নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা। নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের বাজিমাত জানলে অবাক হবেন।

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতার কথা অনেকেই যানে না। আমাদের শরীরের জন্য নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ কতটা উপকারী এ সম্পর্কে আমাদের সবার জানা । ত্বক ও চুলের মসৃণতা বজায় রাখতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে লেখা আমার এই আর্টিকেল। নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হলে আমার আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। প্রতিটি মানুষ চায় তার সুন্দর ও মসৃণ ত্বক পেতে। এজন্য নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। 

নিমপাতা-ও-কাঁচা হলুদের-উপকারিতা
বর্তমানে প্রতিনিয়তই কেমিক্যাল যুক্ত ফেসপ্যাক এর ব্যবহার কমে যাচ্ছে।কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধানিতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু ঘরোয়া উপায়ে যদি ত্বকের যত্ন নেয়া যায়। তাহলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকবে না। তাই আজকাল মানুষ ঘরোয়া ফেসপ্যাক এর উপরে খুব বেশি ঝুঁকে পড়েছে। দিন দিন চুল ও ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক উপকরণের পরিমাণ বেড়াই চলছে। তাই চলুন প্রাকৃতিক উপকরণ নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ নিম ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে জানুন।

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানা জরুরী। নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ হচ্ছে প্রাকৃতিক উপাদান। নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। কেমিক্যাল যুক্ত ফেসপ্যাক এর অনেক সময় ত্বকের পাশে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদান নিম পাতা ও কাঁচা হলুদে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেয়। 


তাই আমাদের কেমিক্যালমুক্ত ফেসপ্যাক ও হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা অনস্বীকার্য।। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক, নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে।
  • নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ এর ট্যাবলেট শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে অত্যন্ত কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
  • আপনার মুখের দাগ দূর করতে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের মতো প্রিয় বন্ধু আর কোথাও পাওয়া যাবে না।
  • নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের কোনরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই একজন মানুষের বার্ধক্য জনিত নানাবিদ সমস্যা দূর করে।
  • কাঁচা হলুদ ও নিমপাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা আপনার ত্বকের বলিরেখা এবং চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  • ত্বক মসৃণ ও সাদা ফর্সা করতে প্রাচীনকাল থেকেই নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার চলে আসছে।
  • নিমপাতা আপনার শরীরের এলার্জিজনিত সমস্যাগুলো যেমন, চুলকানি, ফুসকুড়ি দূর করতে সাহায্য করে।
  • নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ আপনার লিভারকে সচল রাখে এবং বিপাক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে।
  • চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের গুরুত্ব অপরিসীম।

ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃন করতে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার 

ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার আমাদের জানা দরকার আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা প্রাকৃতিক উপাদানের উপকারিতা সম্পর্কে খুব বেশি জ্ঞান রাখেনা। ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে পারবেন।

  • ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং মসৃণতা বৃদ্ধির জন্য আপনি যদি কাঁচা হলুদ বাটা, চালের গুড়া, বেসন, টক দই একসাথে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। আপনার তৈরি এই ফেসপ্যাক মুখে এবং গলায় লাগিয়ে দিন। আপনার ত্বক শুখিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে আপনার মুখমণ্ডল ধুয়ে ফেলুন। এ ফেসপ্যাকটি যদি আপনি এক সপ্তাহ ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হবে।
  • আপনি কি ত্বকের উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা অনেকটাই বৃদ্ধি করতে চান। তাহলে কাঁচা হলুদ বাটা, মসুরের ডাল বাটা, মুলতানি মাটি এবং গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে পারেন। এরপর আপনি এই পেস্ট যদি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক দ্রুতই উজ্জ্বল ও মসৃণ হবে।
  • তাছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা বৃদ্ধির জন্য আপনি কাঁচা হলুদ ও শুকনা কমলার খোসা একসাথে বেটে পেস্ট করে আপনি আপনার মুখে ত্বকে লাগাতে পারেন। কয়েকদিন পর এর ফলাফল আপনি নিজের চোখে দেখতে পারবেন।

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ দিয়ে যেভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করবেন

নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ দিয়ে ফেস প্যাক তৈরি করা অনেকেই জানেনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক, নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ দিয়ে যেভাবে ফেসপ্যাক বানাবেন। আপনি ইচ্ছা করলে ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। এজন্য শুধু আপনাকে ফেসপ্যাক বানানোর উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন তাহলে ফেসপ্যাক তৈরীর উপকরণগুলো জেনে নিন।
  • ৮-১০ টি নিম পাতা।
  • কাঁচা হলুদ।
  • কয়েকটি তুলসী পাতা।
  • মুলতানি মাটি।
  • চন্দন।
  • কর্পূর। এবং
  • লবঙ্গ ইত্যাদি।
উল্লেখ গুলো ভালোভাবে বেটে নিয়ে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে থেকে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। আশা করি আপনি ফেসপ্যাক তৈরি পদ্ধতি সহজেই পারছেন।

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের পেস্ট যেভাবে তৈরি করবেন

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের পেস্ট কিভাবে তৈরি করবেন এটা জানার জন্য অনেকেই গুগলে সার্চ করে। আজকে আমি আপনাকে প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে সঠিক উপায়ে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের পেস্ট তৈরি করার উপায় জেনে দিব। এর জন্য আপনাকে আমার লেখা আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়তে হবে। নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের পেস্ট তৈরি করতে হলে কি কি উপক্রণ লাগবে।


এ সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। কেননা আপনি যদি এই উপকরণ সম্পর্কে না জানেন, তাহলে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের পেস্ট তৈরি করতে পারবেন না। চলুন তাহলে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেই আমরা কিভাবে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ দিয়ে পেস্ট তৈরি করব। নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের পেস্ট তৈরি করতে যে উপকরণগুলো লাগবে নিচে তা উল্লেখ করা হলো।
  • নিম পাতার গুড়া।
  • কাঁচা হলুদ বাটা।
  • মুসুরির ডাল বাটা।
  • কাঁচা দুধ ও 
  • মধু ইত্যাদি।
উপরে উল্লেখিত উপকরণগুলো একসাথে ব্লেন্ড করে ২৫-৩০ মিনিট রোদে শুকিয়ে সংরক্ষন করতে পারেন। এরপর আপনি এ পেস্টগুলোকে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন  এই পেস্ট ব্যবহার করতে পারবেন।

নিমপাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

নিমপাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন। নিমপাতা আপনার ত্বকের জন্য খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান, যা আপনার ত্বককে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল ও ফর্সা করবে। আপনার ত্বককে পরিষ্কার করবে, তার দাগ দূর করবে এবং ত্বক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে। নিমপাতা দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়।

নিমপাতা-দিয়ে-ফর্সা-হওয়ার-উপায়

নিম পাতায় এন্টি ব্যাকটেরিয়ার উপাদান আছে, যা আপনার ত্বকের ব্রণ, ফুসকুড়ি ও কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করবে। নিমপাতা দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার ফলে ত্বকের প্রদাহ কমায়, ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর করে, ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখে।

পাতা দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায়ঃ
  • নিম পাতার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে বা গোলাপজল মিশে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।
  • নিম নিমপাতার সাথে চন্দন গুড়া মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।
  • নিমপাতার সাথে এলোভেরা জেল মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।

নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়?

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতার কথা মুখে বলে শেষ করা যাবে না। নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে ত্বকের সংক্রমণ হতে তত্ত্বের রক্ষা করে, ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থাকে না, মুখের ব্ল্যাকহেড স থেকে রক্ষা করে, ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে, এমনকি লোম কুপের ময়লা দূর করতে পারে। এছাড়াও নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ ত্বকের জেলা বাড়াতে সাহায্য করে।

নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার উপকারিতাঃ
  • নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মিশিয়ে ত্বকের জেল্লা বাড়ানো যায়।
  • নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের পেস্ট মুখে লাগালে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • নিম পাতায় এন্টি ব্যাকটেরিয়ার উপাদান থাকায় ত্বকের সংক্রমণ যেমন দাদ, চুলকানি এবং ফুসকুড়ি দূর করতে সাহায্য করে।
  • কাঁচা হলুদ শরীরের ডিটক্স হিসেবে কাজ করে।
  • কাঁচা হলুদ শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • উপকার পাওয়ার জন্য আপনি নিম পাতা হলুদ বেটে পেস্ট করে মুখে লাগাতে পারেন। কেমিক্যালযুক্ত  ফেসপ্যাক এর চেয়ে ঘরোয়া উপায়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করাই সর্বোত্তম।

প্রতিদিন কতটুকু নিম পাতা খাওয়া যায়?

প্রতিদিন কতটুকু নিমপাতা খাওয়া যায়, একথা আমাদের জানা অতি জরুরী। সাধারণত আমরা সকালে খালি পেটে ১৫-২০ টি নিমপাতা চিবিয়ে খেতে পারি। চিবিয়ে খাওয়া কষ্টকর হলে নিম পাতার রস ৫-৬ চামচ খেতে পারেন। তবে চিকিৎসকগণ রোগীর অবস্থা ভেদে নিমপাতা খাওয়ার নিয়ম নির্ধারণ করে দেন। 


নিমপাতা ভেজে গুড়া করে খাওয়াই উত্তম, তবে সবচেয়ে কার্যকরী ও সুফল পাওয়া যায়। আপনি যদি প্রতিদিন সাতটি করে পাতা ভেজে খান তাহলে এটি আপনার হজম ক্ষমতাকে উন্নতি করবে, ক্লান্তি দূর করবে, কাশি দূর করতে সাহায্য করবে, মুত্র নালীর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে এবং কৃমির সমস্যা দূর করবে।
নিম পাতার উপকারিতাঃ
  • নিমপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
  • নিমপাতা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে করবে।
  • নিমপাতা সর্দি কাশির মতো রোগ নিরাময় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • নিমপতা এসিডিটি বা গ্যাস জনিত কারণে পেটের ব্যথা নিরাময় করতে সাহায্য করে।
  • নিমপাতা ত্বকে সংক্রমণ যেমন চুলকানি, দাদ, ফাঙ্গাল ইনফেকশন এবং ফুসকুড়ি দূর করতে সাহায্য করে।
নিম পাতার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ
কোন কিছু অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই নিম পাতাও এর বিকল্প নয়। আপনাদের মাঝে যদি কারো লিভার বা কিডনিজনিত সমস্যা থাকে তাহলে তাদেরকে চিকিৎ পরামর্শ ছাড়া নিমপাতা খাওয়া উচিত নয়।

খালি পেটে নিমপাতার রস খেলে কি হয়?

খালি পেটে নিমপাতার রস খাওয়ার উপকারিতা অনেকে জানে না। খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে অনেক উপকার মিলে। নিম পাতায় ঔষধি গুণ তোমার থাকায় শরীরের টনিক দূর করে। মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া এসিডিটি ও পেটের ব্যথা নিরাময় করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপ থাকে নিম পাতার রস উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

খালি পেটে নিমপাতা খাওয়ার উপকারিতাঃ
  • খালি পেটে নিমপাতা খেলে শরীরের টনিক্স দূর করে।
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে।
  • মেটাবলিজম বাড়ায়।
  • এসিডিটি বা পেটের ব্যথা নিরাময় করতে সাহায্য করে।
  • খাদ্য হজমে সাহায্য করে।
নিমপাতা খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতাঃ
নিমপাতা খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যদি কারো কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকে। তাহলে তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিমপাতা খাওয়া ঠিক হবে না।

খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে কি হয়?

খালি পেটে কাঁচা হলুদ হয় অনেকেই তা জানে না। আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে কি হয় এই নিয়ে গুগলে সার্চ করে দেখেন। আপনি যদি জানতে ইচ্ছুক হন যে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে কি হয় তাহলে আপনি আমার আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়তে পারেন। খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
খালি-পেটে-কাঁচা-হলুদ-খেলে-কি-হয়
হজম শক্তি ভালো থাকে এবং অতিরক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া হলুদের কারকিউমিন নামক উপাদান থাকায় শরীরকে রোগমুক্তি রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার উপকারিতাঃ
  • খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম। নিম্নে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার উপকারিতা উল্লেখ করা হলো-
  • খালি পেটে হলুদ খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
  • খাদ্য হজমের সহায়তা করে।
  • রক্ত পরিষ্কার করে।
  • অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • পিরিয়ডের যন্ত্রণা কমায় এবং
  • আর্থাইটিস এর সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
  • ত্বক উজ্জ্বল করে।
  • ত্বকের ছুলি নিরাময় করতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের রং ফর্সা করে।
হলুদ খাওয়ার নিয়মঃ
  • হলুদ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের জানা জরুরী। নিয়ম না জেনে কোন কিছু খাওয়া উচিত নয়। তাই হলুদ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • কাঁচাহলুদ দৈনিক ১-২ গ্রাম খাওয়া আপনাদের জন্য নিরাপদ।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বেশি হলুদ খাবেন না।
  • আপনাকে সুষম খাদ্য অভ্যাস বজায় রাখতে হবে।
হলুদ কাঁচা হলুদ খাওয়ার সময় সতর্কতাঃ
কাঁচা হলুদ খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। হলুদ শুধু উপকারী করে না, বরং অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। না জেনে অনেকেই পরিমাণের চেয়ে বেশি হলুদ খেলে তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে উপকারের চেয়ে। তাছাড়া অতিরিক্ত কাঁচা হলুদ খেলে পেটের গোলমাল বা ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা আলোচনা করতে গিয়ে নিমপাতা কাঁচা হলুদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি আবার লেখা আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে নিশ্চয়ই আপনি নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আপনি যদি আমার লেখা আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হন। 

তাহলে আমার সার্থক হবে। নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে লেখা আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করবেন। লাইক কমেন্ট ও শেয়ার এর মাধ্যমে এ ধরনের তথ্যবহুল আর্টিকেল লিখতে উৎসাহিত করতে সাহায্য করবেন। আমার লেখায় যদি আপনাকে কোন কষ্ট দিয়ে থাকি, তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। এতক্ষণে সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url