছাড়া গুজবেরির পাতা ও ফলের মিশ্রণ চোখে লাগালে আপনার চোখ ওঠার সমস্যা দূর হবে।

নাকের রক্ত পড়া রোগ দূর হয়

আপনাদের পরিবারের যদি কারো না থেকে কোন কারনে রক্তপাত হয়। তখন এ রোগের চিকিৎসা হিসেবে জামুন এর সাথে আম ও আমলকি ভাল করে পিষে পেস্ট করে নিন। এ পেস্ট যদি আপনি কপালে এবং নাকের সাইডে লাগিয়ে দিতে তাহলে আপনার নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে আপনি অনেক উপকার পাবেন।

আমরা কি শরীরের রক্ত বিশুদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত আমলকি খাবারের ফলে আপনার শরীরের রক্ত পরিষ্কার থাকবে এবং শরীরের বিষাক্ত রক্তগুলোকে বের করে দিতে সাহায্য করে।

গলা ব্যথা দূর করে

আবহাওয়ার পরিবর্তনের স্বাদ অনেকেরই গলা ব্যথা হতে দেখা যায়। এমন সময় আমলকি আপনার খুবই উপকারে আসবে। এজন্য আপনি সমপরিমাণ পার্সলে, হলুদ, আমলকি ও যবক্ষয় মিশিয়ে নিন। এর সাথে এক চামচ মধু ও এক চামচ ঘি মিশিয়ে খেয়ে নিন। এতে আপনার গলা ব্যথা সহজেই ভালো হয়ে যাবে। এছাড়াও তেঁতুলের রসের সাথে আমলকির রস মিশিয়ে সেবন করলে গলা ব্যথা ভালো হয়।

বদহজম জনিত সমস্যা দূর করে

বদহজম জনিত সমস্যা দূর করতে আমলকি বিশেষভাবে কার্যকরী। আমাদের মাঝে অনেকের আছে যে, সময় অসময়ে খাওয়ার কারণে বদহজম জনিত সমস্যা হয়।পরে ক্ষুধা মন্দা, বমি বমি ভাব ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়। এসব সমস্যা দূর করতে পরিমাণ মতো কালো মরিচ, পরিমাণ মতো শুকনা আদা, ভাজা জিরা এবং হিং যোগ করুন। 

এরপর এগুলো ছায়াযুক্ত স্থানে শুকিয়ে নিন। এই রেসিপি আপনার বদহজম জনিত সমস্যা থেকে শুরু করে কুষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা থেকে মুক্তির এক অনন্য উপায়। খাবারের পরিবর্তন হওয়ার কারণে অনেক সময় ডায়রিয়ার মত রোগ দেখা যায়। আপনি যদি মেথিবীজের সাথে গুজবেরি পাতা মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে ডায়রিয়া রোগ ভালো হয়। ১০-২০, গ্রাম আমলকির পাতা পিষে খেলে পারে ডায়রিয়াজনিত সমস্যা ভালো হয়ে যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্যে আমলকির উপকারিতা

বর্তমানে লাইফস্টাইলজনিত খাদ্য অভ্যাস এ প্রায় সবাই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগে। আপনি যদি কুষ্ঠ কাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে ৩-৬ ত্রিফলা কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে নিন। এভাবে যদি আপনি কয়েকদিন খেতে পারেন তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য আর থাকবে না। অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে মলদার দিয়ে দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করে। 


এ অবস্থায় শরীরের অবস্থা জটিল হয়ে পড়ে। আপনি যদি ১০-১৫ মিলি আমলকির রসের সাথে ১০ গ্রাম ম ধু পাঁচ গ্রাম ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাছাড়া যদি আপনার আমাশয় জনিত রোগ হয়ে থাকে তাহলে ১০ থেকে ১৫ মিলি আমলকির রস ১০ গ্রাম মধু, ৫ গ্রাম ঘি এবং ১০০ গ্রাম ছাগলের দুধের সাথে মিশে পান করুন তাহলে আপনার পুরাতন আমাশয় ভালো হয়ে যাবে।

অর্শ বা পাইলস রোগ থেকে মুক্তি পেতে আমলকি

বর্তমানে লাইফস্টাইল জনিত খাদ্য অভ্যাসের কারনে এবং অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার ফলে পাইলস বা অর্শ রোগ দেখা যায়। অর্শ বা পাইলস রোগ থেকে মুক্তি পেতে আমলকি বিশেষভাবে কার্যকরী। আপনার যদি অর্শ জনিত কোন সমস্যা থাকে তাহলে গুজবেরি ভালো করে পিসে একটি মাটির পাত্রে লাগিয়ে নিন। 
অর্শ-বা-পাইলস-রোগ-থেকে-মুক্তি-পেতে-আমলকি

অতঃপর মাটির পাত্রে বাটার মিল্ক পান করতে হবে। এটি পাইলসের ক্ষেত্রে অনেক উপকারী। আপনার যদি অশ্ব রোগে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় তাহলে আমলকি গুড়া ৩-৮ গ্রাম টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেয়ে নিন। এটি নিয়মিত দৈনিক দুইবার খেলে আপনার রক্ত ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যাবে।

গ্যাস্ট্রিক জনিত কারণে আমলকির উপকারিতা

আজকাল সবারই গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা দেখা যায় শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সে পর্যন্ত সবারই এ সমস্যা হতে পারে। গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা এখন মানুষের কাছে সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে ১০ গ্রাম আমলকি বীজ সারা রাত্রি ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ২৫০ মিলি গরুর দুধের সাথে আমলকি ভেজা পানি মিশিয়ে নিন। এরপর দুধের সাথে মেশানো আমলকির পানিটুকু খেয়ে নিন। ফলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের মত সমস্যা আর থাকবে না।

ডায়াবেটিসে আমলকির উপকারিতা

আজকাল প্রায়শ ঘরে ডায়াবেটিসের রোগী দেখতে পাওয়া যায়। বর্তমানে বহু লোক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আপনি কি জানেন আমরা কিভাবে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দিতে পারি? যদি না জানেন তাহলে আজ জেনে নিন। ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সমপরিমাণ আমলকি, হরতকি, বহেরা,নাগরমোথা,দারুহলদি নিয়ে গুড়া তৈরি করুন। ডায়াবেটিস রোগীকে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা দুইবার ১০-১২ মিলি পরিমাণে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।

চর্ম রোগের জন্য আমলকি

চর্ম রোগের জন্য আমলকি অনেক উপকারে আসে। একথা অনেকেই জানেনা। আপনার পরিবারে যদি কারো চর্মরোগ হয়ে থাকে তাহলে ঘি এর সাথে নিমপাতা এবং আমলকির রস খাওয়াতে পারেন। তাহলে অনেক উপকারে আসবে। এছাড়া ফোড়া, আঘাত জনিত সমস্যা, পিত্তের সমস্যা এমনকি চুলকানিতে আমলকি ব্যবহার করতে পারেন।

জন্ডিসে আমলকির উপকারিতা

জন্ডিস একটি মারাত্মক রোগ। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা না করলে এটি গুরুতর হতে পারে। আপনি যদি আমলকির চাটনির সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে জন্ডিজ রোগের  উপকার মিলবে। ১২৫-২৫০ গ্রাম শিকাকাই এর সাথে ১-২ চামচ আমলকির গুড়া মিশিয়ে খেলে জন্ডিস ও রক্তশূন্যতার উপকার পাওয়া যায়।

তাছাড়া কুষ্ঠ রোগীকে যদি আমলকি ও নিম পাতা গুড়া করে নিন। প্রতিদি.২-৬ গ্রাম মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি কুষ্ঠ রোগের জন্য তাৎক্ষণিক উপকার পাওয়া যায়।

গনোরিয়ায় আমলকির উপকারিতা

গনোরিয়া রোগীর জন্য আমলকি বেশ উপকারী। গনোরিয়া একটি যৌনবাহিত রোগ। এই রোগে লিঙ্গের ভিতর ক্ষত হয় এবং সেখান থেকে পুজ বের হয়। আপনি যদি গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে এক গ্লাস পানিতে সমপরিমাণ আমলকির গুঁড়া মেশে নিন এ পানিটি চট করে খেয়ে ফেলুন এবং এই পানি দিয়ে পুরুষাঙ্গ ধুয়ে ফেলুন। ফলে পুরুসাঙ্গের ফোলা ভাব দূর হয় এবং পুজ আসা বন্ধ হয়ে যায়,ফলে ধীরে ধীরে ক্ষত সেরে যায়। এভাবে গনোরিয়া রোগ ভালো হয়।

জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে অন্যটির ব্যবহার

অনেকের হাড়ের ক্ষয়জনিত কারণে ব্যথা অনুভব করে। নিয়মিত আমলকি ব্যবহারের ফলে হাড়ের ক্ষয় রোধ করে এবং জয়েন্টের ব্যথা দূরবীভূত হয়। আজকাল অনেকেই জয়েন্টের ব্যথা ভোগ করেন। বিশেষ করে প্রবীণরা এ রোগে বেশি ভোগেন। আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ে জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে চান তাহলে ২০ গ্রাম শুকনো আমলকি এবং ২০ গ্রাম আমলকির গোড়ানি। এই উপকরণগুলো দিয়ে ৫০০ মিলিলিটার পানি সিদ্ধ করুন এবং এই পানি সকাল সন্ধ্যা পান করুন। এতে করে আপনি আপনার জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। এ সময় ভুলেও কখনো লবণ খাবেন না।

আমলকি বার্ধক্যের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে উপকারী

আমলকি বার্ধক্যের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে একটি উপকারী ফল। নিয়মিত আমলকি খাবারের ফলে আপনার বার্ধক্যের প্রভাব থাকবে না।। আমলকির মাঝে আছে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা। আমলকি ব্যবহারে আপনার শরীরে থাকা অবক্ষয় রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা আপনার বার্ধক্যের লক্ষণগুলোকে হ্রাস করে।


হাড়কে মজবুত করার জন্য আমলকি বিশেষ কার্যকরী। আমলকি এমন একটি রাসায়নিক ফল, যা নিয়মিত খাবারের ফলে আপনার শরীরের সমস্ত ধাতুকে পুষ্ট করবে। তাই এটি হাড়ের ধাতুগুলোকে পুষ্ট করে হাড়কে শক্ত ও মজবুত করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে আমলকির ব্যবহার

আমলকি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে বিশেষ কার্যকরী। আপনার পরিবারে যদি কেহ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হন। তাকে অবশ্যই নিয়মিত আমলকির জুস খাওয়াতে পারেন। আমলকির মাঝে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই আমলকি ব্যবহারের ফলে ক্যান্সারের ভয়ানক জীবাণু থেকে মুক্তি দেয়।

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে আমলকি

আমলকিতে এমন এক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। নিয়মিত আমলকি খাবারের ফলে আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত আমলকি খাওয়া দরকার। যত প্রকারের ফল আছে তার মধ্যে আমলকি সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। আমরা খেতে শুধু পুষ্টিগুণ রয়েছে তা নয়, এটি ভরপুর একটি ফল। তাই আসুন নিজে আমলকি ব্যবহার করি এবং অন্যকে ব্যবহার করতে উৎসাহিত করি।

দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য আমলকি

আমলকি দাঁত কে সুস্থ রাখে। আমলকির পাতা ও ফল উভয়েই মুখের রোগের জন্য বেশ উপকারী। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে আমরা আমলকি এবং আমলকির পাতা ব্যবহার করতে পারি। আমলকি এবং আমলকির পাতা উভয়েই দাঁত কে মজবুত করতে সাহায্য করে। দাঁতের মাটি সংক্রান্ত রোগ যেমন পাইরিয়া থেকে রক্ষা করে আমলকি। তাই আমাদের দাঁত সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত আমলকি খাওয়া দরকার।

হার্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে

আমরা কি আমাদের হার্ড রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত আমলকি খাওয়ার ফলে হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। কারণ আমলকি খাবারের ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে থাকে। আমলকিতে আছে ভিটামিন সি যা আমাদের রক্তনালী শুরু হয়ে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করে। তাছাড়া আমলকি রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

আমলকির অপকারিতা

আমলকি ব্যবহারে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। এর অপরিমিত খাওয়া উচিত নয়। যেকোনো জিনিসই অতিরিক্ত সেবন করা ঠিক নয়। অতিরিক্ত সেবনের ফলে ক্ষতির আশায় বেশি থাকে। তাছাড়া আমলকি অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। যদি আমরা নিয়ম বুঝে খেতে পারি তবে আমাদের শরীরের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। 
আমলকির-অপকারিতা

আমলকি শুধু পুষ্টিগুণেই ভরপুর নয় বরং এটি ঔষধি গুন সমৃদ্ধ একটি ফল। নিয়ম মেনে আমলকি খেলে আমরা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। আমলকির চেয়ে বেশি পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল আর দ্বিতীয় নেই। নিয়মিত আমলকি খাবারের ফলে শরীরে প্রতিষেধক ক্ষমতা বাড়ায়।

আমলকির আশ্চর্যজনক পুষ্টিগুণ

  • আমরা কি সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগণ সমৃদ্ধ একটি ফল। এ ফল ব্যবহারে অনেক উপকার হয়। আমলকির বিভিন্ন পুষ্টিগুণ নিচে আলোচনা করা হলো। 
  • নিয়মিত আমলকি ব্যবহারের ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
  • আমলকি খাবারের ফলে হজমে সমস্যা দূর করে।
  • নিয়মিত আমলকি খাবারের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকেনা।
  • আমলকি আমাদের হাটকে সুস্থ রাখে।
  • নিয়মিত আমলকি খাবারের ফলে রক্ত পরিষ্কার করে এবং শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • আমলকি খাবারের ফলে ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • আমলকি ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • দাঁতের পোলার রোগ দূর করতে সাহায্য করে এবং দাঁতকে মজবুত রাখতে সাহায্য করে আমলকি।
  • আমলকি বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
  • নিয়মিত আমলকি ব্যবহারের ফলে ত্বক ও চুল ভালো থাকে।
  • আমলকি চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • আমাদের নার্ভ কে সুস্থ রাখে আমলকি।
  • আমলকি আমলকি খাবারের ফলে রক্তনালীকে সরু হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং শরীরের বিষাক্ত রক্তকে বের করে দিতে সাহায্য করে।
  • আমলকি কোষ্ঠ কাঠিন্য রোগ দূর করে এবং অশ্ব থেকে মুক্তি দেয়। নিয়মিত আমলকি ব্যবহারের ফলে হাড় মজবুত হয়, জয়েন্টের ব্যথা দূরীভূত হয় এবং হাড় ক্ষয় হওয়া রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
  • আমলকি কুষ্ঠ রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে।
  • নিয়মিত আমলকি খাবারের ফলে গনোরিয়া রোগ ভালো হয়।
  • ঠান্ডা, জ্বর ও হাছি নিরাময় করতে আমলকি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  • নাকের রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে।
  • ত্বক ও ত্বক চুলের যত্নে আমলকির  ঝুড়ি নেই।
  • আমলকি চুল পাকা রোধ করে।

আমলকির উপকারিতা নিয়ে লেখকের মন্তব্য

আমলকির উপকারিতা আলোচনা করতে গিয়ে আমলকি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি আমার লেখা আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে আমলকি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বুঝতে পারবেন। আমার লেখা আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন, তাহলে আমার ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।

আমি যদি আপনাদের মনে কোন ব্যথা দিয়ে থাকি এবং আমার লেখায় যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তবে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি আপনাদের সর্বদাই মঙ্গল কামনা করি। এতক্ষণে সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url