কবে থেকে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়?

কবে থেকে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়? এ বিষয়টি আমাদের অনেকের কাছে অজানা। তবে ইংরেজি মাসের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একটি দিন আছে, সেই দিন প্রতিবছর শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশে বসবাস করা জনগণ প্রতিবছর আগস্ট মাসে শোক দিবস পালন করে থাকে। 

কবে-থেকে-জাতীয়-শোক-দিবস-পালন-করা-হয়?

কিন্তু কবে থেকে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়? এ সম্পর্কে অনেকেই জ্ঞান রাখে না। কবে থেকে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয় এ সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান, তাহলে আমার আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। আমি আপনাকে জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত বলে দিব। দেরি না করে চলুন বিষয়টি সম্পর্কে জানা যায়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে জানুন

কবে থেকে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়?

কবে থেকে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়? এ কথা অনেকে জানে না। কিন্তু আমাদের জানা দরকার কবে থেকে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৩ তম জন্ম মৃত্যু বার্ষিকী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের কালো পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং জাতীয় পতাকা অর্থ নির্মিত রাখা হয়।

এই দিবসটি শুধু আমলীগ সরকারি পালন করে থাকেন। ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট চার এ তারিখে বঙ্গবন্ধুর সহ তার সহ পরিবারের সবাইকে নিহত করা হয়। নিহত হওয়ার দীর্ঘদিন পর ১৯৯৬ সালে যখন আমলীগ সরকার ক্ষমতায় আসে এ দিবসটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়েছিল।

২০০২ সালে নির্বাচনে বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে। এবং দীর্ঘ ছয় বছর পর হাইকোর্টের আদেশে বর্তমান আমলীগ সরকার ১৫ই আগস্ট তারিখে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পূর্ণবহাল করে। প্রধান উপদেষ্টা আপনি ফখরুদ্দিন আহমেদ এবং প্রধান বিচারপতি ডঃ ইয়াজ উদ্দিন আহমদ ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যান। 

আরো পড়ুনঃ পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের কারণ

সেখানে গিয়ে তারা বঙ্গবন্ধুর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সে সময় সেনা ,নৌ এবং বিমান বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে শেখ হাসিনা সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে শেখ মজিবুর রহমানের হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের ব্যাপারে আপিল বিভাগের কাজ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য জোর দাবি জানান। 

১৫ই আগস্ট তারিখে বাংলাদেশে প্রতিবছর জাতীয় এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক দিবস পালন করা হয়। এ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং জাতীয় পতাকা অর্ধ নির্মিত রাখা হয়। এই শোক দিবস পালন করার কারণ হচ্ছে এই দিনে বঙ্গবন্ধু পরিবারের হত্যা করা হয়। এই দিনটিকে স্মরণ করার লক্ষ্যেই বাংলাদেশ ব্যাপি জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়ে থাকে। 

এই দিনে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নিহত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য ছাড়াও আরো অনেকেই নিয়ে তো হয়েছিলেন এই দিনে। তারা একই পরিবার থেকে ১৬ জন সদস্য নিহত হয়েছিলেন। এখন আপনি ভেবে দেখেন ঐদিন টি কতটাই শোকাহত ছিল। তাই প্রতিবছর বাংলাদেশের মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। 

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য 

শোক দিবস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য জানার জন্য অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকে। ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা করা হয়। এই দিবসকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে প্রতিবছর এ দিবস পালন করা হয়। এ দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য আমাদের জেনে নিতে হবে। কারণ শোক দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান এবং দোয়া-খায়ের অনুষ্ঠান করা হয়। আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা শোক দিবসে বক্তব্য দিয়ে থাকেন। তারা বলেন বাংলাদেশের জাতীয় দিবস গুলোর মধ্যে শোক দিবস অন্যতম। এই দিবসটি বড়ই শোকাহত।

প্রতিবছর ১৫ই আগস্ট তারিখে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিবস উপলক্ষে সাধারণত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয় সেই সাথে জাতীয় পতাকা নির্মিত রাখা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোর রাত্রে কতগুলো বিপথগামী সেনা সদস্যরা বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারের ১৬ জনকে হত্যা করে। তারা ঘাতকের গুলির আঘাতে কেহ বেঁচে যেতে পারেননি। 

আরো পড়ুনঃ পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিপর্যয়

বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা দেশের বাহিরে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে যান। কথিত আছে যে তারা যদি দেশে থাকতেন, তাদেরকেও হত্যা করা হতো। এ থেকে বোঝা যায় যে এই দিনটি ছিল অনেক শোকাহত। তাই প্রতিবছর বাংলাদেশের মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে ১৫ ই আগস্ট শোক দিবস পালন করা হয়। 

শোক দিবস সম্পর্কে কিছু তথ্য;

  • ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট তারিখে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সদস্যরা সামরিক অভুত্থান ঘটিয়ে শেখ মজিবুর রহমান ও তার সপরিবারকে হত্যা করে।
  • ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট থেকে ৬ই নভেম্বর পর্যন্ত খন্দকার মোস্তাক আহমেদ বাংলাদেশের অঘোষিতভাবে রাষ্ট্রপতি হন।
  • বঙ্গবন্ধুর হত্যাকে কেন্দ্র করে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ শোক প্রকাশ করে।

এ বছর শোক দিবস কবে পালিত হবে? ২০২৫

এবছর শোক দিবস কবে পালিত হবে? ২০২৫। আমাদের মাঝে অনেকেই তা জানে না। এ দিবসটি আমলীগ সরকার ক্ষমতা থাকা অবস্থায় প্রতিবছর ১৫ই আগস্ট তারিখে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হতো। ১৯৯৬ সালে আমলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে এ দিবসটি যথাযথ পালন করা হয়।

 ২০০২ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে ১৫ই আগস্ট তারিখে যাতে শোক দিবস পালন বাতিল করা হয়। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের সাথে এ দিবস পালনের ক্ষেত্রেও কিছু বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হয়। ঠিক তেমনি ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পর ১৫ ই আগস্ট কে জাতীয় শোক দিবস পালন বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকার পরিবর্তনের সাথে দিবসের পরিবর্তন হতে দেখা যায়। 

১৫ই আগস্ট যাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল

১৫ই আগস্ট যাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে ছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তৎকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর কিছু উচ্চ-বিলাসী অফিসার বঙ্গবন্ধুকে নিহত করেন। তাছাড়া নিহত হন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা, শেখ কামা্‌ল, শেখ জামা্‌ল, শেখ রাসে্‌ল।

পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রুজি কামা্‌ল, বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ নাসে্র, মন্ত্রী আব্দুর রব তার কন্যা বেবী, তার পুত্র আরিফ এবং তার দহিত্র সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগিনা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি তার স্ত্রী আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর সচিব কর্নেল জামিল আহমেদ, বছরের কিশোর আব্দুল নাঈম খান ওরফে রিন্টু সহ ১৬ জন কে হত্যা করা হয়। এই সময় বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা দেশের বাহিরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

কত তারিখে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়?

কত তারিখে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়? বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের অবশ্যই জানা উচিত। কারণ আমাদের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে এই দিনে হত্যা করা হয়। কিন্তু আমাদের মাঝে অনেকেই জানেনা জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়? আপনি যদি সাধারণ জ্ঞান অর্জন করতে চান, তাহলে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে জানা দরকার।

আরো পড়ুনঃ পলাশীর প্রান্তরে বাংলা স্বাধীন নবাবের অবসান হয়

ইতিমধ্যেই আমরা জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আলোচনা করেছি। প্রতিবছর ১৫ই আগস্ট তারিখে জাতীয় শোক দিবস পালন করা। এই দিনে সারা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। এবং জাতীয় পতাকা অর্ধনির্মিত রাখা হয়। কালো পতাকার অন্যতম কারণ হলো শোকের প্রতীক। 

১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং হত্যা করা হয ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার বাড়িতে হত্যা করা। শুধু যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল বিষয়টি এরকম নয়। বরং বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবাইকে করা হয়েছিল। বাহিরে থাকায় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। এদিন কে কেন্দ্র করে আম্লীগ সরকার প্রতিবছর শোক দিবস পালন করে থাকেন। 

জাতীয় শোক দিবস কবে পালন করা হয়? 

জাতীয় শোক দিবস কবে পালন করা হয়? এ বিষয়ে সম্পর্কে ইতিপূর্বে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি না জেনে থাকেন, জাতীয় শোক দিবস কবে পালন করা হয়। তাহলে আমার লেখা আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নেওয়া উচিত। বাংলাদেশে যতগুলো জাতীয় দিবস রয়েছে তার মধ্যে জাতীয় শোক দিবস অন্যতম। 

১৫ই আগস্ট হচ্ছে বাঙালি জাতির জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম দিন হিসেবে পরিচিত। আমি আশা করছি যাতে শোক দিবস কবে পালন করা হয়। বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি বুঝতে পেরেছেন। প্রতিবছর ১৫ই আগস্ট তারিখে শোক দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৫ আগস্ট তারিখে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম দিবস হিসেবে উল্লেখ করা হয়। 

এই দিনে সবচেয়ে জঘন্য ঘটনাটি ঘটেছিল। তাই ১৫ আগস্ট তারিখে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। 

জাতীয় শোক দিবস কয়টি? 

জাতীয় শোক দিবস কয়টি অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে। আমরা যারা বাংলাদেশে বসবাস করি তারা অবশ্যই শোক দিবস সম্পর্কে অবগত। তবে জাতীয় শোক দিবস কয়টি? এবং কত তারিখে এর শোক দিবস পালন করা হয় আপনি যদি উপরের আলোচনা ভালোভাবে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন । কারণ প্রতিবছর নির্দিষ্ট দিনে এসব দিবস পালন করা হয়। 

আরো পড়ুনঃ ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা যেহেতু একই দিনে সংঘটিত হয়েছিল, সেহেতু আমরা বলতে পারি জাতীয় শোক দিবস একটি। আর এই দিনটি পালন করা হয় প্রতিবছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখে। 

জাতীয় শোক দিবস কেন পালন করা হয়? 

জাতীয় শোক দিবস কেন পালন করা হয়? এ কথা কি আপনি জানতে চাচ্ছেন? শোক দিবস যেহেতু আমাদের জাতীয় দিবস সেহেতু আমাদের সবার জানা দরকার জাতীয় শোক দিবস কেন পালন করা হয়। একথা যদি কেহ আপনার কাছে জানতে চায়। এর কারণ যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আপনি সহজেই উত্তর দিতে পারবেন। 

প্রতিবছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। এই দিনটি ছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসে জঘন্যত দিন। এজন্যই এই দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট ভোর রাত্রিতে কতিপয় দুর্বৃত্তকারী সেনা সদস্যেরা গণঅভুত্থান ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের ১৬ জন লোককে হত্যা করা হয়।

নিশ্চয়ই আমরা এখন বুঝতে পেরেছি যে এই দিনটি কত বড় শোকাবহ ছিল। এই সুখের দিনটি বাঙালি জাতিকে প্রতিবছর স্মরণ করে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। সুখ পালনের সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম সমাপ্ত করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় দোয়া মাহফিলসহ বঙ্গবন্ধুর কবরে ফুল দেওয়া হয়। 

কবে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয়? 

কবে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয়? উপরের আলোচনা পড়লে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা থাকা অবস্থায় প্রতিবছর ১৫ ই আগস্ট তারিখে জাতীয় শোক দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হয়। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার পরিবর্তনের সাথে ১৫ই আগস্ট তারিখে শোক দিবস পালন সরকারিভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয়। 

কবে-জাতীয়-শোক-দিবস-ঘোষণা-করা-হয়

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে। কিন্তু এ হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৬ সালে। সর্বশেষে শোক দিবস পালন করা হয় ২০২৩ সালের ১৫ ই আগস্ট তারিখে। জুলাই বিপ্লবের পর ১৫ই আগস্ট তারিখে জাতীয় ভাবে শোক দিবস পালন বাতিল করা হয়। 

লেখক এর শেষ মন্তব্য 

কবে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়? এ কথা আলোচনা করতে গিয়ে শোক দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। কেন শোক দিবস পালন করা হয়? কত তারিখে এ শোক দিবস পালন করা হয়? জাতীয় শোক দিবস কেন পালন করা হয়? জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে আদ্যোপান্ত ঘটনা হয়েছে। 

আমার লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনি পড়ে থাকেন। তাহলে নিশ্চয়ই আপনি শোক দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। আমার দেওয়া তথ্যগুলো যদি আপনার ভালো লাগে। এই ধরনের তথ্যবহুল আর্টিকেল পেতে আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করে আমাকে এ ধরনের তথ্যবহুল আর্টিকেল লিখতে উৎসাহিত করবেন। এতক্ষণে সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url