চোখ ওঠার লক্ষন- ঘরোয়া চিকিৎসায় যেভাবে মুক্তি মেলে
চোখ উঠার লক্ষণ-সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। বছরে কোন না কোন সময় আমাদের চোখ উঠে থাকে। বিশেষ করে শীতকালের শেষে বসন্ত কালে এ রোগের প্রকোপ দেখা যায়। চোখ উঠা একটি ভাইরাসজনিত ও ছোয়াচে রোগ। চোখ উঠা রোগ কেন হয়? কিভাবে এটি ছাড়াই? চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ কি?
ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে চোখ উঠানো প্রতিরোধ করা যায়, সে সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি যদি চোখ উঠার লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসায় এর প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে ধৈর্য সহকারে আমার আর্টিকেলটি পড়ুন। চলুন তাহলে জানাজাক চোখ উঠার লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করি।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ঘরোয়া উপায়ে চোখ ওঠা রোগের চিকিৎসা
- চোখ ওঠার লক্ষণ
- কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
- চোখ উঠার চিকিৎসা।
- চিকিৎসা প্রতিরোধ ও সতর্কতা
- চোখ উঠলে কি খাওয়া যাবে না
- শীতকালীন সময়ে চোখ উঠার ১০টি প্রধান কারণ
- চোখ উঠলে যে খাদ্যগুলো খাওয়া উচিত নয়
- শিশুদের চোখ উঠলে করণীয় কি
- চোখ উঠলে সকলের কি করা উচিত
- চোখ উঠার লক্ষণ সম্পর্কে লেখকের মতামত
চোখ ওঠার লক্ষণ
চোখ ওঠার লক্ষণসমূহ জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চোখ উঠা একটি পরিচিত ভাইরা জনিত রোগ। ইংরেজিতে ইংরেজিতে কনজাংটিভিটিস বলা হয়। প্রচলিত অর্থে চোখ উঠা বলে। এটি মারাত্মক ছোয়াচে। বর্তমানে এ রোগ মহামারী পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। চোখ উঠা আমাদের শুধু ক্ষতি করে না, বরং চোখ উঠাতে আমাদের অনেক উপকারও আছে। চোখ ওঠার লক্ষণসমূহ নিম্নরূপ
- চোখের সাদা অংশ টকটকে লাল দেখাবে।
- প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হলে তারপর অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়বে।
- চোখ চুলকাবে এবং চোখ জ্বালাপোড়া করবে।
- আলো সহ্য করা যাবে না।
- চোখের পাতা ফুলে উঠবে।
- চোখ ব্যথা করবে।
- চোখে ঝাপসা দেখবে।
- চোখের পাতায় কেতন জমবে।
- ঘুম থেকে ওঠার পর দুচোখ বন্ধ থাকবে।
- চোখ দিয়ে পানি পড়বে।
- চোখ খচখচ করবে।
- চোখ উঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
চোখ উঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা করে এ রোগ নিরাময় করা যায়। এই রোগ বেশি দিন
স্থায়ী নয়। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ১৫
দিন ও লাগতে পারে। চোখ উঠলে আপনার ভয়ের কোন কারণ নেই। ডাক্তারি চিকিৎসা ছাড়াও
ঘরোয়া উপায়ে চোখ ওঠা রোগের মুক্তি মিলে। চোখ উঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
করবেন যেভাবে-
আরো পড়ুনঃ দাতেয়া রুট ক্যানেলের কত টাকা খরচ হয়
- একটি পরিষ্কার সাদা নরম সুতি কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে চেপে নিন।
- ভেজা কাপড় দিয়ে চোখের পাতা আলতো ভাবে পরিষ্কার করুন।
- দিনে কয়েকবার এভাবে চোখের পাতা পরিষ্কার করুন।
- দুটি চোখের জন্য আলাদা আলাদা কাপড় ব্যবহার করুন।
গরম শেক দেওয়ার পাশাপাশি ঠান্ডা বা বরফের পাড়িতে কাপড় ভিজে ঠান্ডা শেক ও
দেওয়া যেতে পারে। চোখের উপর প্রভাব পড়ে এমন কোন কাজ আপনি করতে পারবেন না।
উদাহরণস্বরূপ আপনি ল্যাপটপে কোন কাজ করতে পারবেন না। বইয়ের কোন ছোট অক্ষরে
লেখা পড়তে পারবেন না।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
আপনার চোখ ওঠার রোগ যদি ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ভালো না হয়। তখন আপনাকে
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- আপনার চোখে যদি বারবার ময়লা জমে তাহলে আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কোন বাচ্চার যদি ২৮ দিনের কম হয়। এই বাচ্চা যদি চোখ উঠার আগে আক্রান্ত হয় তবে ঘরোয়া চিকিৎসার পরিবর্তে ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে।
- আপনার চোখ চুলকানোর সাথে সাথে যদি ফুলে ওঠে বা চোখে ভিষন ব্যাথা হয়, এবং চোখ ব্যথার সাথে মাথা ব্যথা করে ও অসুস্থ লাগে তখন ঘরোয়া চিকিৎসার পরিবর্তে ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে।
- আপনি যদি আলোর দিকে তাকানোর ফলে চোখে ব্যথা হলে আপনি ঘরোয়া চিকিৎসার পরিবর্তে ডাক্তারি চিকিৎসা নিতে পারেন। আলোর দিকে তাকালে যে ব্যথা অনুভব হয় ফটো ফোভিয়া বলে।
- দৃষ্টিশক্তির যদি কোন পরিবর্তন দেখা যায় যেমন চোখে ঝাপসা অনুভব বিদ্যুৎ চমকানো ভাব এবং চোখ কাঁপা কাঁপা ভাব হয় তখন আপনি ঘরোয়া চিকিৎসার পরিবর্তে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
চোখ উঠার চিকিৎসা।
চোখ উঠা বা কনজাংটিভিটিসের কারণ এর উপর নির্ভর করে চোখ উঠার চিকিৎসা দেওয়া হয়। যদি আপনার ব্যাকটেরিয়ার কারণে চোখ ওঠে তাহলে আপনাকে প্রতি ৪-৬ ঘন্টা পর পর অ্যান্টিবায়োটিক আই ড্রপ দিতে হবে। যদি আপনার ভাইরাস কিংবা এলার্জির কারণে চোখ উঠে তাহলে আপনাকে এন্টিহিস্টামিন বা অ্যান্টি অ্যালার্জি ঔষধ সহ আই ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ আপনার পোষা প্রাণীটি রবিসে আক্রান্ত কিনা
আপনার যেসব বিষয়ে এলার্জি আছে তা এড়িয়ে চলা খুবই জরুরি। যেমন ধুলাবালি, ফুলের রেনু, বিশেষ কোন প্রসাধনী কিম্বা সুইমিংপুলের ক্লোরিনযুক্ত পানির প্রভাবে চোখ উঠলে সেগুলোর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা উচিত। অন্যথায় আপনার জটিল সমস্যা হতে পারে।
চিকিৎসা প্রতিরোধ ও সতর্কতা
আপনি যদি চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হন তাহলে আপনাকে দিনে কয়েকবার পরিষ্কার করতে
হবে। চোখ পরিষ্কার করার পর হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে বা স্যানিটাইজর
ব্যবহার করতে হবে।
- কোন অবস্থাতে চোখ ঘষাঘষি করা যাবে না।
- রোগীকে কালো চশমা পড়তে হবে.
- আক্রান্ত ব্যক্তি হাত দিয়ে চোখ চুলকাতে পারবেনা।
- চোখ মোছার জন্য আলাদা নরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে।
চোখ উঠা রোগীকে অবশ্যই আলাদা ভাবে থাকতে হবে, যাতে করে অন্যের কাছে এই রোগ ছড়িয়ে না পড়ে। অনেক সর্তকতার সাথে ড্রপ দিতে হবে। মাঝে অনেকেই আছেন যারা নিকটস্থ ওষুধের দোকান থেকে স্টেরয়েড জাতীয় ড্রপ নেন। এবং চোখে ব্যবহার করেন কিন্তু আপনি কি জানেন এই ড্রপ বেশি ব্যবহার করা ক্ষতিকর।
এ ড্রপ বেশি ব্যবহার করলে আপনার চোখের জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি
থাকে। নিজে নিজে ওষুধের দোকান থেকে কোন ড্রপ এনে চোখে দেওয়া ঠিক নয়। চিকিৎসকরা
রোগীর অবস্থা বুঝে স্টেরয়েড জাতীয় ড্রপ দেন। প্রয়োজনে অটলটিয়ার ও
এন্টিবায়োটিক রোগ ডোজ মেনে ব্যবহার করা যায়। সেই ক্ষেত্রে চক্ষু বিশেষজ্ঞের
পরামর্শের দেওয়া সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
চোখ উঠলে কি খাওয়া যাবে না
চোখ উঠলে কি খাওয়া যাবেনা এ ব্যাপারে তেমন কোন নির্দেশ দেওয়া নাই। তাছাড়া চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পুষ্টি পূর্ণ খাবার খাওয়া দরকার। সঠিক পোস্টটি না পেলে দৃষ্টিশক্তি কমতে পারে। ভিটামিন এ এর অভাবে চোখের সমস্যা হয়। চোখের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ভিটামিন এ জাতীয় খাবার কে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। চোখ উঠলে কি করণীয় তা নিচে আলোচনা করা হল।
আরো পড়ুনঃ বিড়াল কামড় দিলে কি টিকা দিতে হয়
- চোখ উঠলে আপনার হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে।
- বারবার চোখ ভেজা নরম পরিষ্কার সুতি কাপড় দিয়ে মুছতে হবে।
- চোখ ওঠার রোগীদের চশমা পরা উচিত।
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চোখে এন্টিবায়োটিক ড্রপ দেয়া যায়।
- একজনের ব্যবহারকৃত প্রসাধনী কাপড় তোয়ালে অন্যজন ব্যবহার করা উচিত নয়।
- চোখ উঠা রোগীদের ল্যাপটপ কম্পিউটার চাপা ঠিক না।
- তাছাড়া চোখের উপর প্রেশার দিয়ে এমন কোন কাজ যেমন বই পড়া যাবে না।
- চোখ যে আলো সহ্য করতে পারে না তাকে এড়িয়ে চলা উচিত।
- চোখ উঠার উপকারিতা
চোখ উঠার উপকারিতা আমরা অনেকেই জানিনা। চোখ উঠা আমাদের শুধু ক্ষতি করে না বরং
উপকার কর। যদিও চোখ উঠা ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ হলেও অনেক সময় চিকিৎসা ছাড়ায় সাত
থেকে দশ দিনের মধ্যেই সেরে যায়।
শীতকালীন সময়ে চোখ উঠার ১০টি প্রধান কারণ
শীতকালীন সময়ে চোখ উঠার কারণগুলো আমরা অনেকেই জানিনা। আপনি যদি এই কারণগুলো জানতে চান তাহলে আমার লেখা আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন। শীতকালে চোখ উঠার কারণ থাকতে পারে। হঠাৎ ঠান্ডা তাপমাত্রা অতিরিক্ত হওয়ার কারণে আমাদের শরীরে কিংবা আমাদের চোখে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যেমন অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ত্বক শুষ্ক হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে
যায়। ফলে আমাদের শরীরে এবং চোখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্যে চোখ
উঠা একটি জটিল সমস্যা। চলুন জেনে আসি চোখ ওঠার কারণগুলো কি
- শীতকালের বাতাস শুষ্ক বেশিঃ শীতকালে বাতাসের আদ্রতা বেশি হওয়ার কারণে চোখে।র যে পর্দা থাকে তা শুকিয়ে যায় এবং জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়। শীতকালে বাতাসে শুষ্কতায় চোখ উঠার মূল কারণ।
- ঠান্ডা আবহাওয়াঃ শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়া আমাদের চোখের উপর বিরূপ অবস্থার সৃষ্টি করে। যেহেতু শীতকালে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় সেহেতু খুব সহজেই জীবাণু আমাদের চোখে আক্রমণ করে।
- এলার্জিজনিত সমস্যাঃ আমাদের মাঝে অনেক লোক আছে যাদের শরীরে এলার্জি বিদ্যমান। এলার্জিজনিত সমস্যার কারণে চোখ চুলকায়, চোখ ব্যথা করে, চোখ লালচে হয় এবং অস্বস্তিবোধ করে
- ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজ জনিত ইনফেকশনঃ শীতকালে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাই শীতকালে চোখের সমস্যাটি বেশি পরিমাণে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- গরম পরিবেশে থাকাঃ শীতকালে গরম পরিবেশে থাকা সবাই পছন্দ করে। কিন্তু হঠাৎ করে অধিক গরম পরিবেশে থাকাটা আমাদের শরীরে সহনীয় হয়ে ওঠে না। শীতকালে অধিক গরমের প্রবণতা আমাদের চোখের সমস্যার কারণ হতে পারে। রুমে হিটারের তাপ কিংবা অন্য কোন উপায়ে তাপ দিয়ে রুম গরম করলে এটা আমাদের চোখের জন্য ক্ষতি করতে পারে।
- হঠাৎ উচ্চ তাপমাত্রার পরিবর্তনঃ আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা শীতকালে তাদের ঘরে হিটার চালিয়ে ঘর গরম করে। কিন্তু বাহিরের আবহাওয়ার সাথে ঘরের ব্যবহার কোন মিল থাকে না। হঠাৎ তাপমাত্রার এই পরিবর্তন আমাদের ক্ষতির আশঙ্কায় বেশি থাকে। ফলে আমাদের চোখে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
- চোখে ধুলা ময়লা পড়াঃ শীতকালে আমাদের চোখে প্রচুর ধুলাময়লা,পড়ে। ফলে চোখের নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়। যেমন চোখ চুলকায়, চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ খচখচ করে, চোখ দিয়ে পানি পড়ে, চোখ ব্যথা করে, এবং চোখের পাতা ফুলে যায় এমন কি চোখের কোনায় কেতুন জমতে থাকে। আবহাওয়া এবং ধোলাময়লা জনিত কারণে চোখ উঠা রোগটি বেশি দেখা যায়।
- ঘুম কম হওয়ার কারণঃ আমাদের মাঝে অনেকে আছেন তাদের চোখে ঘুম কম হয়। ঘুম কম হওয়ার কারণে আমাদের চোখে ক্লান্তি চলে আসে. যার কারণে চোখ খসখস করে হলে আমাদের চোখ ওঠার সমস্যাটি দেখা যায়।
- স্বাস্থ্যহীন খাদ্য অভ্যাসঃ শীতকালে কিছু মানুষ আছে যারা ও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যহীন খাদ্য গ্রহণ করে যার ফলেও আমাদের চোখের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে করে চোখ উঠার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
চোখ উঠলে যে খাদ্যগুলো খাওয়া উচিত নয়
চোখ উঠলে যে খাদ্যগুলো খাওয়া উচিত নয় আমরা অনেকেই সে সম্পর্কে জানিনা। এ
সম্পর্কে জানতে হলে আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। চোখ আমাদের দেহের একটি
গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শীতকালে চোখ উঠার সমস্যা বেশি হয়। আমরা যদি শীতকালে সঠিকভাবে
খাদ্য অভ্যাস গড়ে না তুলি, সে ক্ষেত্রে চোখের সমস্যা আরও জটিল হতে পারে। তাই
চলুন জেনে নেই চোখ উঠলে যেই খাদ্যগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে
আলোচনা করা হলো
আরো পড়ুনঃ দাতের রুট ক্যানেলের উপকারিতা কি
- মসলা ও ঝাল জাতীয় খাবারঃ যাদের শীতকালে চোখ উঠে তারা যেন মসলা ও ঝাল যত খাবার এড়িয়ে চলে। আপনি যদি মসলাবাজ ঝাল জাতীয় খাবার গুলো অতিরিক্ত খান তাহলে আমরা সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
- তেলও চর্বি জাতীয় খাবারঃ শীতকালে চোখ উঠার সমস্যা দেখা দিলে আপনাকে অবশ্যই তেল খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। তেলে ভাজা খাবার গুলো যেমন ফাস্টফুড, অতিরিক্ত মাংস এসব খাবারগুলো আপনার চোখে সমস্যা বাড়াতে পারে। এজন্য চর্বি জাতীয় খাবার গুলো এড়িয়ে চলা উচিৎ।
- অ্যালকোহলঃ প্রতিনিয়ত অ্যালকোহল পান করেন। তাদের যদি চোখ ওঠার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই অ্যালকোহলকে পরিহার করতে হবে। যদি অ্যালকোহল পরিহার না করে তাহলে চোখ ওঠার সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
- অতিরিক্ত মিষ্টি খাবারঃ আপনাদের মাঝে যদি কারো চোখ ওঠে, তারা যেন অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার গুলো পরিহার করে। কেননা অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খেলে চোখের ইনফেকশন বাড়িয়ে যেতে পারে।
- চা-কফি পানঃ আপনাদের যদি কারো চোখ ওঠার সমস্যা হয়, তাহলে সে যেন অতিরিক্ত চা এবং কফি পান থেকে বিরত থাকে। কেননা অতিরিক্ত চা এবং কফি পান চোখে সমস্যাকে বাড়ি দিতে পারে।
শিশুদের চোখ উঠলে করণীয় কি
শিশুদের চোখ উঠলে করণীয় কি অনেকেই তা জানে না। আপনি যদি জানতে চান শিশুদের চোখ উঠলে কি করতে হবে তাহলে আমার লেখা আর্টিকেল টি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। শিশুদের যদি চোখ উঠে তাহলে অবশ্যই তাকে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শিশুদের চোখ উঠা অনেক জটিল হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ বিড়াল কামড় দিলে কি রোগ হয়
শিশুদের চোখ উঠলে তাদের চোখ সব সময় ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। যাতে করে কোন
প্রকার ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে না পারে। শিশুদের চোখ উঠার ব্যাপারে ঘরোয়া কোন
চিকিৎসা না নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোপ ব্যবহার করায় সর্বোতম। চোখ উঠা
শিশুদের বাহিরের না নিয়ে যাওয়ায় উত্তম। যদি শিশুদের বাইরে নিয়ে যেতে হয়
তাহলে সানগ্লাস পড়ে নিয়ে যাওয়া উচিত।
চোখ উঠলে সকলের কি করা উচিত
চোখ উঠলে কি করা উচিত অনেকে এটা জানেনা। চোখ উঠলে সকলের করনীয় কি এ সম্পর্কে জানতে হলে আমার আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। শীতকালে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগ প্রতিষেধক ক্ষমতা কমে যায়। আবহাওয়া সুস্থ থাকার কারণে চোখের ত্বক শুষ্ক হয়। ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
জীবাণুর আক্রমণে চোখে পানি পড়তে শুরু করে, চোখ খচখচ করে, চোখ চুলকায় এবং চোখ
ব্যথা করে। এইসব সমস্যা জনিত কারণে চোখ উঠার সমস্যা হতে পারে। আবহাওয়ার
পরিবর্তনের সাথে চোখ ওঠার ঝুঁকিও বহুগুনে বেড়ে চলে।। চোখ উঠলে সকলের করণীয় কি
নিচে তা আলোচনা করা হলো।
- গোসলের সময় যদি চোখ ভেজা থাকে তাহলে আপনার চোখ ভালোভাবে মুছে নিন।
- আপনাদের মাঝে যদি কারো চোখ ওঠে, তাহলে সে যেন সানগ্লাস পড়ে বাহিরে যায়।
- চোখ উঠা ব্যক্তির কোন কাপড় লতা বিশেষ করে গামছা তোলা যেন উন ব্যবহার না করে।
- লোক ওঠা ব্যক্তির চোখে চোখে না চাওয়ায় উচিত। তার চোখের দিকে তাকানো থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
- চোখ উঠা ব্যক্তি চোখ বেশি ঘষাঘুষি থেকে বিরত থাকবেন। কারণ চোখ ঘষলে চোখের সমস্যা দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায়।
- চোখ উঠায় একটি ছোঁয়াচে রোগ। বাসার একজন হলে পরিবারের সবার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এজন্য তাকে ঘরে রেখে যত্ন নেওয়া উচত।
- চোখ উঠা ব্যক্তির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্য কেউ ব্যবহার করে দূরে থাকবেন। কেননা চোখ উঠে একটি সংক্রমিত রোগ। একজনের কাছ থেকে অন্য জনের কাছে ছড়ায়।
চোখ উঠার লক্ষণ সম্পর্কে লেখকের মতামত
চোখ উঠা একটি ভাইরাসজনিত রোগ। একজনের থেকে অন্য জনের ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে অনেক সাবধানতার সাথে চলতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র অন্য কারো ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি করো চোখের সমস্যা হয়ে যায় সে যেন তা সুতি কাপড় পরিষ্কার করে বেশি বেশি চোখ মুছে। শীতকালে চোখ উঠার সমস্যা বেশি দেখা যায়।
আমাদের সবার উচিত শীতকালে চোখের যত্ন নেওয়া। আমার বিকেলে চোখ উঠার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি আমার আর্টিকেল পড়ে চোখ ওঠার লক্ষণ এবং হাওড়া চিকিৎসা সম্পর্কে পুরোপুরি বুঝতে পেরেছেন। আমার লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে তবে আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url