আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা - কিভাবে আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়া যায়

 আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। যারা আমেরিকা যেতে ইচ্ছুক এবং দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায় বসবাস করতে ইচ্ছা করেন। তাদের প্রত্যেকের ইচ্ছা হল গ্রীন কার্ড পাওয়া। গ্রীন কার্ড পেলে আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করা যায়। 

আমেরিকার-গ্রিন-কার্ড-পাওয়ার-যোগ্যতা

কিন্তু গ্রীন কার্ড পেতে গেলে আপনার যোগ্যতা থাকতে হবে। যোগ্যতা ছাড়া আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়া সম্ভব নয়। আজ আমি আপনাদের আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। আমেরিকারগ্রীন কার্ড সম্পর্কে জানতে হলে আমার আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কিভাবে আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়া যায়

আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা কি

আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা কি এ সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে গ্রীন কার্ড কি? আপনিআমেরিকা যাওয়ার কথা ভাবছেন। অথচ গ্রীন কার্ড কি এ সম্পর্কে জানেন না। তাহলে চলবে না। প্রথমেই আপনাকে আমেরিকার গ্রীন কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। গ্রীন কার্ড হল আমেরিকা স্থায়ীভাবে বসবাস করার একটি কার্ড। 

 আরো পড়ুনঃ কানাডায় গিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ কি

এই কার্ডটি দেখতে সবুজ। গ্রীন কার্ড হচ্ছে আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য বৈধ নাগরিক সনদপত্র। আপনার এই ড্রিম গ্রিন কার্ড আপনাকে আমেরিকার স্থায়ীভাবে বসবাস করার প্রমাণ বহন করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়-আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হন তাহলে আপনার অবশ্যই একটি জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র আছে। 

কিম্বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড আছে। এই জন্ম নিবন্ধন পত্র এবং ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র আপনি বাংলাদেশী হওয়ার প্রমাণ দেয়। ন্যাশনাল আইডি কার্ডের মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন এবং যেকোনো জায়গায় স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন। 

আপনি যে বাংলাদেশের স্থায়ী টা বানাগরিক সেটি সনাক্ত করা হয় ন্যাশনাল আইডি কার্ডের মাধ্যমে। ঠিক তেমনি আপনি যদি আমেরিকার স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান এবং আমেরিকার নাগরিক হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই গ্রীন কার্ড পেতে হবে। আপনি যদি আমেরিকার গ্রীন কার্ড না পান এবং আপনার কাছে যদি গ্রীন কার্ড না থাকে তাহলে আপনি আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন না। 

আমেরিকায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে হলে অবশ্য অবশ্যই আপনা্র কাছে গ্রীন কার্ড থাকতে হবে। তাছাড়া আপনি স্থায়ীভাবে থাকতে পারবেন না।

স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড

স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা রাখা অনেক সহজ। কেননা বেশিরভাগ স্টুডেন্ট পড়াশোনার উদ্দেশ্যে আমেরিকায় যায়। এবং পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চায়। এজন্য তারা আমেরিকার সরকারের কাছে গ্রীন কার্ডের জন্য আবেদন করেন। 

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সহজ উপায়

তখন আমেরিকান সরকার গ্রীন কার্ডের জন্য আবেদন মঞ্জুর করেন এবং তাদের গ্রীন কার্ড দিয়ে দেন। স্টুডেন্টের জন্য গ্রীন গার্ড পাওয়া খুব একটা জটিল হয় না। আমেরিকার গ্রিন কার্ড পেতে হলে এক স্টুডেন্টকে ওই দেশে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করতে হবে। তবে সে গ্রীন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে। 

স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকায় যেতে হলে আপনাকে নূন্যতম এসএসসি পাস এর সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এইচএসসি ও অনার্স মাস্টার্স করেও আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকায় যাওয়ার আবেদন করতে পারেন। আপনি যদি পড়াশোনা শেষ করে ওই দেশে যবের অফার পান তাহলে আপনার গ্রীন কার্ড পাওয়া খুবই সহজ হবে। আমেরিকায় যাদের গ্রীন কার্ড আছে তাদেরকে আমেরিকার সরকার অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন।

পারিবারিক অভিবাসনের মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড

পারিবারিক অভিবাসনের মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়া সম্ভব। আমেরিকা সরকার বিভিন্নভাবে তার লোক নিয়ে থাকেন। ডিভি লটারির মাধ্যমে অনেকেই পরিবারসহ আমেরিকায় গেছেন। বাংলাদেশ ও এর ব্যতিক্রম নয়। অনেক বাংলাদেশই ডিভি লটারির মাধ্যমে আমেরিকায় গেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ডিভি লটারি বন্ধ হলেও অন্যান্য দেশ থেকে চালু আছে। 

পারিবারিক-অভিবাসনের-মাধ্যমে-আমেরিকার-গ্রীন-কার্ড-পাওয়া

প্রতিবছর অনেক প্রবাসী ডিভি লটারি্র মাধ্যমে আমেরিকার যাবার সুযোগ পান। ডিভি লটারি ছাড়াও বিভিন্নভাবে যাওয়ার সুযোগ আছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছে তারা তাদের পরিবারের স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আমেরিকা সরকারের কাছে গ্রীন কার্ডের আবেদন করে থাকেন। 

কোন ব্যক্তি যদি আমেরিকার গ্রিন কার্ড পেয়ে থাকে। তাহলে সেই ব্যাক্তি তার পরিবারকে আমেরিকায় আনার জন্য যে ভিসার আবেদন করেন, একেই বলে পারিবারিক অভিভাষণ। গ্রীন কার্ড ধারে ব্যক্তি অবশ্যই তার পরিবারকে আমেরিকায় নিয়ে যেতে পারবে। এই সুবাদে তাদের পরিবার আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাবে। অবশ্যই পরিবারকে পূর্ণ ৫ বছর আমেরিকায় থাকতে হবে, তাহলে তারা সহজেই গ্রীন কার্ড পেয়ে যাব 

ইবি অন ভিসার মাধ্যমে এই গ্রীন কার্ড

ইবি অন ভিসার মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। ইবি অন ভিসার আবেদন তারা করতে পারে যারা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজের অভিজ্ঞতা রাখে। যেমন গবেষক-যারা ভালো গবেষণা করতে পারে। অভিনেতা-যারা ভালো অভিনয় করতে জানে। লেখক- যারা ভালো লিখতে পারে। তারাই মূলত ইবি অন ভিসার মাধ্যমে গ্রীন কার্ড এর আবেদন করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ কানাডায় যেতে কি কি কাগজ লাগে

এছাড়াও আপনি যদি পিএইচডি ডিগ্রি ধারি হন, আর আপনি যদি কোন রিচার্জ এর জব অফার নিয়ে আমেরিকায় যান। তাহলে আপনি খুব সহজেই গ্রীন কার্ড পেয়ে যাবেন। একজন গবেষক, একজন লেখক কিম্বা একজন অভিনেতা যদি আমেরিকার গ্রীন কার্ড পেয়ে থাকেন। তাহলে তিনি তার পরিবারকে আমেরিকার স্থায়ীভাবে বাসিন্দা করতে পারবেন। এবং তার পরিবার গ্রীন কার্ড পেয়ে যাবে। আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্যই এটি একটি অন্যতম যোগ্যতা।

স্পেশাল ইমিগ্রেশন এর মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড

স্পেশাল ইমিগ্রেশন এর মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়া যায়। স্পেশাল ইমিগ্রেশন তারায় পায় যারা সংবাদ কর্মী এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের রিটায়ার্ড পারসন হিসেবে বিদেশে কাজ করছে, তারাই মূলত আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। একজন গ্রীন কার্ড ধারী ব্যক্তিকে আমেরিকার সরকার অনেক সুবিধা দিয়ে থাকে। 

গ্রীন কার্ড পাওয়ার মাধ্যমে তারা আমেরিকাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করার এবং আমেরিকার যেকোনো জায়গায় স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবার সুযোগ পায়। একজন গ্রীন কার্ড ধারী ব্যক্তি আমেরিকার কোন এক জায়গায় যেকোনো ধরনের চাকরি বেছে নিতে পারেন। আমেরিকান সরকার গ্রীন কার্ড ধারে ব্যক্তিদের এ সকল সুবিধা সহ আরো সুবিধা দিয়ে থাকেন।

বিয়ের মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড

বিয়ের মাধ্যমেও আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়া যায়। অনেকেই তা জানেনা চলুন তাহলে সে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। কোন ব্যক্তি যদি আমেরিকার স্থায়ী নাগরিক হয় এবং সে যদি অন্য দেশের কোন মেয়েকে বিয়ে করতে চায় এবং বিয়ে করে। বিয়ে করার মাধ্যমে তার স্ত্রী আমেরিকার ভিসার জন্য অনুমতি পাবে এবং সাথে সাথে আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাবে। 

অনুরূপভাবে আমেরিকার কোন মেয়ে যদি অন্য কোন দেশের ছেলেকে বিয়ে করে, বিয়ে করার সুবাদে সে ছেলে আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। আমেরিকার ভিসা পাওয়ার সাথে সাথে সে গ্রীন কার্ডও পেয়ে যাবে। গ্রীন কার্ড পাওয়ার জন্য বিয়ে হল অন্যতম মাধ্যম। আবার এমনও হতে দেখা যায় যে কোন লোক শুধু আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার জন্যই বিয়ে করে, বিয়ে করে সংসার করার ইচ্ছা নাই। আর সরকার যদি একথা জানতে পারেন, তাহলে সেই ক্ষেত্রে তাদের ভিসা বাতিল করার ক্ষমতা রাখে আমেরিকা সরকার।

চাকরির মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড

চাকুরীর মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার অন্যতম। চাকরির মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়া সম্ভব। প্রতিবছর অনেক লোক শুধু চাকরির উদ্দেশ্য আমেরিকায় যে থাকে। আমেরিকার সরকার প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য লোক নিয়ে থাকেন। কাজের অফার পেয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক লোক আমেরিকায় যায়। 

আরো পড়ুনঃ ভারতে যেতে কত টাকা লাগে

ব্যক্তি যে কাজের জন্য আবেদন করছে, তাকে সেই কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যদি কাজের কোন অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে সে আমেরিকার ভিসা পাওয়ার জন্য পারফেক্ট বলে গণ্য হবে না। যদি সে কাজে পারফেক্ট হয় তাহলে সে আমেরিকার জবের জন্য লেটার পাবে। যে কোম্পানি এ কাজের জন্য অফার দিয়েছিল, সেই কোম্পানি তাকে গ্রীন কার্ড করে দিবেন। 

শুধু যে দক্ষ ব্যক্তিদেরই জবের অফার দিয়ে থাকে এমনটা নয় অদক্ষ লোকদেরও ওই দেশে জবের অফার দেওয়া হয়। অবশ্য সে কোম্পানিতে অদক্ষ লোক হিসেবে চাকরির অফার দিবে। অবশ্য কোম্পানি যদি অদক্ষ লোক জানার পরেও জবের অফার দিয়ে থাকেন তাহলে ওই কোম্পানি তাকে গ্রীন কার্ডের ব্যবস্থা করে দিবেন এবং সে গ্রীন কার্ড পেয়ে যাবে।

আমেরিকার গ্রীন কার্ডের বিশেষ কিছু সুবিধা

আমেরিকা গ্রীন কার্ড ধারী ব্যক্তিগণ বিশেষ কিছু সুবিধা পেয়ে থাকেন। যারা আমেরিকার গ্রীন কার্ড পেয়েছেন, তারা আমেরিকার স্থায়ী নাগরিক। গ্রীন কার্ডধারী ব্যক্তিকে আমেরিকান সরকার বিশেষ কিছু সুবিধা দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশী নাগরিক যেমন বাংলাদেশ সরকার থেকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন।

আমেরিকার-গ্রিন-কার্ডের-বিশেষ-কিছু-সুবিধা

অনুরূপ আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করলে আমেরিকান সরকার সে নাগরিকের জন্য বিশেষ বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করে দেন। এই সুবিধা পেয়ে তারা আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে এবং স্বাধীনভাবে চলাফেরা করে। গ্রিন কার্ডধারী ব্যক্তির আমেরিকায় চলাফেরা করতে কোন অসুবিধা হয় না। আমেরিকার গ্রিন কার্ডের বিশেষ সুবিধা গুলো আপনাদের সুবিধার্থে নিচে আলোচনা করা হলো-

আমেরিকার গ্রিন কার্ডধারী ব্যক্তি নিঃসন্দেহে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবেন।

  • গ্রীন কার্ডধারী ব্যক্তির আমেরিকার ব্যাংক একাউন্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  • কোন গ্রীন কার্ডধারী ব্যক্তি যদি আমেরিকায় থাকা অবস্থায় কোন ঋণের প্রয়োজন হয় তাহলে আমেরিকার সরকার ওই ব্যক্তিকে ঋণের সুবিধা দিয়ে থাকেন।
  • কোন ব্যক্তি যদি আমেরিকায় পাঁচ বছর থাকার পর ওই দেশের নাগরিকত্ব চায়, তাহলে আমেরিকান সরকার তাকে সে দেশের নাগরিক করে নেন। এবং তাকে গ্রীন কার্ড দিয়ে থাকেন।
  • গ্রিন কার্ড ধারী ব্যক্তিকে আমেরিকার সরকার সব ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকেন। যেমন মেডিকেল চার্জ, পেনশন ব্যবস্থা, বাড়ি ভাড়া, বোনাস সহ আরো অন্যান্য।
  • গ্রিন কার্ড ধারী ব্যক্তিদের জন্য আমেরিকান সরকার ট্রাভেলের সুবিধা দিয়ে থাকেন। তারা যদি অন্য কোন দেশে ট্রাভেল করতে চান, তাহলে নতুন করে কোন ভিসা করার প্রয়োজন হবে না।
  • গ্রীন কার্ডধারী ব্যক্তি তাদের পরিবারের জন্য ২১ বছরের কম বয়সের সন্তানদের আমেরিকায় নিয়ে আসতে পারবে।
  • গ্রীন কার্ডধারী ব্যক্তিরা আমেরিকায় যেকোনো প্রতিষ্ঠানের চাকরি করতে পারবে।
  • গ্রীন কার্ডধারী ব্যক্তিরা আমেরিকার যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার কিছুনা করার সুবিধা পাবে। পড়াশুনা করার ক্ষেত্রে যে সকল সুবিধা প্রয়োজন হয় সকল কবিতায় আমেরিকা সরকার দিয়ে থাকেন।

আপনি যদি আমেরিকা বৈধ গ্রীন কার্ড ধারী ব্যক্তি হন তাহলে আপনি উপরে উল্লেখিত সুযোগ সুবিধাগুলো পেয়ে যাবেন। আর যদি আপনার কোন গ্রীন কার্ড না থাকে তাহলে আপনি এ সকল সুবিধা পাবেন না। একজন গ্রীন কার্ডধারী ব্যক্তি উল্লেখিত সুবিধাগুলো যোগ্যতা রাখে।

সচার আচার জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন উত্তর পর্ব

আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ ব্যাপারে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন জাগে। তারা তাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে চায়। আজ আমি আপনাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর সঠিক দেওয়ার চেষ্টা করব। প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর জানার জন্য আমার সঙ্গে থাকুন।

প্রশ্নঃ আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে কত বছর সময় লাগে?
উত্তরঃ আমেরিকায় নাগরিকত্ব পেতে হলে ন্যূনতম পাঁচ বছর স্থায়ীভাবে থাকতে হবে। তাহলে সে গ্রীন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে। গ্রিন কার্ড হাতে পেতে ১০ বছর সময় লাগতে পারে।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশীরা কিভাবে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে?
উত্তরঃ একজন বাংলাদেশী নাগরিক যদি আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে ইচ্ছা করেন তাহলে তাকে অবশ্যই অভিবাসন ভিসার জন্য আবেদ ন করতে হবে। অভিবাসন ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিক আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে।

প্রশ্নঃ একজন নাগরিক কি দুই দেশের নাগরিকত্ব পাবে?
উত্তরঃ একজন বাংলাদেশী নাগরিক যদি আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আর ওই ব্যক্তির যদি কোন সন্তান আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করে থাকে। তাহলে ওই সন্তান দুই দেশের নাগরিকত্ব পাবে। একটি বাবার জন্মসূত্রে সে বাংলাদেশের নাগরিক। দুই আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করার কারণে সে আমেরিকার নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা রাখে।

প্রশ্নঃ আমেরিকার কোন কাজের চাহিদা বেশি?
উত্তরঃ আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি ও সফটওয়্যার, প্রকৌশলী, স্বাস্থ্যসেবা, একাউন্টিং, নার্সিং, ব্যবস্থাপনা, ক্রয়-বিক্রয় সহ আরো অন্যান্য কিছু চাহিদা বেশি।

আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে লেখকের শেষ কথা

একজন নাগরিকের আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা থাকতে হয়। গ্রীন কার্ড পাওয়ার জন্য যে সকল যোগ্যতা প্রয়োজন এবং গ্রীন কার্ড ধারী ব্যক্তি আমেরিকার সরকার কর্তৃক কি কি সুবিধা পেয়ে থাকেন তা আমি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি আমার এই আর্টিকেল পড়ে আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আমার লেখা আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে এ ধরনের নিত্যনতুন আরটিক পেতে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আমি আমার লিখনের মাধ্যমে এর প্রয়োজনে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করি। এতক্ষণে সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url