চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা-চিয়া সিডস এর২০টি পুস্টিগুন
চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি সঠিক
জায়গায় এসেছেন। অনেকেই চিয়া চিডস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানে না। আজ আমি
আপনাকে চিয়া চিডস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
চিয়া সিডস একটি অত্যন্ত পুস্টিকর খাবার। চিয়া চিডে দুধের চেয়ে ৫ গুন,কমলার চেয়ে ৭
গুন,ডিমের চেয়ে ৩ গুন,এবং মাছের চেয়ে ৮ গুন বেশি পুস্টি উপাদান আছে। চলুন তাহলে
চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং চিয়া চিডস এর পুস্টিগুন সম্পর্কে
বিস্বারিত তথ্য জেনে নিন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ চিয়া সিডস এর পুস্টিগুন
- চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা
- চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
- চিয়া সিড এর পুস্টিগুন
- ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
- চিয়া সিড খেলে কি ওজন বাড়ে?
- ওজন কমাতে চিয়া সিড আপেল সিডার ও ভিনাগার খাওয়া যাবে কি?
- চিয়া সিডের বৈশিষ্ট্য ও গুনাবলি
- চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়া যাবে কি?
- সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খেলে কি হয়?
- চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা
চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমার লেখা আর্টিকেলটি
ধৈর্য্য সহকারে পড়ুন। চিয়া সিডস একটি অত্যন্ত সুপার ফুড খাবার। প্রাচীনকাল থেকেই
চিয়া সিডস মানুষের জিহবাকে তৃপ্ত করে আসছে। তারা চিয়া সিডকে ক্ষুধা নিবারণের
পাশাপাশি রূপচর্চায় ক্ষেত্রে ব্যবহার করতেন। অ্যাাজটেক আদিবাসীরা চিয়া সিডস এ
ঔষধি গুন আছে বলে বিশ্বাস করতেন।
আরো পড়ুনঃ
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
সাধারণত তাদের অসুখ হলে চিয়া সিডস খাবার প্রচলন ছিল।চিয়া সিড মধ্য আমেরিকা
মেক্সিকোর মরু অঞ্চলে চিয়া নামে এক গাছ থেকে এ চিয়া সিড এর জন্ম হয়। সাদাকালো
দেখতে পাওয়া যায়। খুব ছোট আকারে অনেকটা তিলের মতো। পানিতে ভেজালে চিয়া সিড
ফুলে উঠে ১২ গুন পর্যন্ত বড় হতে পারে। চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হল-
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ চিয়া সিডে আছে ওমেগা-৩ যা আমাদের শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে, সে সাথে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। আপনি যদি দিনে ২ চামচ চিয়া সিড খান তাহলে আপনার শরীরের শক্তি দিবে এবং কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
- ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়ঃ চিয়া সিডে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যার ব্যবহারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো উন্নত করে এবং মেটাবলিক সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এতে করে আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করে। চিয়া সিডে রক্তে চিনির প্রভাব কে স্বাভাবিক রাখে, ফলে ডাইবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়।
- হাড় শক্ত ও মজবুত করেঃ চিয়া সিডে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম।চিয়া সিড খাবারের ফলে আমাদের হাড় কে শক্ত ও মজবুত করে।
- কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ চিয়া সিডে বিদ্যমান ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি আমাদের দেহের কোলন পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে বলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে না।
- এসিডিটিক সমস্যা দূর করেঃ নিয়মিত চিয়া সিড খাবারের ফলে আমাদের শরীরের বিষাক্ত পদার্থকে বের করতে সাহায্য করে ফলে গ্যাস বা এসিডিটিক সমস্যা থাকে না।
- ভালো ঘুম হতে সাহায্য করেঃ আপনাদের মাঝে যদি কারো ঘুমের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনারা চিয়াচিত খাবেন কারণ চিয়া সিড আপনার ভালো ঘুম হতে সাহায্য করবে। অনেক চিকিৎসক বিশ্বাস করেন যে চিয়া সিড ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে।
- জয়েন্টের ব্যথা কমায়ঃ আমাদের মাঝে অনেকের আছে হাটু ব্যথা করে, কোমর ব্যথা করে এবং প্রতিটি জয়েন্টে ব্যথা করে। আপনি যদি দিনে দুই চামচ চিয়া সিড ভেজা খেয়ে থাকেন, তাহলে আপনারা জয়েন্টের ব্যথা থাকবে না।
- ত্বক সুন্দর রাখেঃ নিয়মিত চিয়া সিড খাবারের ফলে আপনার ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল হবে। তাছাড়া আপনার হাতের নখকে সুন্দর করে।
- চুল সুন্দর রাখেঃ নিয়ম মেনে পরিমিত সিয়া সিড খাবারের ফলে আপনার চুলকে সুন্দর ও ঝলমলে করবে।
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম অনেকেই জানেনা। চিয়া সিড একটি স্বাদ ও গন্ধবিহীন খাবার।
রান্না করার ঝামেলা ছাড়ায় চিয়া সিড খাওয়া যায়। ভিজিয়ে রেখে খাবারের জন্য তৈরি
করা হয়। আপনি চাইলে ওটস, পুডিং, জুস, স্মুতি ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে নিতে
পারেন। তাছাড়া টক দই, সিরিয়াল রান্না করা সবজি এবং সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে
পারন। চিয়া সিড কুসুম গরম পানিতে ভিজে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
আরো পড়ূনঃ
আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
সকালে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে ভিজা চিয়া সিড খেয়ে ফেলুন। আপনি ইচ্ছা
করলেই চিয়া সিড বিকেলে নাস্তার সঙ্গে খেতে পারেন। এছাড়াও আপনি নারিকেলের পানির
সাথে কিংবা ফলের জসের সাথে দুই থেকে তিন টেবিল চামচ চিয়া বীজ দিয়ে
মিশ্রণটি বানিয়ে নিন। আপনি প্রয়োজনে পানিও যোগ করতে পারেন। তারপর ২০ থেকে ৩০
মিনিট পর আপনি এটাকে খেয়ে নিতে পারেন।
চিয়া সিড এর পুস্টিগুন
চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। আপনি যদি চেসিডের পুষ্টিগুণ
সম্পর্কে জানতে চান তাহলে ধৈর্য সহকারে আমার এই পোস্টটি পড়ুন। পুষ্টিবিদরা চিয়া
সিডকে সুপার ফুড বলতে বেশি পছন্দ করেন। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩,
ফ্যাটি এসিড, ক্যাফিক অ্যাসিড,পটাশিয়াম আশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,
কোয়েনসেটিন,কেম্পফেরল,ক্লোরোজেনিক ম্যাগনেশিয়াম,ক্যালশিয়াম।
চিয়া সিড একটি পুস্টিকর খাবার।এতে আছে মুরগীর ডিমের চেয়ে ৩ গুন বেশি প্রোটিন,স্যামন মাছের চেয়ে ৩ গুন বেশি
ওমেগা-৩, কলার চেয়ে দ্বিগুন বেশি পটাশিয়াম, পালং শাকের চেয়ে ৩ গুন বেশি আইরন,
কমলা লেবুর চেয়ে ৭ গুন বেশি ভিটামিন সিএবং দুধের চেয়ে ৫ গুন বেশি ক্যালশিয়াম।
প্রতি ১০০ গ্রাম চিয়া সিডে যে পরিমান পুস্টিউপাদান বিদ্যমান,নিচে তা টেবিল
আকারে দেওয়া হলো-
ক্রমিক নম্বর | ভিটামিনের উৎস | ভিটামিনের পরিমান |
---|---|---|
১ | ক্যালশিয়াম | ৬৩ শতাংশ |
২ | ম্যাগনেশিয়াম | ৮৩ শতাংশ |
৩ | আইরন | ৪২ শতাংশ |
৪ | ভিটামিন সি | ২ শতাংশ |
৫ | টোটাল ফ্যাট | ৩১ গ্রাম |
৬ | স্যাচুরেটেড ফ্যাট | ৩.৩ গ্রাম |
৭ | ট্রান্সফ্যাট রেগুলেশন | ০.১ গ্রাম |
৮ | কোলেস্টোরল | ০.০মিলিগ্রাম |
৯ | সোডিয়াম | ১৬ মিলিগ্রাম |
১০ | পটাশিয়াম | ৪০৭ মিলিগ্রাম |
১১ | কার্বোহাইড্রেট | ৪২ গ্রাম |
১২ | ফাইবার | ৩৪ গ্রাম |
১৩ | প্রোটিন | ১৭ শতাংশ |
ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম অনেকেই জানেনা। আপনি যদি ওজন কমাতে চিয়া সিড
খেতে চান, তাহলে নিয়ম জেনে খাওয়া উচিত। নিয়ম না জেনে কোন কিছু খাওয়া উচিত নয়।
এতে করে আপনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। তাই আসুন আমরা ওজন কমাতে চিয়া সিড
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই। ওজন কমাতে চায়া সিট খাওয়ার নিয়ম হলো-
- ওজন কমানোর জন্য সকালে খালি পেটে পানি বা দুধে ভিজিয়ে রাখা চিয়া সিড খেতে পারেন।
- রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস চিয়া সিডের সঙ্গে ২ টেবিল চামুচ লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।
- চিয়া সিড ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখার পর খেতে হবে।
- ভিজিয়ে রাখা চিয়া সিড, ফলের জুসের সঙ্গে খেতে পারেন, টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। তাছাড়া ওটসের সঙ্গেও খেতে পারে।
- সকালের নাস্তায় দুধ বা টক দইয়ের সাথে চিয়া সিড খেতে পারেন।
- আদা জলে ভিজিয়ে রেখে চিয়া সিড খাওয়া যেতে পারে।
- সালাদের সঙ্গে চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারেন।
চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩, ফ্যাটি এসিড রয়েছে। যা আমাদের শরীরের
মেটাবলিজম বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। দ্রুত ওজন কমানোর জন্য এক গ্লাস পানির
সাথে ২ চা চামচ চিয়া সিড এবং দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে
খেলে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
চিয়া সিড খেলে কি ওজন বাড়ে?
চিয়া সিড খেলে ওজন বাড়ে একথা অনেকেই জানেনা। চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি,
প্রোটিন, ক্যালসিয়া্ম, ফাইবা্র সহ নানান ধরনের পুষ্টিকর উপাদান আছে। আমরা যদি
পরিমাণের চেয়ে একটু বেশি খায় তাহলে আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি করবে। এটা নির্ভর
করবে আপনার খাবারের উপর। আপনি যদি পরিমাণের চেয়ে একটু বেশি চিয়া সিড ভিজিয়ে খান
তাহলে আপনার ওজন বাড়বে।
চিয়া সিড ওজন বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। চিয়া সিড তুলনামূলকভাবে উচ্চ
ক্যালরি এবং চর্বিযুক্ত খাবার। দুই টেবিল চামচ চিয়া সিডে আছে ১৩৮ গ্রাম ক্যালোরি
এবং ৯ গ্রাম সেচুরেটেড ফ্যাট। যা আপনার দৈনিক ক্যালোর সীমা অতিক্রম করে ওজন
বাড়াতে সাহায্য করবে।
ওজন কমাতে চিয়া সিড আপেল সিডার ও ভিনাগার খাওয়া যাবে কি?
ওজন কমাতে চিয়া সিড আপেল সিডার ও ভিনেগার খাওয়া যাবে কিনা। এ কথা অনেকেই জানেনা।
আজ আমি আপনাকে ওজন কমাতে চিয়া সিড, আপেল সিডার ও ভিনেগার খাওয়া যাবে কিনা এ
সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। চিয়া সিড আপেল সিডার ও ভিনেগার একসাথে খেলে আপনার ওজন
কমাতে সহায়তা করবে।
চিয়া সিডে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা-৩,ভিটামিন,খনিজ ও
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং খাদ্য হজমে
সহায়তা করে। অন্যদিকে আপেল সিডার ও ভিনেগার রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ বাড়ায়।
নিঃসন্দেহে আপনি আপনার ওজন কমাতে চিয়া সিড আপেল সিডার ও ভিনেগার খেতে পারেন। তবে
প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ গ্রাম চিয়া সিড আপনার ওজন কমানোর জন্য আদর্শ।
চিয়া সিডের বৈশিষ্ট্য ও গুনাবলি
চিয়া সিড এর বৈশিষ্ট্য ও অনেক গুণাবলী আছে। চিয়া সিড পানিতে ভিজালে ১২ গুণ
পর্যন্ত ফুলে ওঠে। চিয়া চিডে দুধের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ক্যালসিয়াম থাকে।
কমলালেবুর চেয়ে সাতগুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। পালং শাকের চেয়ে তিনগুণ বেশি
আয়রন থাকে। কলার থেকে দুই গুন বেশি পটাশিয়াম থাকে।মুরগির ডিমের চেয়ে তিনগুণ
বেশি প্রোটিন থাকে।
এছাড়া সামুদ্রিক মাছ স্যামনের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩ থাকে। চিয়া সিডে
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে
শক্তিশালী করে তোলে। চিয়া সিডে বিদ্যমান ওমেগা-৩ আমাদের হৃদরোগের ঝুকি কমায়।
চিয়া সিডে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন থাকায় মানব দেহের জন্য অত্যন্ত
প্রয়োজনীয় ও উপকারী।
চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। সব জিনিসের ভালো ও খারাপ
দুটি দিক থাকে। তেমনি চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা বেশি থাকলে ও এর কিছু অপকারিতা
রয়েছে। আসুন চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। পরিমিত চিয়া
সিড খেলে আপনার দেহের জন্য বেশ উপকার বয়ে আনে। চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা,
আপনার খাবারের উপর নির্ভর করে। আপনি যদি পরিমাণের চেয়ে বেশি খান তাহলে ক্ষতি
হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি থাকে।
অতিরিক্ত খাবারের ফলে স্তন ক্যান্সার ও প্রোটেস্ট ক্যান্সারের মাত্রা বাড়িয়ে
দেয়। চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় বেশি পরিমাণে খেলে পেটের ব্যথার
সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে চিয়া সিড খেলে আপনার
ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়া যাবে কি?
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়া যাবে কিনা এ নিয়ে সবার মনে নানান প্রশ্ন। চিয়া
সিডস খাওয়ার উপকারিতা অনেক। বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণে ভরপুর এই চিয়া সিড। তাই একে
সুপার ফুডো বলা হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের খাওয়া-দাওয়ার দিকে বেশ নজর
দিতে হয়। পুষ্টিকর খাবারে তার পেট ভরে থাকা উচিত। একজন গর্ভবতী মহিলা চোখ বন্ধ
করে খাবারের তালিকা চিয়া সিড রাখতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয়?
চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করে কুষ্ঠ
কাঠিন্যকে জব্দ করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর চিয়া সিড শরীরের নানান রোগা ভাব
দূর করে। প্রোটিনের বড় উৎস এই চিয়া সিড। প্রেগন্যান্সিতে সন্তানের বৃদ্ধি ও
বিকাশে প্রোটিনের বড় হাত রয়েছে চিয়া সিডে। চিয়া সিডে উপস্থিত ক্যালসিয়াম শিশুর
হাড় ও দাঁতের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
তাই প্রেগনেন্সি মহিলা খাবারের তালিকায় চিয়া সিড রাখতে ভুলবেন না। গর্ভাবস্থায়
রক্তের প্রয়োজন পড়ে কয়েকগুণ। রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে আইরন। আইরনের
সন্ধান মিলে ছোট্ট এই চিয়া সিডে। তাই গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড থাকলে ডায়েটে শরীরে
রক্তের পরিমাণও বাড়বে। গর্ভবতী মহিলা কখনো অ্যানিমিয়ার ফাদে পড়বেন না।
সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খেলে কি হয়?
সকালে খালি পেটে খালি পেটে চিয়া সিড খেলে কি হয় তা আমাদের সবার জানা দরকার। চিয়া
সিড আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে। চিয়া
সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় কুষ্ঠ কাঠিন্য কে দূর করতে সহায়তা করে। সকালে
খালি পেটে চিয়া সিড খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
চিয়া সিডে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন থাকায় আমাদের সারা দিনের এনার্জি প্রদান
করে। সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা অনেক গুণ বেশি। খালি পেটে সিয়া
সিট খেলে শরীরে শীতল ভাব আসে, মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকে এবং কাজে মনোযোগী হতে সাহায্য
করে। আমাদের উচিত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় চিয়া সিড রাখা।
চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
চিয়া সিডস খাওয়ার উপকারিতা আলোচনা করতে গিয়ে চিয়া সিড সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি আমার লেখা আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ে থাকেন, তাহলে আমি
আশা করব আপনি চিয়া সিড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং আমার লেখা
আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন।
আমার লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইট ভিজিট
করুন। আমি আমার লেখায় আপনাকে যদি কোন কষ্ট দিয়ে থাকি তবে আমাকে ক্ষমা সুন্দর
দৃষ্টিতে দেখবেন। এতক্ষণে সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url